রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি থেকে তানভীর সালেহীন ইমন নামে এক পুলিশ সুপারকে (এসপি) আটক করেছে ডিবি পুলিশ। 

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল তাকে আটক করে।

পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) সারোয়ার জাহান এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

আরো পড়ুন:

তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষ, কামড়ে ছিঁড়ে নেওয়া হলো যুবকের কান

দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন, হেলপারের মৃত্যু

তিনি বলেন, “গতকাল রাতে ঢাকা থেকে ডিবির টিম এসে এসপি তানভীর সালেহীন ইমনকে নিয়ে গেছে। কেন, কী অভিযোগে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা ডিবি বলতে পারবে।”

তানভীর সালেহীনের বাড়ি কিশোরগঞ্জে। তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.

ইকবাল করিমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ২৮তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে ২০১০ সালে পুলিশে যোগ দেন তানভীর সালেহীন। তিনি ২০১৬ সালে আইজিপি ব্যাজ এবং ২০১৭ সালে রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) পান। কর্মজীবনে তিনি রেকর্ড ২৭ বার কুমিল্লা জেলা পুলিশের সেরা সার্কেল অফিসার হিসেবে পুরস্কৃত হন। ২০২২ সালে তিনি এসপি হিসেবে পদোন্নতি পান।

এরপর তাকে ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (সদরদপ্তর ও প্রশাসন) হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তাকে রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির পুলিশ সুপার (বেসিক ট্রেনিং-২) হিসেবে পদায়ন করা হয়। সম্প্রতি সারদায় প্রশিক্ষণরত পুলিশ কর্মকর্তা ও কনস্টেবলদের তার স্বাক্ষরেই কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হচ্ছিল। একাডেমির অধ্যক্ষের পক্ষে তিনি  শোকজ করছিলেন।

ঢাকা/কেয়া/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আটক

এছাড়াও পড়ুন:

নমনীয় হচ্ছেন সাবিনারা

মঙ্গলবার দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন যান বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের রুমে। ১৫ মিনিট পর বের হওয়া সাবিনার কাছে আলোচনার বিষয়বস্তু জানতে চাইলে তাঁর উত্তর, ‘অন্য প্রসঙ্গ নিয়ে কথা হয়েছে।’ 

প্রসঙ্গ যে এখন ১৮ নারী ফুটবলারের কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, তা অনুমেয়। যদিও সাবিনার সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি ব্যক্তিগত পর্যায় বলে এড়িয়ে গেছেন সভাপতি তাবিথ। তবে বাফুফের বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, নারী ফুটবলারদের চলমান আন্দোলনের সময় মিডিয়ার সঙ্গে তাদের কথাগুলো ভালোভাবে দেখছে না ফেডারেশন। সেই বিষয়ে সতর্ক করতেই সাবিনাকে তলব। এর বাইরে অনুশীলনে ফেরার বিষয়টি আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে ক্যাম্পে থাকা ৩৬ ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার পর বিদ্রোহীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

কঠোর মনোভাব থেকে আগের চেয়ে মেয়েরা নমনীয় হয়েছেন বলে গতকাল সমকালকে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নারী ফুটবল দলের এক কোচিং স্টাফ, ‘ওদের আমরা বুঝিয়েছি। দিন শেষে তারা নিজেরাই ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। যতটুকু বুঝতে পারলাম, তারা আগের চেয়ে নমনীয়।’

দুই সপ্তাহ গড়িয়েছে কোচ পিটার বাটলারের ডাকে অনুশীলনে ফেরেননি বিদ্রোহী ১৮ ফুটবলার। বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের অনুরোধেও সায় মেলেনি সাবিনা খাতুনদের কাছ থেকে। দেশের ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধানও এর পর চলে যান হার্ডলাইনে। সবার ধারণা ছিল, দেশের বাইরে যাওয়ার আগে নারী ফুটবলে চলমান সংকট দূর করবেন তাবিথ। কিন্তু মঙ্গলবার পর্যন্ত সেই সম্ভাবনা দেখা যায়নি। 

বিষয়টি জানতে চাইলে বাফুফে সভাপতি তাবিথ গতকাল সমকালের কাছে এভাবে ব্যাখ্যা দেন, ‘আমি মনে করি, প্রশ্নটি কিছুটা প্রভাবিত করার মতো। আমি যেখানেই থাকি বা যে সময়ই হোক না কেন, সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি এবং সমাধান খুঁজে বের করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’

অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে তাঁর উত্তর, ‘আমাদের আলোচনা সব সময় ব্যক্তিগত থাকে। তাই আমি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।’ 

৩৬ ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি করা বাফুফে সভাপতি আশাবাদী, আন্দোলনরত খেলোয়াড়রাও অনুশীলনে যোগ দেবেন, ‘গত বছর যেখানে ৩০ জনের চুক্তি হয়েছিল, সেখানে এবার আমাদের ৫৫ জনের চুক্তি প্রক্রিয়াধীন আছে। ব্যক্তিগতভাবে ফুটবলাররা তাদের পেশাদারিত্বের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ এবং ফেডারেশনের আশ্বাসে অনুশীলনে যোগ দেবে। তারা পেশাদার খেলোয়াড় এবং ফেডারেশনও তাদের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ