দেশে বাণিজ্যিক ফুল চাষের জনক শের আলী সরদার মারা গেছেন। বুধবার ভোররাতে যশোরের ঝিকরগাছার গদখালি পানিসারা গ্রামে নিজ বাড়িতে মারা যন তিনি। তার বয়স হয়েছিল আটাত্তর বছর। ব্রেইন স্ট্রোক করে দীর্ঘদিন তিনি শয্যাসায়ী ছিলেন।

বুধবার বাদ যোহর শের আলীর বাড়ি সংলগ্ন হিমাগারের সামনে প্রথম জানাজা এবং বাদ আসর গদখালি ফুল বাজারে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে।

শের আলী সরদারের হাত ধরে ১৯৮২ সালে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু বাণিজ্যিক ফুল চাষের। তার দেখানো পথ ধরে এখন শুধু যশোরে ফুল চাষের ওপর নির্ভরশীল ছয় হাজার মানুষ। বাণিজ্যিক ফুল চাষের ব্যাপ্তি ঘটেছে দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও।

এদিকে ফুলচাষের প্রসারে ৫ দশকেরও বেশি সময় ধরে নীরবে কাজ করে চলা শের আলী সরদারের মেলেনি রাষ্ট্রীয় কোনো স্বীকৃতি। জীবদ্দশায় তাকে জাতীয় পদক প্রদানের দাবি পূরণ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শের আলীর স্বজন ও স্থানীয় ফুল চাষীরা।

স্থানীয় ফুলচাষী ও ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন বলেন, দেশের কৃষি ও অর্থনীতিতে বিপ্লব সৃষ্টিকারী ছিলেন শের আলী সরদার। কিন্তু তার সেই অবদানের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না মেলাটা খুবই দুঃখজনক।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ র আল সরদ র

এছাড়াও পড়ুন:

পোশাকশিল্প মালিকেরা করপোরেট কর অপরিবর্তিত চান

রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা আগামী ২০২৫–২৬ অর্থবছরের বাজেটে করপোরেট করহার বর্তমানের মতো ১২ শতাংশ বহাল রাখার দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা পাল্টা শুল্ক, ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির কারণে রপ্তানিমুখী খাতটি ঝুঁকিতে রয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে করপোরেট কর বাড়ানো হলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীর মধ্যে আস্থার ঘাটতি দেখা দিতে পারে।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে আজ মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত প্রাক্‌-বাজেট আলোচনায় তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর এবং বিকেএমইএর নেতারা এ দাবি করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। প্রাক্‌–বাজেট আলোচনায় অংশ নেন বিজিএমইএর সহায়ক কমিটির সদস্য এনামুল হক, বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বস্ত্রকলের মালিকদের সংগঠন বিটিএমএর সহসভাপতি সালেউদ জামান খান প্রমুখ।

বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম আগামী পাঁচ অর্থবছরের জন্য উৎসে কর দশমিক ৫ শতাংশ করার দাবি জানান। তিনি শতভাগ রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকশিল্পের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য ও সেবাকে ১০০ শতাংশ ভ্যাটমুক্ত রাখার প্রস্তাব করেন। বিকেএমইএ বন্ড ব্যবস্থাপনায় আমদানি পণ্যের চালান খালাসের সময় যে জটিলতা দেখা দেয়, তা নিরসনে এইচএস কোড সহজ করা ও ৮ ডিজিটের পরিবর্তে ৬ ডিজিটের এইচএস কোড চালুর দাবি জানিয়েছে। সংগঠনটি আগামী বাজেটে জ্বালানিসাশ্রয়ী বাতির ওপর ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে আবার ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে।

ম্যান মেইড বা কৃত্রিম তন্তুর তৈরি পোশাক খাতের বিনিয়োগ ও রপ্তানি উৎসাহিত করতে বিশেষ প্রণোদনা প্রদান, দেশের বাজারে কৃত্রিম সুতা বিক্রির ওপর থেকে ৩ শতাংশ কর প্রত্যাহার, কৃত্রিম তন্তু দিয়ে তৈরি পোশাকের কাঁচামাল আমদানিতে দেওয়া অগ্রিম কর (এটি) ও সম্পূরক শুল্ক (এসডি) এবং প্রযোজ্য ভ্যাট প্রত্যাহার চেয়েছে বিকেএমইএ।

এদিকে তুলা ও সুতা সরবরাহের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ১ শতাংশ উৎসে কর কর্তনের হার দশমিক ৫০ করার দাবি জানায় বিটিএমএ। এ ছাড়া শিল্পোৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামালের সরবরাহের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ৩ শতাংশের পরিবর্তে দশমিক ৫ শতাংশ করার আহ্বান জানান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ