খাগড়াছড়িতে আ.লীগের আরো ১৪ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
Published: 12th, February 2025 GMT
খাগড়াছড়িতে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের আরো ১৪ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ নিয়ে তিনদিনে ৩২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, “জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। রাস্তায় রাস্তায় বসানো হয়েছে চেক পোষ্ট। সন্ত্রাসীদের নির্মূল না করা পর্যন্ত অভিযান চলবে।”
জেলা পুলিশ জানায়, খাগড়াছড়িতে গত ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের পানছড়ি উপজেলার সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সাকিবুর রহমান, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের পানছড়ি ইউনিয়নের সভাপতি জাহেদুল আলম অীনক, মাটিরাঙা উপজেলার বড়নাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাফর আহাম্মদ আবু জাফর, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের আচালং ইউনিয়নের যুগ্ম-সম্পাদক মো.
আরো পড়ুন:
সারদা থেকে এসপি তানভীর সালেহীন আটক
তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষ, কামড়ে ছিঁড়ে নেওয়া হলো যুবকের কান
গুইমারা উপজেলা যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক হারুনুর রশিদ, লক্ষীছড়ি উপজেলার দুল্যাতলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মো. লোকমান হোসেন, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের উপজেলা সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাদশা মিয়া ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মহালছড়ি সদর ইউনিয়নের নেতা মো. নুরুল ইসলাম বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঢাকা/রূপায়ন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ উপজ ল র আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
ছবি তুলতে গেলে চটেন শম্ভু, বলেন ‘ব্যাডা, কোনো কাম নাই’
ছবি, ভিডিও করতে যাওয়ায় আদালতপাড়ায় সাংবাদিকের ওপর চটেছেন বরগুনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘ব্যাডা, কোনো কাম নাই।’’
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতপ্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, এদিন আশুলিয়া থানার এক হত্যা মামলায় ডা. এনামুর রহমান, বরগুনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে এবং আরেক মামলায় শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে এবং সাভার থানার ৬ মামলায় এনামুর রহমানকে গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানি হয়। এ ছাড়া সাভার থানার এক শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় এনামুর রহমানের ১০ দিনের রিমান্ডের বিষয়ে শুনানির জন্য ধার্য ছিল।
এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাদের আদালতে হাজির করা হয়।
প্রথমে ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাজুল ইসলামের আদালতে শুনানির জন্য তাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তখন সাংবাদিকরা তার ছবি তুলতে এবং ভিডিও করতে যান। তা দেখে চটে যান ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। বলেন, ‘‘ব্যাডা, এতো ছবি উঠাও। কোনো কাম নাই। একবার উঠালেই তো হয়। এতো ছবি দিয়ে কী হবে।’’
এরপর তিনি বেসরকারি এক টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসনের কাছে জানতে চান, ‘‘এ কোন টেলিভিশন।’’ তখন ওই ক্যামেরাপারসন জানান, ‘‘নিউজ টুয়েন্টিফোর।’’
এরপর তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানি হয়। আদালত দুই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
পরে যখন তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন ওই ক্যামেরাপারসনকে উদ্দেশ করে শম্ভু বলেন, ‘‘এতো ছবি তোলোস কেন?’’ পরে আবার বলেন, ‘‘এই ভালো করে উঠাস, যেন টিভিতে দেখাস।’’ তখন ওই ক্যামেরাপারসন বলেন, ‘‘এতদিন দেখেননি?’’ তিনি বলেন, ‘‘না দেখিনি।’’
পরে তাদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ডা. এনামকে নেওয়া হয় সাভার থানার সাত হত্যা মামলার শুনানিতে।
ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কে এম মহিউদ্দিনের আদালত এক শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় তার পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। আদালত ৬ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
ঢাকা/মামুন/এনএইচ