Risingbd:
2025-02-12@08:48:11 GMT

রিয়াল দেখাল তারাই ‘রাজা’

Published: 12th, February 2025 GMT

রিয়াল দেখাল তারাই ‘রাজা’

রিয়াল মাদ্রিদের ম্যানেজার কার্লো আনাচেলত্তি আগেই বলে দিয়েছিলেন- ম্যানচেস্টার সিটর বিপক্ষে তাদের ম্যাচ গুলোকে এখন ক্লাসিকোর মর্যাদা দেওয়া যায়। এই ইতালিয়ান কোচ যে, এক বর্ণও বাড়িয়ে বলেননি তার প্রমাণ মিললো মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) রাতে, চ্যাম্পিয়নস লিগের প্লে অফ ম্যাচে। গার্দিওলার অধীনে ম্যানসিটি চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথমার্ধে এগিয়ে যাওয়ার পর শেষ ৭ বছর হারেনি। সেই সিটিজেনরাই গতরাতে দুবার এগিয়ে গিয়েও ৩-২ গোলে হারল রিয়ালের বিপক্ষে। তবে গার্দিওলা নিজেকে সান্ত্বনা দিতে পারেন- তারা যে হেরেছে চ্যাম্পিয়নস লিগকে নিজেদের সম্পত্তি বানিয়ে ফেলা রিয়ালের বিপক্ষে।

এই মহারণের প্রতিটি মিনিট ছিল টান-টান উত্তেজনার। কেউ কাউকে ছাড় দেয়নি একফোঁটা। যদিও ম্যাচের আর্লিং হালান্ডের কোড়া গোলে ৮৫ মিনিট পর্যন্ত ২–১ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল ম্যানসিটিই। তবে ঐ যে, একটা বাণী চিরন্তন হয়ে গিয়েছে- চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়ালের দ্বারা সবই সম্ভব। সেই কথাটার ভার আরেকবার রক্ষা করলেন রিয়ালের ফুটবলাররা।

আরো পড়ুন:

ক্লাসিকোর আগে আনচেলত্তির মাথাব্যথার কারণ গার্দিওলা

ভঙ্গুর সিটির পরীক্ষা নেবে রক্ষণের বিশ্বস্ত যোদ্ধাবিহীন রিয়াল

 

ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে বিশাল এক ব্যানার নিয়ে মাঠে ঢুকেছিলেন সিটি ফ্যানরা। তাতে লিখা ছিল, ‘তোমাদের হৃদয়ভাঙা কান্না এবার থামাও’। এই লিখার একপাশে সিটি মিডফিল্ডার রদ্রিগোর ব্যালন ডি-অর ট্রফিতে চুমু খাওয়ার একটা ছবি। শিশুও বুঝবে, এটা রিয়াল মাদ্রিদ এবং ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে খোঁচা মেরে আনা হয়েছে। ম্যাচ শেষে মনে হচ্ছে সেই খোঁচাটাই স্বাগতিকদের হারের কারণ হয়ে গিয়েছিল। এই ম্যাচের আগে যে রিয়াল কখনই ইতিহাদ স্টেডিয়ামে জিততে পারেনি, তারা কিনা ভঙ্গুর রক্ষণভাগ নিয়ে ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে জয়টা ছিনিয়ে আনল।

ম্যাচের ১৯ মিনিটেই এগিয়ে যায় স্বাগতিক শিবির। ইওস্কো গাভারদিওল দুর্দান্ত চেস্ট পাস থেকে বল পেয়ে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে রিয়ালের জালে জড়ান আর্লিং হালান্ড। এই গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় পেপ গার্দিওলার দল।

দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য স্বরূপে ফিরে রিয়াল। ৬০ মিনিটে দানি সিবায়োসের অসাধারণ ফ্লোটেড পাস পেয়ে রিয়ালকে সমতায় ফেরান কিলিয়ান এমবাপে। তবে ৮০ মিনিটে আবারও এগিয়ে যায় সিটিজেনরা। ফিল ফোডেনের বুদ্ধিদীপ্ত মুভমেন্টে বাধা দিতে গিয়ে বক্সের মধ্যে তাকে ফাউল করেন সিবায়োস। আর পেনাল্টি থেকে গোল করতে মোটেও ভুল করেননি নরওয়েজিয়ান হালান্ড।

স্বাগতিকদের ২-১ গোলের জয়টা যখন সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিল, তখন স্বমহিমায় ফেরে আনচেলত্তির দল। ম্যাচের ৮৬ মিনিটে এডারসনের ভুল পাস ধরে বল পেয়ে যান ভিনিসিয়াস জুনিয়র। তার নেওয়া শট ঠেকালেও ফিরতি বলে গোল করতে ভুল করেননি সিটির আঁতুড়ঘর থেকে উঠে আসা ব্রাহিম দিয়াজ।

 

এরপর মনে হচ্ছিল অ্যাওয়ে ম্যাচ হওয়াতে একটু রক্ষণাত্বক ভঙ্গতি গিয়ে ২-২ সমতায় মীমাংশা চায় লস ব্ল্যাঙ্কসরা। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হইয়েও যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিট তখন। এই সময়ে ভিনিসিয়াস জুনিয়র ডানদিক দিয়ে দ্রুতগতিতে এগিয়ে এসে চিপ করে এডারসনের মাথার উপর দিয়ে বল পাঠান। তবে সেটি সরাসরি সিটির জালের দিকে যাচ্ছিল না। ঠিক তখনই সামনে এগিয়ে আসা জুড বেলিংহাম নিখুঁত ট্যাপ-ইন করে রিয়াল মাদ্রিদের ৩-২ গোলের জয় নিশ্চিত করেন।

তাতেই শেষ হয় ৫ গোলের রোমাঞ্চকর এই ম্যাচ। আর রিয়াল আবারও প্রমাণ করল তারা কেন ইউরোপের রাজা। পরবর্তী লেগ রিয়ালের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে। যেখানে ৯০ মিনিট প্রতিপক্ষের জন্য এক কথায় ‘দুঃস্বপ্নের রাতের’ সমান। এই মৌসুমে সব প্রতিযোগিতায় ধুঁকতে থাকা গার্দিওলার সিটি, বার্নাব্যুতে কতটা লড়াই করতে পারবে সেটা দেখার অপেক্ষায় ফুটবল বিশ্ব। 

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ য ম প য়নস ল গ চ য ম প য়নস ল গ

এছাড়াও পড়ুন:

পুড়িয়ে মারতেই পরিকল্পিত অগ্নিকাণ্ড, অভিযোগ কাফির পরিবারের

আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর নূরুজ্জামান কাফির গ্রামের বাড়িতে পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। অগ্নিকাণ্ডের সময় তাদের ঘরের দরজা ও জানালা বাইরে থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ তাদের।

কাফির বাবা এ বি এম হাবিবুর রহমান (৫৯) জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডের সময় ঘরের ভিতর ছিলেন তিনি, কাফির মা হাসিনা বেগম (৫৪), বড় ভাই নুরুল্লাহ আল মামুন (৩১), ভাবি আনিছা আক্তার (২৫), ভাইয়ের ছেলে নুরুল হুদা আলভি (৪) এবং দুই মাস বয়সী উম্মে হানি। কাফির বাবা ধোঁয়া দেখে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি বুঝতে পারেন। তারা ঘর ঘর থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু, ঘরের পিছনের ও সামনের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। পরে ঘরের দরজা ভেঙে কোনোরকমে বাইরে এসে প্রাণে রক্ষা পান তারা। 

তিনি রাইজিংবিডিকে বলেছেন, “আমাদের পুড়িয়ে মারার জন্যই এভাবে বাইরে থেকে দরজা আটকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটি পরিকল্পিত ঘটনা।” 

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় নূরুজ্জামান কাফির গ্রামের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের একটি দল প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। 

অগ্নিকাণ্ডে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন এ বি এম হাবিবুর রহমান। কারা এ অগ্নিকাণ্ড ঘটিয়েছে, সেটি জানাতে পারেননি তিনি।

কাফির বড় ভাই নুরুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, “আমার ছোট দুটি বাচ্চা। এক জনের বয়স মাত্র দুই মাস। আমরা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছি। আল্লাহ আমাদের রক্ষা করেছেন।”

প্রতিবেশী ওয়ালি উল্লাহ ইমরান বলেছেন, “এটি পরিকল্পিত অগ্নিকাণ্ড। বাইরে থেকে ছিটকিনি লাগানো ছিল। ফলে, ঘর থেকে কেউ সহজে বের হতে পারেননি। শেষ মুহূর্তে দরজা ভেঙে সবাই বের হতে বাধ্য হন। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।”

কলাপাড়া থানার অফিসার জুয়েল ইসলাম বলেছেন, “ঘটনাটি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।” 

ঢাকা/ইমরান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ