খাগড়াছড়িতে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের আরো ১৪ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ নিয়ে তিনদিনে ৩২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, “জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। রাস্তায় রাস্তায় বসানো হয়েছে চেক পোষ্ট। সন্ত্রাসীদের নির্মূল না করা পর্যন্ত অভিযান চলবে।” 

জেলা পুলিশ জানায়, খাগড়াছড়িতে গত ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের পানছড়ি উপজেলার সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সাকিবুর রহমান, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের পানছড়ি ইউনিয়নের সভাপতি জাহেদুল আলম অীনক, মাটিরাঙা উপজেলার বড়নাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাফর আহাম্মদ আবু জাফর, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের আচালং ইউনিয়নের যুগ্ম-সম্পাদক মো.

বিলাল হোসাইন, দপ্তর সম্পাদক মো. হাবিব উল্যা, খাগড়াছড়ির ইসলামপুরের আওয়ামী লীগ নেতা মো. সবুজ ভুইয়া, রামগড় উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইউছুফ পাটোয়ারী, সদস্য মো. আলমগীর হোসেন, দীঘিনালা বোয়ালখালী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মো. করিম, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মেরুং ইউনিয়নের মো. সুমন গাজী ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কবাখালীর নেতা মো. আসিফ।

আরো পড়ুন:

সারদা থেকে এসপি তানভীর সালেহীন আটক

তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষ, কামড়ে ছিঁড়ে নেওয়া হলো যুবকের কান

গুইমারা উপজেলা যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক  হারুনুর রশিদ, লক্ষীছড়ি উপজেলার দুল্যাতলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মো. লোকমান হোসেন, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের উপজেলা সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাদশা মিয়া ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মহালছড়ি সদর ইউনিয়নের নেতা মো. নুরুল ইসলাম বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

ঢাকা/রূপায়ন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ উপজ ল র আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

ভিউ বাণিজ্যে ক্ষতি হয় ক্রিকেটারদের

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অতিরিক্ত কনটেন্ট ও নেতিবাচক উপস্থাপনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় দলের ব্যাটার লিটন কুমার দাস। সম্প্রতি সমকালের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘মাঠে ব্যাটিংটা সুন্দর বলেই সবাই ধরে নেয় আমি নামলেই রান করব। কিন্তু আমি তো মানুষ, সব সময় তো রান করা সম্ভব না।’

২০১৯ সালে লিটনের ব্যাটিং দেখে ভীষণ মুগ্ধ হয়েছিলেন ইয়ান বিশপ। সেবার বিশ্বকাপে এই ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ধারাভাষ্য দেয়ার সময় লিটনের প্রতিটি শটকে লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির আঁকা বিখ্যাত চিত্রকর্ম মোনালিসার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। তার মতে ইতালিয়ান চিত্রকর দ্য ভিঞ্চি তুলির আঁচড়ে মোনালিসার যে চিত্র ফুটিয়ে তুলেছিলেন লিটনের ব্যাট যেন ঠিক তার তুলির মতোই।

এমন ছবির মত ব্যাটিংয়ের কথা জিজ্ঞেস করতেই আপত্তি তুললেন লিটন। জানালেন, এমন প্রশংসা আমার জন্য নেতিবাচক। আমার ব্যাটিং সুন্দর দেখে প্রতিদিন রান করতে হবে, এই জিনিসটি সবার ভেতরে গেঁথে গেছে। সবাই ভাবে আমি মাঠে গেলেই রান করব। কেউ রান করুক বা নাই করুক, আমাকে রান করতে হবে। কিন্তু আমি তো মানুষ, ফেল হতেই পারি। একজন বোলারের একটি ভালো বলে আউট হতেই পারি। একটি ভালো ক্যাচ নিতে পারে বা আমি একটি বাজে শট খেলতে পারি; কারণ আমি মানুষ।

লিটন ক্ষোভ ঝেড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার ভিউ বাণিজ্য নিয়েও। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার খারাপ মুহূর্তগুলো বারবার তুলে ধরা হয় উল্লেখ করে লিটন বলেন, যারা নিউজ পোর্টাল চালায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় রিলস বানায়, তাদের উপস্থাপনায় থাকে আমি কেন রান করছি না। আমাকে নিয়ে দিনের পর দিন তারা কনটেন্ট বানিয়েই যাচ্ছে। এটি শুধু চাপই নয়, বরং মানসিকভাবে ‘হ্যাম্পার’ করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা রিল বানায়, ইউটিউবে কনটেন্ট দেয়, তারা নিজেদের মতো করে উপস্থাপন করে—কিন্তু সেটি নৈতিক জায়গা থেকে না। এতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ক্রিকেটারদের জন্যও ভুল বার্তা যাচ্ছে। একজন খেলোয়াড়ের খারাপ দিন থাকতেই পারে। কিন্তু একাধিকবার সেই খারাপ মুহূর্ত প্রচার করায় দর্শক বিভ্রান্ত হয়। এই কনটেন্ট কিছু মানুষের জন্য ভালো—ভিউ বাড়ে, লাভ হয়। কিন্তু আমাদের জন্য তা হতাশাজনক।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ