নতুন মামলায় সালমান, শম্ভু ও সাবেক আইজিপিসহ গ্রেপ্তার দেখানো হলো ৩ জনকে
Published: 12th, February 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কেন্দ্রিক আশুলিয়া থানার পৃথক মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণিজ্য উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বরগুনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
আজ বুধবার সকালে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এ দিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাজুল ইসলাম তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
জানা যায়, এক মামলায় সালমান ও মামুনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। একই থানার আরেক মামলায় শম্ভুকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এদিন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সালমান এফ রহমান তার আইনজীবীর কাছে জানতে চান, কোন মামলা? তাকে আইনজীবী জানান, আশুলিয়া থানার। তখন সালমান এফ রহমান জানতে চান, শ্যোন অ্যারেস্ট? আইনজীবী বলেন, হ্যাঁ। এরপর আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেন তিনি। শম্ভুকেও তার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে। তবে নীরব ছিলেন চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। এদিন ডা.
এরপর গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ব ক আইজ প চ ধ র আবদ ল ল হ আল ম ম ন আইনজ ব রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের রুল
নোয়াখালীর সাউথ বাংলা হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলা ও ভুল চিকিৎসায় মা ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় কেন ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রুল জারি করেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিবসহ রিটে উল্লিখিত বিবাদীদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. সোলায়মান (তুষার)। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শফিকুর রহমান।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে নোয়াখালীর সেনবাগ প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ আউয়ালের পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান রিটটি করেন।
এতে বলা হয়, ২০২৩ সালের ১৬ অক্টোবর রাতে সাংবাদিক এম এ আউয়াল তাঁর অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে উম্মে সালমা নিশিকে নিয়ে সাউথ বাংলা হাসপাতালে যান। সেখানে ডা. আক্তার হোসেন অভি ও তাঁর স্ত্রী ডা. ফৌজিয়া ফরিদ রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি ছাড়াই পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে এবং অভিভাবকের সম্মতি না নিয়ে তাড়াহুড়া করে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করেন। এতে মা ও নবজাতক দু’জনই হাসপাতালে মারা যায়। তবে ঘটনা ধামাচাপা দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও দুই চিকিৎসক নিশির অবস্থা সংকটাপন্ন জানিয়ে আইসিইউ সাপোর্টের কথা বলে কুমিল্লার হাসপাতালে পাঠায়। পরে কুমিল্লার টাওয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, অনেক আগেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।