কক্সবাজারের বনাঞ্চলে আবারো বন্য হাতির মৃত্যু হয়েছে। এবার কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের আওতাধীন চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ ঘুনিয়া আবুলের ঘোনার রিংভং রির্জাভ এলাকা থেকে মৃত হাতি উদ্ধার হয়।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টায় হাতির মরদেহ উদ্ধার করে বনবিভাগ। উত্তর বনবিভাগের ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মেহরাজ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রেঞ্জ কর্মকর্তা মেহরাজ উদ্দিন জানান, “আনুমানিক ৪৫ বছর বয়সী হাতিটি রাতে মারা যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কী কারণে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে সে কারণ ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।”
আরো পড়ুন:
রাঙামাটিতে মুমূর্ষু অবস্থায় হাতির শাবক উদ্ধার
টেকনাফের পাহাড়ে আবারো বন্যহাতির মৃত্যু
এর আগে, গত ৫ জানুয়ারি কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের হোয়াইক্যং রেঞ্জের হরিখোলা এলাকায় বাচ্চা প্রসবের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে একটি মা হাতির মৃত্যু হয়। এরপর ১৮ জানুয়ারি হ্নীলা বিটের পাহাড়ি ছড়ায় ৮-১০ বছর বয়সী আরো একটি হাতির মরদেহ পাওয়া যায়।
ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বনভ ম বনব ভ গ
এছাড়াও পড়ুন:
ব্যাটারি কারখানায় ডাকাতি, অস্ত্রের মুখে শ্রমিকদের জিম্মি করে লুট
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে একটি ব্যাটারি কারখানায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ২০-২২ দুর্বৃত্ত আগ্নেয় ও দেশীয় অস্ত্রের মুখে ১৮ শ্রমিককে মারধর পরে জিম্মি করে ব্যাটারি তৈরির সিসা, প্লেট, কানেক্টরসহ অন্তত ৫৫ লাখ টাকার সামগ্রী লুট করেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এসব সামগ্রী ট্রাকে করে নিয়ে গেছে তারা।
বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার তাড়াশ-বারুহাঁস সড়কের পশ্চিম দিকে হেদার খালে ভাই ভাই ব্যাটারি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তদের মারধরে কারখানার শ্রমিক আব্দুল হান্নান, মোস্তাক হোসেন, শামীম হোসেনসহ অনন্ত আটজন আহত হয়েছেন। তাড়াশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাজমুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় কারখানার মালিক মো. শয়নুল ইসলাম লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
শয়নুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে একটি বড় ট্রাকে ২০ থেকে ২২ জন কারখানায় আসে। তারা টিনের বেড়া ভেঙে কারখানায় ঢুকে আগ্নেয় ও দেশীয় অস্ত্রের মুখে শ্রমিক আব্দুল হান্নান, মোস্তাক, শামীমসহ ছয়জনকে জিম্মি করে। তারা বাধা দিলে মারধর করে হাত-পা বেঁধে ফেলে। বিশ্রামাগারে ঘুমিয়ে থাকা আরও ১০-১২ শ্রমিককে জিম্মি করে লুটপাট শুরু করে।
প্রায় চার ঘণ্টায় তারা কারখানা থেকে তিন টন ব্যাটারি তৈরির সিসা, ৩৪০ টাকা কেজি মূল্যের ১ হাজার ২০০ কেজি কানেক্টর, ২৫০ টাকা কেজির ১৬ টন প্লেট, ৬৩ হাজার টাকার ৯টি পুরোনো ব্যাটারিসহ প্রায় ৫৫ লাখ টাকা মূল্যের মালপত্র লুট করে ট্রাকে করে চলে যায়। তারা চলে গেলে শ্রমিকরা একে অপরের হাত-পায়ের বাঁধন খুলে পুলিশে খবর দেন।
তাড়াশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাজমুল কাদের বলেন, খবর পেয়ে দুই দফা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ভাই ভাই ব্যাটারি কারখানায় ডাকাতির সত্যতা পাওয়া গেছে। ডাকাতি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান আছে।