ফারদিনের মৃত্যু: অধিকতর প্রতিবেদন ১৭ মার্চ
Published: 12th, February 2025 GMT
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর মামলায় অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৭ মার্চ ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলামের আদালতে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য ছিল। তবে, এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য আদালত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন তারিখ ঠিক করেন।
নিখোঁজের তিন দিন পর নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর রাতে ফারদিন নূর পরশের লাশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। ৯ নভেম্বর রাতে তার বাবা নুর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে রাজধানীর রামপুরা থানায় মামলা করেন। মামলায় ফারদিনের বান্ধবী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আমাতুল্লাহ বুশরাসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
গত বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি ফারদিনের বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরার অব্যাহতি চেয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার। ১৬ এপ্রিল ডিবির দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনে মামলার বাদী নুর উদ্দিন রানার নারাজির আবেদন মঞ্জুর করে সিআইডিকে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
ঢাকা/মামুন/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সিএমপির সাবেক কমিশনার সাইফুল ইসলাম আটক
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সাবেক কমিশনার সাইফুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। আজ বুধবার রাজধানী ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিএমপির কমিশনার হাসিব আজিজ।
আটক সাইফুল ইসলাম ২০২৪ সালের ৪ জুলাই থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত সিএমপি কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিতে নিহতের ঘটনায় চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানায় দায়ের হওয়া মামলায় সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে। ওই মামলায় তিনি এজাহারভুক্ত আসামি। তাকে চট্টগ্রামে আনা হচ্ছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর পুলিশে ব্যাপক রদবদল শুরু হয়। এ রদবদলে গত বছরের ২১ আগস্ট সিএমপি কমিশনার সাইফুল ইসলামকে সারদা পুলিশ ট্রেনিং অ্যাকাডেমিতে বদলির আদেশ জারি করা হয়। তিনি একই বছরের ৪ জুলাই সিএমপির ৩২তম কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন।
সিএমপিতে যোগদানের আগে তিনি এমআরটি পুলিশের ডিআইজি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ও চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি বরিশাল ও বরগুনা জেলার পুলিশ সুপার এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।