যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার ২ হাজার শিশুকে আশ্রয় দেবে জর্ডান
Published: 12th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
ইসরায়েলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত গাজার ২ হাজার অসুস্থ শিশুকে জর্ডানে আশ্রয় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে দেশটির রাজা দ্বিতীয় আব্দুল্লাহ। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করে এর জনগণকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনায় তিনি তার অবস্থানে অনঢ়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন। খবর এনডিটিভির।
রাজা দ্বিতীয় আব্দুল্লাহ বলেন, ‘গাজা এবং পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করার বিরুদ্ধে আমি জর্ডানের দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছি। এটিই ঐক্যবদ্ধ আরব অবস্থান। ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত না করে গাজা পুনর্নির্মাণ এবং ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সকলের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। ’
তবে তিনি ট্রাম্পকে বলেছেন, মিশর এই অঞ্চলের দেশগুলো কীভাবে ট্রাম্পের সঙ্গে এই প্রস্তাবে ‘কাজ’ করতে পারে তার একটি পরিকল্পনা করছে।
আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা এখনই যা করতে পারি তা হল- ২০০০ ক্যান্সার আক্রান্ত শিশু যারা খুবই অসুস্থ অবস্থায় রয়েছে তাদের নিজেদের দেশে নিতে পারি।
আব্দুল্লাহর এই প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প বলেন, এটি সত্যিই একটি সুন্দর পদক্ষেপ। জর্ডানের রাজা হোয়াইট হাউসে আসার আগে তিনি এটি সম্পর্কে জানতেন না বলেও জানান তিনি।
এর আগে,গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা ‘দখলের’ ঘোষণা দিয়ে বিশ্বকে হতবাক করে দেন। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিধ্বস্ত অঞ্চলটিকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরা’ তৈরির প্রস্তাব দেন।
সেসময় জর্ডানের রাজা সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বলেন, মিশর একটি পরিকল্পনা নিয়ে আসছে এবং আরব দেশগুলো তখন রিয়াদে এটি নিয়ে আলোচনা করবে।
এনজে
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থীসহ ৬ জনকে অপহরণের অভিযোগ
খাগড়াছড়িতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পাঁচ শিক্ষার্থীসহ ছয়জনকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার সকাল সাতটার দিকে পানছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কের গিরিফুল এলাকা থেকে তাঁদের অপহরণ করা হয়। এই অপহরণের ঘটনায় প্রসীত খিসা সমর্থিত ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে (ইউপিডিএফ) দায়ী করেছে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)।
জেএসএস-সন্তু লারমা-সমর্থিত পিসিপির কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপুণ ত্রিপুরা প্রথম আলোকে বলেন, বিজু উদ্যাপন শেষে ক্যাম্পাসে ফেরার সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ পাহাড়ি শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে পিসিপির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্য ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী রিশান চাকমা রয়েছেন। অন্য শিক্ষার্থীরা হলেন চারুকলা ইনস্টিটিউটের মৈত্রীময় চাকমা ও অলড্রিন ত্রিপুরা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা এবং প্রাণিবিদ্যা বিভাগের লংঙি ম্রো। তাঁরা সবাই ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অপহরণকারীরা তাঁদের বহনকারী টমটম (অটোরিকশা) চাককেও অপহরণ করেছে। তবে তাঁর নাম জানা যায়নি। এ ঘটনার জন্য নিপুণ ত্রিপুরা ইউপিডিএফ-প্রসীত পক্ষকে দায়ী করেছেন।
পিসিপির কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপুণ ত্রিপুরা আরও বলেন, ‘গতকাল বাঘাইছড়িতে বিজু উৎসব শেষ করে খাগড়াছড়ি হয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার কথা ছিল রিশান চাকমাসহ পাঁচ শিক্ষার্থীর। কিন্তু বাসে টিকিট না পাওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার কুকিছড়া এলাকায় মৈত্রীময় চাকমার এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাত যাপন করেন তাঁরা। সকাল সাতটার গাড়িতে তাঁদের চট্টগ্রামে ফেরার কথা। কিন্তু গিরিফুল এলাকা থেকে তাঁদের তুলে নেওয়া হয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের বহনকারী টমটমচালককেও অপহরণ করা হয়। এ ঘটনার জন্য আমরা ইউপিডিএফ-প্রসীত পক্ষকে দায়ী করছি। তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’
তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইউপিডিএফের খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা। তিনি বলেন, ‘অপহরণের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এ ধরনের প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি আমরা করি না। আমরা সব সময় ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত বন্ধের পক্ষে। কোনো মহল ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অপহরণের ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের ওপর দায় চাপাচ্ছে।’
অপহরণের বিষয়টি পুলিশও স্বীকার করেছে। অপহৃত শিক্ষার্থীদের উদ্ধারেরও চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘চবির পাঁচ শিক্ষার্থীসহ ছয়জনকে অপহরণের বিষয়টি কিছুক্ষণ আগে শুনেছি। এ ঘটনায় পাহাড়ের আঞ্চলিক একটি সংগঠন জড়িত থাকতে পারে। আমরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের অবস্থান শনাক্ত করে উদ্ধারের চেষ্টা করছি।’