চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে এবার ছিটকে গেলেন আফগান স্পিনার
Published: 12th, February 2025 GMT
এবার চোটের ধাক্কা আফগানিস্তান দলে। পিঠের চোটে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল থেকে ছিটকে গেছেন আফগান স্পিনার আল্লাহ গজনফর। ছন্দে থাকা গজনফরের চোটে কপাল খুলেছে আফগানিস্তানের বাঁহাতি স্পিনার নানগায়াল খারোতির।
গজনফরের ছিটকে যাওয়া আফগানিস্তানের জন্য বড় ধাক্কা। আফগানিস্তানের হয়ে মাত্র ১১ ওয়ানডে (২১ উইকেট) ও ১টি টেস্ট (৪ উইকেট) খেললেও এই স্পিনার এরই মধ্যে তারকা হয়ে উঠছেন।
সর্বশেষ খেলছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইন্টারন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি লিগে। আগে থেকেই চোটের কারণে দলে নেই আরেক স্পিনার মুজিব উর রেহমান।
গজনফর চোটে পড়েছেন মূলত আফগানিস্তানের সর্বশেষ টেস্ট সিরিজে। বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গত ডিসেম্বরে টেস্ট খেলেছিল আফগানিস্তান। সেই চোট নিয়েই খেলেছেন টি-টোয়েন্টি লিগে।
গজনফরের চোট নিয়ে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে চোটে পড়েছেন গজনফর। ৪ মাসের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাঁকে, এই সময়ে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলবে তাঁর। এর মানে তিনি আইপিএলও মিস করতে যাচ্ছেন। মুম্বাই ইন্ডিয়ানস প্রথমবারের মতো দলে নিয়েছিল গজনফরকে।
আরও পড়ুনএবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন স্টার্ক—অস্ট্রেলিয়া খেলবে কাদের নিয়ে২ ঘণ্টা আগেগজনফরের বদলি হিসেবে দলে নেওয়া হয়েছে যাঁকে, সেই খারোতি আফগানিস্তানের হয়ে খেলেছেন ৭টি ওয়ানডে। যার সর্বশেষটি গত বছরের নভেম্বর শারজায় বাংলাদেশের বিপক্ষে।
সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ২৮ রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন এই বাঁহাতি স্পিনার। বাকি দুই ম্যাচে ছিলেন উইকেটশূন্য। সব মিলিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে উইকেট আছে ১১টি। গত বছরের মার্চে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হওয়া এই স্পিনার টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ৬টি।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আফগানিস্তানের প্রথম ম্যাচ ২১ ফেব্রুয়ারি, করাচিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।
আরও পড়ুনভিনিসিয়ুসকে খুঁচিয়ে সিটিরই ‘রক্ত’ ঝরল১ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আফগ ন স ত ন র উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনার মতো এখনও নির্বাচন নিয়ে তালবাহানা শুরু হয়েছে: আব্দুস সালাম
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম বলেছেন, শেখ হাসিনার মতো দেশে এখনও নির্বাচন নিয়ে তালবাহানা শুরু হয়েছে। নির্বাচন পেছানো মানে ফ্যসিস্টকে আবার ফিরে আসার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া। তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে নির্বাচন না দিলে গণতন্ত্র ফিরবে না।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় বগুড়া শহরের মফিজ পাগলার মোড়ে স্থানীয় একটি মোটেলে রাজশাহী বিভাগের সব জেলা-মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম বলেন, গণতন্ত্র উদ্ধারে বিএনপি ১৬ বছর রাজপথে ছিল। নির্বাচন নিয়ে কোনো তালবাহানা করলে বিএনপি তা মানবে না। তাই, নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। প্রতিটি রাজনৈতিক দলসহ দেশের জনগণ চায় অতিদ্রুত নির্বাচন। কিন্তু কেউ কেউ আবার চান নির্বাচন যেন দেরিতে অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে কালক্ষেপণ করলে দেশে আবারও ফ্যাসিস্টরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হবে।
তিনি বলেন, এই দেশ জনগণের। তাই জনগণের নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। বিএনপি বর্তমান সরকারকে সহযোগিতা করছে। তার মানে এই না জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার ভোট না দিয়ে ক্ষমতার গদি আঁকড়ে ধরবেন। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে গা ঢাকা দিয়েছেন। তিনি সেখানে বসে বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন। ফ্যাসিস্টদের কোনো ষড়যন্ত্র এই দেশে বাস্তবায়ন হতে দিবে না বিএনপি। বাংলাদেশের গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতাকে রক্ষা করার জন্যই বিএনপি জন্মলাভ করেছে। যেখানে আওয়ামী লীগ ব্যর্থ হয়েছে, সেখানে বিএনপি সফল হয়েছে। যেখানে শেখ মুজিব ব্যর্থ হয়েছে, সেখানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সফল হয়েছেন। যেখানে শেখ হাসিনা ব্যর্থ হয়েছেন সেখানে আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে লড়াই করে সফল হয়েছেন। জনগণই তাকে রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন বার বার।
চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম বলেন, পতিত শেখ হাসিনাকে বলা হয়েছিল, বিনা ভোটে না গিয়ে নির্বাচনের পথে হাঁটুন। কিন্তু তিনি ক্ষমতার দম্ভে নির্বাচনের পথে যাননি। আজকে নির্বাচনের মাধ্যমে পরাজয় হলে পেছনের দরজা দিয়ে তাকে ভারতে পালাতে হতো না। ভারতে আশ্রয় নিতে হতো না। তাই ক্ষমতা দেখানোর কিছু নেই। ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। ক্ষমতা পেয়ে পতিত আওয়ামী লীগ সরকার যা খুশি তা শুরু করেছিল। তাই ক্ষমতার দম্ভ কমাতে হবে। জনগণ কী চায় সেটা জানতে হবে। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আগামী দিনে ক্ষমতায় যেতে হবে। এমন কোনো কাজ করা যাবে না, যাতে জনগণ বিএনপিকে খারাপভাবে, দোষারোপ করেন।
বিএনপি রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত খালেকের সভাপতিত্বে ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, রাজশাহী বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন, কৃষক দল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি জাহির রায়হান আহমেদ, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল বাসার প্রমুখ।