আপনি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে হত্যা করার চেষ্টা করছেন: জয়া
Published: 12th, February 2025 GMT
ভারতের বর্তমান সরকার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বলিউড অভিনেত্রী ও ভারতের সমাজবাদী পার্টির সংসদ সদস্য জয়া বচ্চন। মোদি সরকারের চলতি বছরের বাজেট নিয়ে রাজ্য সভায় এসব কথা বলেন অমিতাভ ঘরণী।
জয়া বচ্চন বলেন, “আপনারা একটি শিল্পকে সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করছেন। অন্যান্য সরকারও একই কাজ করছে। আপনারা আজ এটাকে অন্য এক পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন। আপনি সিনেমা এবং বিনোদন শিল্পকে সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করেছেন। কারণ আপনি শুধুই নিজের উদ্দেশ্য পূরণের জন্য এগুলো ব্যবহার করেন।”
ভারতের বর্তমান সরকার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে ধ্বংস করতে চায়। এ তথ্য উল্লেখ করে জয়া বচ্চন বলেন, “এবার জিএসটি বাদ দিন, সমস্ত সিঙ্গেল স্ক্রিন (থিয়েটার) বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। মানুষ সিনেমা হলে যাচ্ছেন না। কারণ সবকিছু অনেক ব্যয়বহুল হয়ে গিয়েছে। আপনি হয়ত এই শিল্পকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করতে চান। তবে এটাই একমাত্র শিল্প যা সমগ্র বিশ্বকে ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত করে।”
আরো পড়ুন:
‘আমি রান্না করি আর রাজকুমার থালাবাসন ধুয়ে আমাকে সাহায্য করে’
চুম্বন দৃশ্যের শুটিংয়ের পর কেন কেঁদেছিলেন মাধুরী?
সরকারকে সিনেমা শিল্পের প্রতি দয়া করার অনুরোধ জানিয়ে জয়া বচ্চন বলেন, “আমি আমার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির পক্ষ থেকে বলছি, অডিও-ভিজ্যুয়াল শিল্পের পক্ষ থেকে এই সংসদের কাছে অনুরোধ করছি যে, অনুগ্রহ করে ওদের প্রতি দয়া করুন। ওদের উপর এই বোঝা চাপাবেন না। আপনি এই শিল্পকে হত্যা করার চেষ্টা করছেন। দয়া করে এটি করবেন না। এখন থেকে আপনি সিনেমাকেও টার্গেট করেছেন।”
ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি তুলে ধরে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে জয়া বচ্চন বলেন, “আমি অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি, এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখার জন্য কিছু একটা করুন; দয়া করে কিছু ব্যবস্থা নিন।”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র ফ ল ম ইন ড স ট র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
গাজা পুনর্গঠনে ৫৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ লাগবে: জাতিসংঘ
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুনফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ধ্বংসযজ্ঞ কাটিয়ে ওঠা ও পুনর্গঠনের জন্য ৫৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থের প্রয়োজন পড়বে বলে অনুমান করেছে জাতিসংঘ। এই অর্থের মধ্যে প্রথম তিন বছরেই ২০ বিলিয়ন ডলার লাগবে।
তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলুর খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এই হিসাব উঠে এসেছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “গাজা উপত্যকায় স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদী পুনরুদ্ধার ও পুনর্গঠনের চাহিদা ৫৩.১৪২ বিলিয়ন ডলার অনুমান করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম তিন বছরে স্বল্পমেয়াদি চাহিদা প্রায় ২০.৫৬৮ বিলিয়ন ডলার বলে অনুমান করা হয়েছে।”
সংঘাতের ভয়াবহ অর্থনৈতিক ও মানবিক ক্ষতির কথা তুলে ধরে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালে গাজার অর্থনীতি ৮৩ শতাংশ ভেঙে পড়েছে, বেকারত্ব ৮০ শতাংশে পৌঁছেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ২০২৪ সালে দারিদ্র্যতা বেড়ে ৭৪.৩ শতাংশ হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা ২০২৩ সালের শেষে ৩৮.৮ শতাংশ ছিল।”
জাতিসংঘের মহাসচিব জোর দিয়ে বলেন, “যুদ্ধবিধ্বস্তা গাজা উপত্যকায় তাৎক্ষণিক মানবিক চাহিদা পূরণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি বলেন, “তাৎক্ষণিক এবং স্বল্পমেয়াদি উদ্যোগ হিসেবে, মানবিক সংকটের তীব্র মাত্রা মোকাবিলা করার জন্য জীবন রক্ষাকারী মানবিক সহায়তা প্রদানের ওপর অব্যাহত মনোযোগ প্রয়োজন।”
প্রতিবেদনে দুটি মূল অগ্রাধিকারের উপর জোর দেওয়া হয়েছে – শক্তিশালী বেসামরিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং সাহায্যের নিরাপদ ও বাধাহীন অ্যাকসেস নিশ্চিত করা।
প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়েছে, “গাজায় বেশিরভাগ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি, প্রায় ১০ লাখ ১৩ হাজার মানুষ অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র বা তাঁবুতে রয়েছে, যা পর্যাপ্ত সুরক্ষা প্রদান করে না। স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবাগুলো খুবই অপর্যাপ্ত।”
প্রতিবেদনে ডিসেম্বর ও জানুয়ারির শুরুতে হাইপোথার্মিয়ার কারণে গাজায় কমপক্ষে আট শিশুর মৃত্যুর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে এবং গাজায় পূর্ণাঙ্গ শাসনব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা প্রস্তুত করার জন্য আরো শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সমর্থনের আহ্বান জানিয়েছেন গুতেরেস।
তিনি বলেন, “রাজনৈতিক, প্রাতিষ্ঠানিক এবং অর্থনৈতিক সংস্কারেরও প্রয়োজন হবে, তবে সেগুলো অর্জনযোগ্য এবং যথাযথভাবে অর্থায়ন করা উচিত।”
জাতিসংঘের প্রধান জোর দিয়ে আরো বলেন, “গাজাকে অবশ্যই একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে থাকতে হবে, এর ভূখণ্ডে কোনো ধরনের দখলদারিত্ব ছাড়াই। অধিকৃত পশ্চিম তীরের সঙ্গে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক ঐক্য বজায় রাখতে হবে।”
বিএইচ