প্রকৃতিতে বসন্তকাল আসি আসি করছে। এখন দিনে হালকা গরম অনুভূত হচ্ছে। তবে সকালে- রাতে এখনও  ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। এই পরিবর্তনশীল আবহাওয়ার সাথে সাথে অনেক রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যাচ্ছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের এই সময়ে অনেকের মধ্যে ঠান্ডা-কাশি, অ্যালার্জি এবং জ্বরের প্রবণতা দেখা যায়। যদি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়, তাহলে আপনি সহজেই এসব সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন। এমন পরিস্থিতিতে, এই পরিবর্তিত আবহাওয়ার সাথে আপনার স্বাস্থ্যের পূর্ণ যত্ন নেওয়া উচিত। পরিবর্তনশীল এই আবহাওয়ায় স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে কিছু টিপস অনুসরণ করুন।

পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন
পরিবর্তিত আবহাওয়ায় রোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য, আপনার খাদ্যতালিকায় পুষ্টিকর খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন। পর্যাপ্ত পরিমাণে ফল এবং সবুজ শাকসবজি খান। এগুলি পুষ্টিতে সমৃদ্ধ এবং আপনাকে অসুস্থ হওয়া থেকেও রক্ষা করে।

হালকা গরম পোশাক পরুন

দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে আমরা গরম অনুভব করতে শুরু করি। একটু গরম অনুভব করার সাথে সাথে অনেকেই শীতের পোশাক পরা বন্ধ করে দেন। কিন্তু সকাল এবং সন্ধ্যায় ঠান্ডা থাকে। তাই এই সময়ে হালকা গরম পোশাক পরুন।

সঠিক পরিমাণে পানি পান করুন
আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য পানি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রোগ থেকে দূরে থাকতে এবং হাইড্রেটেড থাকার জন্য, সঠিক পরিমাণে পানি পান করা উচিত।

ব্যায়াম অনুশীলন করুন
রোগ এড়াতে, নিজেকে ফিট রাখুন। এর জন্য, নিয়মিত হাঁটা এবং হালকা স্ট্রেচিংয়ের মতো কিছু হালকা ব্যায়াম করতে পারেন।

পর্যাপ্ত ঘুমান
ঘুম আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত ঘুমাতে চেষ্টা করুন যাতে আপনার শরীর শক্তিশালী থাকে এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন য আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়াকাটায় জলকেলিতে মাতলেন রাখাইন তরুণ-তরুণীরা

পবিত্র জলে গাঁ ভিজিয়ে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় শুরু হয়েছে রাখাইনদের শত বছরের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই জলকেলি উৎসব।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শ্রী মঙ্গল বৌদ্ধ বিহার সংলগ্ন রাখাইন মার্কেটে তিন দিনব্যাপী এ উৎসবের উদ্বোধন করেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল ইসলাম।  

অনুষ্ঠানের শুরুতে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিবাদে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন রাখাইন জনগোষ্ঠী। 

আরো পড়ুন:

বৈশাখে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের উচ্ছ্বাস 

রঙে-আলোয় উজ্জ্বল বর্ষবরণ

বর্ষবরণের জলকেলি উৎসব উপলক্ষে নাচে-গানে মাতোয়ারা হয়ে ওঠেন রাখাইন তরুণ-তরুণীরা। পরে তারা মাঠের মধ্যে রাখা একটি নৌকার পানি একে অপরের শরীরে ছিটিয়ে জলকেলিতে মেতে ওঠেন।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা অং চো বলেন, “কক্সবাজার থেকে এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য এসেছি। নাচ, গান আর জলকেলি উৎসবে অংশগ্রহণ করেছি। দিনটি আমাদের দারুন কেটেছে। প্রতিবছর এ অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।” 

কেরানিপাড়ার রাখাইন তরুণী ম্যাসুয়েন বলেন, “বর্ষবরণ উপলক্ষে দিনভর নানা আয়োজন ছিল। এখানে সব অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি। বিশেষ করে জলকেলির সঙ্গে নাচ আর গান দারুনভাবে উপভোগ করেছি। এমন আয়োজন করার জন্য উপজেলা প্রশাসনসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।”

কলাপাড়ার ইউএনও রবিউল ইসলাম বলেন, “উপজেলা প্রশাসনের অর্থায়নে ও রাখাইনদের সহযোগিতায় তিন দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছে। রাখাইনদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধরে রাখার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। এ অনুষ্ঠানের নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও থানা পুলিশের পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন তৎপর রয়েছে।”

পটুয়াখালী রাখাইন বুড্ডিস ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এমং তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- সরকারি মোজাহার উদ্দিন অনার্স কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ফাতেমা হেরেন, কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান, মহিপুর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম ও কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান। 

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ