ঢাকার ধামরাইয়ে প্রাইভেট কারের নিচে চাপা পড়ে এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেট কারটি সড়কের পাশের খাদে পড়ে উল্টে যায়। এতে গাড়িটির ভেতরে থাকা সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষিকা ও তিন শিক্ষার্থীসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার ঢাকা-টাঙ্গাইল বাইপাস সড়কের বাঙ্গালপাড়া এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
মারা যাওয়া মোটরসাইকেল আরোহীর নাম মো.
আরো পড়ুন:
জন সচেতনতা ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনা রোধ সম্ভব নয়: ইলিয়াস কাঞ্চন
রাজবাড়ীতে ২ মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, সেনা সদস্য নিহত
আহতরা হলেন- ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষিকা স্বরনিকা আলম (৩০), তার দুই মেয়ে জিম (৭) ও জাহিন (৬), জুন (১৪) এবং প্রাইভেট কারের চালক আলমগীর। আহতরা সবাই টাঙ্গাইল জেলার কালিয়াকৈর থানার হিজলহাটি গ্রামের বাসিন্দা।
এলাকাবাসী জানান, আজ সকাল ৭টার দিকে কালিয়াকৈর থেকে সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজগামী প্রাইভেট কারটি ধামরাইয়ের বাঙ্গালপাড়া এলাকায় এসে পৌঁছায়। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেলটির চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেট কারের নিচে পড়ে যান। ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়। প্রাইভেট কারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের খাদে পড়ে উল্টে যায়। পরে প্রাইভেট কারের আহত চালক ও যাত্রীদের উদ্ধার করে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ধামরাই থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন আহত
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশে তিনটি বড় হাসপাতাল করতে চায় চীন: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে হাসপাতাল করবে চীন। নীলফামারীতে এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটি করা হবে। হাসপাতাল করার জন্য জমি খোঁজা হচ্ছে।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এসব তথ্য জানান।
একই অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর জানান, বাংলাদেশে চীনের সহয়তায় মূলত তিনটি বড় হাসপাতাল তৈরির প্রস্তুতি চলছে।
আরো পড়ুন:
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ওষুধ ‘চুরি’, আটক ২
লক্ষ্মীপুরে রাস্তার পাশে পাওয়া গেল নবজাতক, হাসপাতালে ভর্তি
তিনি বলেন, “নীলফামারীতে এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল করবে চীন। প্রাথমিকভাবে ১৬ একরের মতো একটি জায়গা নির্বাচন করা হয়েছে। এটার দেখভাল করছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। আর একটি হাসপাতাল তৈরি করা হবে সাভার ধামরাইয়ে। এটি হবে পুর্নবাসন প্রতিষ্ঠান। এখানে বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনায় আহতদের সেবা দেওয়া হবে। এছাড়া চট্টগ্রামে ৫০০ থেকে ৭০০ শয্যার আরো একটি হাসপাতাল তৈরির প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এটা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। এর বাইরে চীনের অর্থায়নে চট্টগ্রামে বার্ন ও প্লাস্টিক ইউনিট পরিচালিত হচ্ছে।”
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, “চীনের রাষ্ট্রদূতকে আমরা বলেছিলাম, রবোটিক ফিজিওথেরাপির সেট একটি আমাদের উপহার হিসেবে দিতে। আমাদের শুধু আন্দোলনে আহতদের জন্য না, ভবিষ্যতেও দুর্ঘটনায় আহতদের জন্য লাগবে। চীন আমাদের কথা রেখেছ, একটি সেট আমাদের উপহার হিসেবে দিয়েছে। এটা বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে আছে। এটা স্থাপন করতে আমাদের ৬ হাজার স্কয়ার ফুটের মতো জায়গা লাগবে। আমরা সেই জায়গা ঠিক করেছি বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (সাবেক বিএসএমএমইউ)। সেখানে এটা ডেডিকেটেড করা থাকবে। আমাদের আহতরা সেখানে ফিজিওথেরাপি নিতে পারবে। তার জন্য আমরা একটি দলকে প্রশিক্ষণ দিয়ে দিব। ব্যাংকক থেকে আমরা বিশেষজ্ঞ নিয়ে আসব, তারা এখানে প্রশিক্ষণ দিয়ে গেলে ভবিষ্যতে সবাই এখান থেকে সহায়তা পাবেন। আমাদের এখানে একটা রবোটিক ফিজিওথেরাপি বসালে হবে না, আমরা উত্তরবঙ্গে এবং চট্টগ্রামে দেওয়ার চেষ্টা করবো। যাতে ওখানকার রোগীদের এখানে ফিজিওথেরাপি দিতে আনতে না হয়।”
এ সময় উপদেষ্টা জানান, অভ্যুত্থানে ১ চোখ হারিয়েছে ৪৫০ জন, দুই চোখ হারিয়েছে ২১ জন।
জুলাই অভ্যুত্থানে আহত বাসেত খান মুসার চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত সাড়ে ৬ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা। অভ্যুত্থানে আহতরা আজীবন ফ্রি চিকিৎসাসহ স্বাস্থ্য কার্ড পাবেন বলেও জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, “জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ৪০ জনকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। দেশে আহতদের সুচিকিৎসার জন্য বিদেশ থেকে ২৬ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আনা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. আবুল খায়ের, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) পরিচালক ডা. মো.আবুল কেনান, প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ।
ঢাকা/হাসান/সাইফ