১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনস ডে উপলক্ষে সকল প্রেমিক যুগলদের জন্য প্রেমময় সাজসজ্জা এবং ভোজনবিলাসের এক মুগ্ধকর আয়োজন করেছে দ্য ওয়েস্টিন ঢাকা। শহরের সেরা রেস্টুরেন্টগুলোর থিমযুক্ত মেনু ও মনোরম পরিবেশের মাধ্যমে অতিথিদের ভালোবাসা দিবস উদযাপনের জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছে হোটেলটি। 

ভ্যালেন্টাইনস ডে উপলক্ষে দ্য ওয়েস্টিন ঢাকায় যেসব আয়োজন থাকছে: 
টেস্ট অব লাভ বুফে স্পেশাল:
১৩, ১৪ এবং ১৫ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে এই বুফেতে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় নানা পদ থাকছে, যার মধ্যে ভ্যালেন্টাইন স্পেশাল কার্ভিং স্টেশন, লাইভ কাউন্টার, সুসি সিলেকশন, গ্রিল স্টেশন এবং হৃদয় আকৃতির ডেজার্ট রয়েছে। এছাড়াও আনন্দ আরও বাড়াতে নির্বাচিত ব্যাংক পার্টনারদের সাথে একটা কিনলে একটা ফ্রি ও একটা কিনলে দুইটা ফ্রি অফার উপলব্ধ।

ডেইলি ট্রিটস – মিষ্টি স্বাদ:
মিষ্টিপ্রেমীদের জন্য ডেইলি ট্রিটস (লোয়ার লবিতে অবস্থিত) ভ্যালেন্টাইন স্পেশাল বেকারি ও পেস্ট্রি আইটেম নিয়ে হাজির। অতিথিরা ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২০ শতাংশ ছাড় উপভোগ করতে পারবেন।

স্প্ল্যাশ অফ রোম্যান্স – পুলসাইড বারবিকিউ ডিনার:
খোলা আকাশের নিচে উপভোগ করতে চাইলে লেভেল ৫ এ স্প্ল্যাশ অফ রোম্যান্স-এ থাকছে পুলসাইড বারবিকিউ বুফে ডিনার। প্রতিজনের জন্য খরচ পরবে ৬,০০০ টাকা। তারার নিচে একটি রোমান্টিক পরিবেশে এই অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন।

প্রেগো – একটি রোমান্টিক সন্ধ্যা:
ব্যক্তিগত এবং রোমান্টিক অভিজ্ঞতার জন্য লেভেল ২৩ এ অবস্থিত প্রেগো রেস্টুরেন্ট উপস্থাপন করছে ৭-কোর্স সেট ডিনার। দম্পতি প্রতি খরচ পড়বে ১৫,৯৯০ টাকা। প্রেগো-এর বিশেষ ইতালিয়ান খাবার ও শহরের অপরূপ দৃশ্য ভ্যালেন্টাইন সন্ধ্যাকে স্মরণীয় করে তুলবে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ভ য ল ন ট ইন স ড উপলক ষ র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

আনন্দ শোভাযাত্রায় রবীন্দ্রনাথ-নজরুল-মীর মশাররফ-লালন, মুগ্ধ দর্শনার্থীরা

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পহেলা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রায় দেখা মিলেছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বাংলা সাহিত্যের অমর কথা সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন, ফকির লালন সাঁই, মুঘল সম্রাট আকবর, গ্রামীণ সাংবাদিকতার পথিকৃৎ কাঙাল হরিনাথসহ অন্তত ৩৮ জন বিখ্যাত মনীষীর। তবে তারা আসল নয়, ডামি। ডামি হলেও তাদের মাধ্যমে দারুণভাবে ফুটেছে বিখ্যাত ব্যক্তিদের চেহারা ও অবয়ব। তাদের দেখে মুগ্ধ নতুন প্রজন্মের দর্শনার্থীরা।

এছাড়াও শোভাযাত্রায় বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও চব্বিশের গণ অভ্যুত্থানের সচিত্র দেখা গেছে।

সোমবার সকালে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে এমন বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন।

জানা গেছে, বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষ্যে সোমবার সকাল সাগে ৯টায় কুমারখালী শিল্পকলা একাডেমি থেকে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করে উপজেলা প্রশাসন। আনন্দ শোভাযাত্রাটি হলবাজার, গণমোড়, থানামোড়, গোলচত্বর, উপজেলা সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে স্থানীয় আবুল হোসেন তরুণ অডিটোরিয়ামে চত্বরে শেষ হয়। পরে সেখানে দই চিড়া খাওয়া, সাংস্কৃতিক অনু্ষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কুমারখালী শিল্পকলা একাডেমীর ১২৫ জন সংগীত ও নৃত্যশিল্পী নেন এবং শোভাযাত্রায় কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে কুমারখালী সরকারি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী রুহিনা ইসলাম প্রজ্ঞা বলেন, বৈশাখী শোভাযাত্রায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, পিয়ারী সুন্দরী, কাজী মিয়াজান, মীর মশাররফ হোসেনসহ অসংখ্য মনীষীদের দেখেছি। খুব ভালো লেগেছে।

কলেজ ছাত্র শুভ মোল্লা বলেন, প্রত্যাশার চেয়েও বেশি জাঁকজমক হয়েছে আয়োজন। বন্ধুরা মিলে খুবই আনন্দ করছি।

সুবর্ণা খাতুন নামের এক শিশু জানায়, পহেলা বৈশাখ অনুষ্ঠানে নৃত্য করেছি। দই চিড়া খেয়েছি। খুবই ভালো লাগছে।

প্রায় ১৮ ধরে বৈশাখের শোভাযাত্রায় মীর মশাররফ হোসেনের ডামি চরিত্রে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুর রহমান মানু। তিনি বলেন, প্রতি বৈশাখে একই চরিত্রে থাকি। নিজের কাছে খুবই ভালো লাগে। যতদিন বাঁচি, এ চরিত্রেই থাকতে চাই।

আধুনিকতার বাইরে এসে যেন বাংলা সংস্কৃতি ধরে রাখতে পারি। সেজন্য সম্রাট আকবরের ডামি সেজেছিলাম। কথাগুলো বলছিলেন চয়ন শেখ।

পরিচয় জানতেই 'বল বীর, বল উন্নত মম শির! শির নেহারি আমারই নত শির ওই শিখর হিমাদ্রীর!' কবিতার কয়েকটি লাইন বলতে থাকেন পান্টি এলাকার মিলন হোসেন। তিনি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ডামি ছিলেন।

নতুন প্রজন্মের কাছে বাঙালির ইতিহাস ঐহিত্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরতে এবং বিখ্যাত ব্যক্তিদের পরিচিত করতে রবীন্দ্রনাথ, মশাররফ, কাঙাল, বাঘা যতীনসহ ৩৮টি ডামি চরিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৭১ এর মুক্তিযোদ্ধা, ২৪ এর গণ অভ্যর্থান, প্যালেস্টাইনের চিত্র দারুণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বলে জানান ডামি পরিচালক কবি ও নাট্যকার লিটন আব্বাস।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাস বলেন, আনন্দ শোভাযাত্রায় বিখ্যাত ব্যক্তি ও মনীষীদের চরিত্র দারুণভাবে ফুটে উঠেছে। তা দেখে মুগ্ধ সব শ্রেণি পেশার মানুষ। ডামি ছাড়াও চিড়া দই খাওয়া, সাংস্কৃতিক অনু্ষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চড়ক মেলায় মেতে উঠেছিল নাটোরের শংকরভাগ 
  • কুমারখালীতে অন্যরকম আনন্দ শোভাযাত্রা
  • নববর্ষেও বাংলাদেশের মানুষ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ: দুলু
  • আনন্দ শোভাযাত্রায় রবীন্দ্রনাথ-নজরুল-মীর মশাররফ-লালন
  • আনন্দ শোভাযাত্রায় রবীন্দ্রনাথ-নজরুল-মীর মশাররফ-লালন, মুগ্ধ দর্শনার্থীরা
  • হালখাতা আছে, নেই নিমন্ত্রণ
  • মারমাদের মাহা সাংগ্রাই উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা
  • ‌‘তৌহিদী জনতার’ চিঠিতে বাতিল হলো শেষের কবিতা নাটকের প্রদর্শনী
  • রাষ্ট্র ও সমাজকে পথশিশুদের প্রতি মানবিক হতে হবে
  • চন্দনাইশের ‘হাতপাখা’ গ্রামে ১০ কোটি টাকার ব্যবসা