খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল
Published: 12th, February 2025 GMT
এক মাসেরও বেশি সময় ধরে লন্ডনে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) লন্ডনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। চিকিৎসকরা খালেদার জিয়ার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের লন্ডনের বাসায় গিয়ে তাকে দেখে এসেছেন বলেও জানান জাহিদ হোসেন।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে ডা.
খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এখানকার চিকিৎসকরা যেদিন তাকে যাওয়ার পরামর্শ দেবেন বা তারা যদি মনে করেন তিনি বিদেশ থেকে দেশে যাওয়ার মতো অবস্থায় আছেন তখনই তিনি দেশে ফিরবেন।”
উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৮ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে ইংল্যান্ডের ‘মধ্য-পশ্চিম লন্ডনের’ মেরিলিবন রোডে ‘দ্য লন্ডন ক্লিনিকে’ ভর্তি করা হয়। বিশেষায়িত এই হাসপাতালে তিনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রফেসর ডা. প্যাট্রিক কেনেডির অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা
ঢাকা/ইভা
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পিকনিকের খাবার খেয়ে অসুস্থ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ ৪৫ জন
রাজশাহীতে পিকনিকের খাবার খেয়ে একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক মিলিয়ে ৪৫ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল সোমবার দুপুর থেকে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টা পর্যন্ত চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তারা ভর্তি হয়েছেন।
চিকিৎসকরা বলছেন, ফুড পয়জনিংয়ের কারণে তারা অসুস্থ হয়েছেন।
আরো পড়ুন:
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের হাসপাতাল চালুর দাবিতে সড়ক অবরোধ
নিজ গোপনাঙ্গ ‘কাটলেন’ যুবক, যা জানালেন চিকিৎসক
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, জেলার চারঘাট উপজেলা সদরের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থানাপাড়া সোয়ালোজ প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে গত রবিবার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ ১৮০ জন গোদাগাড়ী উপজেলার সাফিনা পার্কে পিকনিকে যান। তাদের মধ্যে ৪৭ জন ছিল ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বাকিরা অভিভাবক এবং তাদের আত্মীয়।
পিকনিকের জন্য বিদ্যালয়েই খাবার রান্না করা হয়। সেখানে প্যাকেট করে খাবার নিয়ে যাওয়া হয়। সাফিনা পার্কে পৌঁছানোর পর দুপুর ২টার দিকে দুপুরের খাবার পরিবেশন করা হয়। সন্ধ্যায় পিকনিক থেকে বাড়ি ফেরার পর থেকেই অনেকের ডায়রিয়া ও বমি শুরু হয়।
গতকাল সোমবার দুপুরের দিকে আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়া শুরু করেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ৪৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রপালী খাতুন বলেন, “পিকনিকের খাবার খাওয়ার পর রাত থেকেই আমার দুই মেয়ের ডায়রিয়া শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার থেকে অবস্থা আরো বেশি খারাপ হয়। এখন দুই মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। স্যালাইন চলছে। ভীষণ দুশ্চিন্তায় আছি।”
থানাপাড়া সোয়ালোজ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমিতাভ নেওয়াজ বলেন, “খাবার রান্না করে সুন্দরভাবে পরিবেশন করা হয়েছে। কি কারণে ফুড পয়জনিং হয়েছে বুঝতে পারছি না। আমার মেয়েও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে।”
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌফিক রেজা বলেন, “ফুড পয়জনিংয়ের কারণে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। শিশু বিশেষজ্ঞসহ অন্য চিকিৎসকরা তাদের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছেন। রোগীদের অবস্থা এখন অনেকটাই ভালো। কোনো রোগীর অবস্থা খারাপ হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হবে।”
ঢাকা/কেয়া/মাসুদ