পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ‌‌‘শহীদ সেনা অ্যাসোসিয়েশন’ নামে একটি নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। বুধবার রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে শহীদ কর্নেল মজিবুল হকের স্ত্রী না‎হরীন ফেরদৌস এই সংগঠনের ঘোষণা দেন। 

তিনি জানান, নতুন সংগঠন গঠনের প্রধান উদ্দেশ্য হলো শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের অবদান ও তাদের স্মৃতি ধরে রাখা এবং শহীদ পরিবারগুলোর কল্যাণে কাজ করা।

নাহরীন ফেরদৌস বলেন, গত ১৬ বছর ধরে শহীদ পরিবারগুলো প্রতি বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি তিন-চার হাজার মানুষের জন্য মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করছে। এই ধারাবাহিকতায় এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের সম্মতিতে একটি স্থায়ী প্ল্যাটফর্ম ‘শহীদ সেনা অ্যাসোসিয়েশন’ গঠন করা হয়েছে। ২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ডের যেকোনো শহীদ পরিবারের সদস্য এই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হতে পারবেন।

তিনি জানান, সংগঠনের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য www.

shaheedshenaassociation.com ওয়েবসাইটে এবং শহীদ সেনা অ্যাসোসিয়েশনের ফেসবুক পেজে নিয়মিত প্রকাশ করা হবে। এই সংগঠন মিলাদ মাহফিল, প্রদর্শনী, বই প্রকাশনা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডসহ অন্যান্য সামাজিক উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। অ্যাসোসিয়েশনের বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে শহীদ অফিসারদের নিজ নিজ অবদান তুলে ধরা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে শহীদ সেনা পরিবারের পক্ষ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণার দাবি জানানো হয়।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ব র র র সদস য স গঠন গঠন র

এছাড়াও পড়ুন:

হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে কমেছে পাসপোর্টযাত্রী পারাপার

ভিসা জটিলতায় দিনাজপুরের হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে কমেছে পাসপোর্টযাত্রী পারাপার। গত ৫ আগস্টের পর শুরু হয় এই ভিসা জটিলতা। এর আগে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৬৫০ যাত্রী পারাপার হলেও বর্তমানে তা কমে ১৫০ থেকে ১৮০ জন যাত্রী পারাপার হচ্ছে। 

তবে এসব যাত্রী শুধুমাত্র মেডিকেল ও স্টুডেন্ট ভিসায় যাতায়াত করছেন। টুরিস্ট ও বিজনেস ভিসা বন্ধ থাকায় কমেছে যাত্রী পারাপার, বলছেন ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। এদিকে বিজনেস ও টুরিস্ট ভিসা বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন আমদানিকারকসহ সাধারণ মানুষ। 

হিলি স্থলবন্দর বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর। এই বন্দর দিয়ে ভারতের সাথে আমদানি-রপ্তানির কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। বিগত বছরের ৫ আগস্টের পর ভারত সরকার নতুন করে ভিসা ইস্যু না করার কারণে বিপাকে পড়েছেন বন্দরের আমদানিকারকরা। এতে করে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে কমেছে পাসপোটযাত্রী পারাপার। তবে যেসব ব্যবসায়ীদের বিজনেস ভিসার মেয়াদ এখনও আছে, তারাই শুধু যাতায়াত করতে পারছেন।

হিলির স্থানীয় রমেন বসাক বলেন, “ভারতে আমার অনেক আত্মীয় স্বজন আছেন। টুরিস্ট ভিসা বন্ধ থাকায় আত্মীয় স্বজনদের সাথে দেখা করতে ভারত যেতে পারছেন না।” 

কয়েকজন পাসপোর্টধারী স্টুডেন্ট বলছেন, আগে তাদের অভিভাবকরা টুরিস্ট ভিসা নিয়ে দেখা করতে যাওয়া-আসা করতেন। এখন ভিসা বন্ধ থাকায় তারা আর দেখা করতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে তাদেরকেই স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে বাবা-মাসহ আত্মীয় স্বজনদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করতে হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি কারক এসএম রেজা আহমেদ বিপুল বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে ভারতের টুরিস্ট ও বিজনেস ভিসা বন্ধ থাকায় আমরা ব্যবসায়ীরা চরম বিপাকে পড়েছি। ভারতীয় পণ্যগুলো মোবাইলের মাধ্যমে ভিডিও বা ছবি দেখে আমদানি করতে হচ্ছে। অনেক সময় আমদানিকৃত এসব পণ্য নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে আমাদের।” 

হিলি ইমিগ্রেশন ওসি আরিফুল ইসলাম বলেন, “ভিসা বন্ধ থাকার কারণে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বর্তমানে পাসপোর্টযাত্রী পারাপার কমেছে। তবে যদি ভারত সরকার ভিসা ইস্যু করে তাহলে আবারও যাত্রী পারাপার আগের মতো স্বাভাবিক হবে।”

ঢাকা/মোসলেম/টিপু 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কুমিল্লায় জানালার ফাঁক দিয়ে পড়ে ছাত্রীর মৃত্যু, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও স্বজনদের ভিন্ন ভাষ্য
  • টঙ্গীতে ফ্ল্যাটে ঢুকে ভাই-বোনকে কুপিয়ে হত্যা
  • হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে কমেছে পাসপোর্টযাত্রী পারাপার