শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো কোর্স ইমপ্রুভমেন্ট পরীক্ষা চালু
Published: 12th, February 2025 GMT
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো ‘কোর্স মানোন্নয়ন (ইম্প্রুভমেন্ট) পরীক্ষা’ পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে পরবর্তী ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এ পদ্ধতিতে কোর্সের মানোন্নয়নের জন্য আবেদন করতে পারবেন। যেসব শিক্ষার্থী কোনো কোর্সে গ্রেড বি মাইনাস অর্থাৎ সিজিপিএ ২ দশমিক ৭৫–এর কম পাবেন, শুধু তাঁরাই মানোন্নয়ন পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন। এ জন্য ফি ১২০ টাকা জমা দিতে হবে। ১২ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বিভাগ অথবা ইনস্টিটিউটে কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। গত সোমবার বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুনপ্রাথমিকের শিক্ষকদের বেতন গ্রেড বৃদ্ধি, বিদ্যালয়কে লাল–হলুদ ও সবুজ শ্রেণিতে ভাগ করার সুপারিশ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫গত সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো.
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগ অথবা ইনস্টিটিউটের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক পরীক্ষার্থীদের কোর্স ইম্প্রুভমেন্ট পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ বা ইনস্টিটিউট থেকে কোর্স নিবন্ধন ফরম (হার্ডকপি) সংগ্রহ করে তা পূরণপূর্বক সোনালী ব্যাংকের হিসাব নম্বর এসটিডি-৬–এ নিয়মিতহারে প্রতি ক্রেডিট তত্ত্বীয় ফি ১২০ টাকা হারে জমা দিয়ে ফরমসহ রসিদ ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বিভাগ অথবা ইনস্টিটিউটে জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুননার্সিংয়ে ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি, আবেদনের শর্তসহ জেনে নিন বিস্তারিত১ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞপ্তিতে কোর্সের মানোন্নয়ন পরীক্ষার শর্তে বলা হয়েছে, যেসব শিক্ষার্থী কোনো কোর্সে গ্রেড বি মাইনাস অর্থাৎ সিজিপিএ ২ দশমিক ৭৫–এর কম পাবেন, শুধু তাঁরাই মানোন্নয়ন পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন। এমনকি একজন শিক্ষার্থী কেবল একবারই সর্বোচ্চ দুইটি তত্ত্বীয় কোর্সের মানোন্নয়ন পরীক্ষা দিতে পারবেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিলুপ্তপ্রায় গোটালি মাছের কৃত্রিম প্রজননে সাফল্য
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো বিলুপ্তপ্রায় সুস্বাদু দেশীয় গোটালি মাছের কৃত্রিম প্রজনন ও পোনা উৎপাদনে প্রাথমিক সফলতা পেয়েছে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) একদল বিজ্ঞানী।
মিঠাপানির জলাশয় বিশেষ করে পাহাড়ী ঝর্ণা ও অগভীর স্বচ্ছ নদী এদের আবাসস্থল হিসেবে চিহ্নিত। উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, আত্রাই ছাড়াও নেত্রকোনার সোমেশ্বরী, কংস, সিলেটের পিয়াইন, পদ্মা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীতে এক সময় মাছটির প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যেত। এখন মাছটি বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।
মাছটির কৃত্রিম প্রজনন এবং পোনা তৈরির কলাকৌশল উদ্ভাবনের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন বিএফআরআইয়ের পাবলিকেশন অফিসার এসএম শরীফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের ২৬১ প্রজাতির মিঠাপানির মাছের মধ্যে গোটালি (বৈজ্ঞানিক নাম Crossochelius latius) একটি গুরুত্বপূর্ণ সুস্বাদু ছোট মাছ। মাছটি অঞ্চলভেদে কালাবাটা নামেও পরিচিত।”
তিনি আরও বলেন, “জলাশয় দূষণ, অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ, নদীতে বান ও কারেন্ট জালের ব্যবহার, খরা মৌসুমে জলাশয় শুকিয়ে মাছ ধরা এবং নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ ধরা, বাসস্থান ও প্রজননক্ষেত্র বিনষ্ট হওয়াসহ নানা কারণে অন্যান্য দেশীয় ছোট মাছের ন্যায় এ মাছের প্রাপ্যতাও ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) তথ্য মতে, ২০১৫ সালে মাছটি বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় অন্তর্ভূক্ত।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রজাতিটি বিপন্নের হাত থেকে রক্ষার লক্ষ্যে ইনস্টিটিউটের সৈয়দপুর স্বাদুপানি উপকেন্দ্রে বিজ্ঞানীরা ২০২৩ সালে তিস্তা ব্যারেজ সংলগ্ন এলাকা থেকে মাছটি সংগ্রহ করেন। এরপর উপকেন্দ্রের গবেষণা পুকুরে অভ্যস্তকরণ ও কৃত্রিম প্রজননের জন্য গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে দেশে প্রথমবারের মত কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে পোনা উৎপাদনে সফলতা অর্জিত হয়।
এ গবেষণায় নেতৃত্বে দেন বিএফআরআইয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আজহার আলী। এছাড়াও গবেষক দলে ছিলেন, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকতা ড. সোনিয়া শারমীন, মালিহা হোসেন মৌ ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শ্রীবাস কুমার সাহা।
এসএম শরীফুল ইসলাম বলেন, “বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ এ মাছটির কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে পোনা উৎপাদন সম্ভব হওয়ায় মাছটি চাষের আওতায় চলে আসবে। এতে উত্তর জনপদে তথা দেশের মৎস্য খাতে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখবে এবং মাছটি বিলুপ্তির হাত থেকেও রক্ষা পাবে।”
ঢাকা/মেহেদী