পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদ সেনা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নতুন একটি সংগঠন আত্মপ্রকাশ করেছে। সংগঠনটির নাম ‘শহীদ সেনা অ্যাসোসিয়েশন’।

আজ বুধবার রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়। পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব‍্য দেন শহীদ কর্নেল মুজিবুল হকের স্ত্রী নাহরীন ফেরদৌস।

লিখিত বক্তব‍্যে বলা হয়, পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য ফেব্রুয়ারি মাসটি অনেক কষ্টের। তাঁরা দিন গুনতে থাকেন, মাসটি কখন শেষ হবে। আজ তাঁরা কয়েকটি বিষয়ে জানাতে এই সংবাদ সম্মেলন করছেন। এর মধ্যে রয়েছে—শহীদ সেনা অ্যাসোসিয়েশনের আত্মপ্রকাশ ও ২৫ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় শহীদ সেনা দিবস ঘোষণার দাবি।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সম্মিলিত শহীদ পরিবারের সদস্যদের সম্মতিতে একটি শহীদ সেনা অ্যাসোসিয়েশন গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ডের যেকোনো শহীদ পরিবারের সদস্য এই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হতে পারবেন। কাজের সুবিধার্থে এই মুহূর্তে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১৬ বছর ধরে শহীদ সেনা পরিবারের সদস্যরা ২৫ ফেব্রুয়ারিকে যেন শহীদ সেনা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়, সেই দাবি করে এসেছেন। ১ ফেব্রুয়ারির সেনাপ্রধান শহীদ পরিবারের একটি প্রতিনিধিদলকে সেনাসদর দপ্তরে আমন্ত্রণ জানান। তিনি আশ্বাস দেন, এই দিনটিকে যেন ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়, সে জন্য সেনাবাহিনী সরকারের কাছে জোর আবেদন জানাবে। তাঁরা আশা করছেন, এই ২৫ ফেব্রুয়ারির আগেই দেশবাসী সুখবরটি পাবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ব র র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

ছবি তুলতে গেলে চটেন শম্ভু, বলেন ‘ব্যাডা, কোনো কাম নাই’

ছবি, ভিডিও করতে যাওয়ায় আদালতপাড়ায় সাংবাদিকের ওপর চটেছেন বরগুনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘ব্যাডা, কোনো কাম নাই।’’

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতপ্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, এদিন আশুলিয়া থানার এক হত্যা মামলায় ডা. এনামুর রহমান, বরগুনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে এবং আরেক মামলায় শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে এবং সাভার থানার ৬ মামলায় এনামুর রহমানকে গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানি হয়। এ ছাড়া সাভার থানার এক শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় এনামুর রহমানের ১০ দিনের রিমান্ডের বিষয়ে শুনানির জন্য ধার্য ছিল।

এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাদের আদালতে হাজির করা হয়।

প্রথমে ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাজুল ইসলামের আদালতে শুনানির জন্য তাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তখন সাংবাদিকরা তার ছবি তুলতে এবং ভিডিও করতে যান। তা দেখে চটে যান ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। বলেন, ‘‘ব্যাডা, এতো ছবি উঠাও। কোনো কাম নাই। একবার উঠালেই তো হয়। এতো ছবি দিয়ে কী হবে।’’

এরপর তিনি বেসরকারি এক টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসনের কাছে জানতে চান, ‘‘এ কোন টেলিভিশন।’’ তখন ওই ক্যামেরাপারসন জানান, ‘‘নিউজ টুয়েন্টিফোর।’’

এরপর তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানি হয়। আদালত দুই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

পরে যখন তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন ওই ক্যামেরাপারসনকে উদ্দেশ করে শম্ভু বলেন, ‘‘এতো ছবি তোলোস কেন?’’ পরে আবার বলেন, ‘‘এই ভালো করে উঠাস, যেন টিভিতে দেখাস।’’ তখন ওই ক্যামেরাপারসন বলেন, ‘‘এতদিন দেখেননি?’’ তিনি বলেন, ‘‘না দেখিনি।’’

পরে তাদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ডা. এনামকে নেওয়া হয় সাভার থানার সাত হত্যা মামলার শুনানিতে।

ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কে এম মহিউদ্দিনের আদালত এক শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় তার পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। আদালত ৬ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

ঢাকা/মামুন/এনএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ