ভিন্ন ধারার ফ্যাশন হাউজ আবায়া অ্যান্ড গাউন এবার নিয়ে এলো দুবাই থিমের পোশাক। আমাদানির পাশাপাশি এখন দেশেই দুবাই থিমের পোশাক উৎপাদন শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রতিষ্ঠানটির তৃতীয় শোরুম উদ্বোধন হলো বনানীতে। আবায়া অ্যান্ড গাউনের প্রতিষ্ঠাতা এবং কার্য-নির্বাহী প্রধান মারুফা জাহান জানান, সম্প্রতি বনানীর ১১ নম্বর রোডের ই-ব্লকে অ্যালিসন টাওয়ারে ক্রেতা এবং শুভাকাঙ্খীদের সরব উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু আবায়া অ্যান্ড গাউনের নতুন এই শাখা। বনানীর নতুন এই শাখাটি মূলত অভিজাত ক্যাটাগরির একটি শাখা যেখানে অভিজাত থিমের পোশাকগুলো প্রাধান্য পাবে।

নতুন শোরুম উদ্বোধন উপলক্ষে মারুফা জাহান বলেন, হিজাব, বোরখা বা মডেস্ট লাইফস্টাইলে আগ্রহী সবার জন্য "একের ভেতরে সব" আছে আবায়া এন্ড গাউনে। ডিজাইনে আমরা সবসময় গুনগতমান আর আরামকে প্রাধান‍্য দেই। আর আমাদের বনানী আউটলেটের বিশেষত্ব হলো অন্যান্য আউটলেটের রেগুলার আইটেমের পাশাপাশি এক্সক্লুসিভ কালেকশন রেখেছি যা অন্য আউটলেটগুলোতে নেই।

উল্লেখ্য, আবায়া, হিজাব, বোরখা, গাউন, কেপ এবং এই ধরনের পোশাক যারা পরতে পছন্দ করেন তাদের জন্য দুবাই ও চীন থেকে আমদানী করা পোশাকও আছে এই ফ্যাশন হাউজে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্বে সামরিক ব্যয় রেকর্ড বেড়ে ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলার

২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে সামরিক ব্যয় রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলারে। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (সিপরি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ইউক্রেন, গাজা যুদ্ধসহ বৈশ্বিক উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যেই সামরিক ব্যয়ে এ ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে।

গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে সামরিক ব্যয় বেড়েছে ৯.৪ শতাংশ। এটিই টানা দশম বছর, যখন সামরিক খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইউক্রেন যুদ্ধ ও ন্যাটো জোটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতিকে ঘিরে সংশয়ের প্রভাবে ইউরোপে সামরিক ব্যয় নজিরবিহীন হারে বেড়েছে। সিপরির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ইউরোপীয় দেশগুলোর সামরিক ব্যয় ১৭ শতাংশ বেড়েছে, যা শীতল যুদ্ধের সমাপ্তির পর সর্বোচ্চ।

বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে এগিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ভারত ও সৌদি আরব। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ৮৯৫ বিলিয়ন ডলার, চীন ২৬৬.৮৫ বিলিয়ন ডলার, রাশিয়া ১২৬ বিলিয়ন ডলার, ভারত ৭৫ বিলিয়ন ডলার এবং সৌদি আরব ৭৪.৭৬ বিলিয়ন ডলার।

সিপরি সতর্ক করে বলেছে, সামরিক নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ফলে অন্যান্য খাতের বাজেট কমে যাচ্ছে, যা সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

রাশিয়ার সামরিক ব্যয় ২০২৪ সালে দাঁড়িয়েছে ১৪৯ বিলিয়ন ডলারে, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৩৮ শতাংশ বেশি। এ খরচ দেশটির মোট জিডিপির ৭.১ শতাংশ এবং সরকারি ব্যয়ের ১৯ শতাংশ। অন্যদিকে, ইউক্রেনের সামরিক ব্যয় বেড়ে ৬৪.৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা তাদের জিডিপির ৩৪ শতাংশ। খবর এনডিটিভির।

সম্পর্কিত নিবন্ধ