মুন্নাকে কি ভুলে যাবে বাংলাদেশ
Published: 12th, February 2025 GMT
সারা বছর কেউ খবর রাখে না—চোখেমুখে রাজ্যের হতাশা নিয়েই কথাটা বলছিলেন কিংবদন্তি ফুটবলার কিংব্যাকখ্যাত মোনেম মুন্নার সহধর্মিণী সুরভী মোনেম।
মুন্না চলে যাওয়ার ২০ বছর পূর্তি আজ। অথচ তাঁর স্মৃতি সংরক্ষণে উল্লেখযোগ্য কোনো উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট কারও। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনও (বাফুফে) দৃশ্যমান কিছু করেনি। বাফুফের সহসভাপতি ফাহাদ করিম বলেছেন, ভবিষ্যতে মুন্নাসহ দেশের নামকরা ফুটবলারদের স্মৃতি সংরক্ষণে আর্কাইভ করার পরিকল্পনা আছে তাঁদের, ‘আমরা অবশ্যই আর্কাইভ করব। যেখানে মুন্নার মতো কিংবদন্তি ফুটবলাররাও থাকবেন। তাঁরা তো আমাদের রত্ন। দেশের ইতিহাস যাতে নতুন প্রজন্ম জানতে পারে, সে ব্যবস্থা অবশ্যই থাকবে।’
আমি মরে গেলে মুন্নাকে নিয়ে বলারও কেউ থাকবে না। আমার ছেলে–মেয়ে এতটা ইতিহাস জানে না। তবে আমরা মাঝেমধ্যে বললে মন দিয়ে শোনে। বোঝার চেষ্টা করে।সুরভী মোনেমজীবনের শেষ দিনগুলো ধানমন্ডির শেরেবাংলা রোডের ৪৯/এ নম্বর বাড়ির ছোট্ট একটি ফ্ল্যাটে কাটিয়েছেন এই মহানায়ক। কাল সেখানে গিয়ে পা রাখতেই চোখে পড়ল কতশত স্মৃতি। ঘরের দেয়ালের পশ্চিম পাশে বড় করে টাঙানো অনেক ছবি। শোকেসে থরেথরে সাজানো ক্রেস্ট, সম্মাননা স্মারকসহ আরও কিছু স্মৃতি-স্মারক। এগুলোই এখন মুন্নার পরিবারের বড় সম্পদ।
মোনেম মুন্নার জার্সির সামনে স্ত্রী ও পুত্র.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
ধামরাইয়ের সড়কে ঝরল প্রাণ
ঢাকার ধামরাইয়ে প্রাইভেট কারের নিচে চাপা পড়ে এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেট কারটি সড়কের পাশের খাদে পড়ে উল্টে যায়। এতে গাড়িটির ভেতরে থাকা সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষিকা ও তিন শিক্ষার্থীসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার ঢাকা-টাঙ্গাইল বাইপাস সড়কের বাঙ্গালপাড়া এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
মারা যাওয়া মোটরসাইকেল আরোহীর নাম মো. আলী আজগর বাদল (৪৮)। তিনি উপজেলার সুতিপাড়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুর এলাকার নুরুল ইসলাম মাস্টারের ছেলে। আলী আজগর একটি এনজিওর ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
জন সচেতনতা ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনা রোধ সম্ভব নয়: ইলিয়াস কাঞ্চন
রাজবাড়ীতে ২ মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, সেনা সদস্য নিহত
আহতরা হলেন- ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষিকা স্বরনিকা আলম (৩০), তার দুই মেয়ে জিম (৭) ও জাহিন (৬), জুন (১৪) এবং প্রাইভেট কারের চালক আলমগীর। আহতরা সবাই টাঙ্গাইল জেলার কালিয়াকৈর থানার হিজলহাটি গ্রামের বাসিন্দা।
এলাকাবাসী জানান, আজ সকাল ৭টার দিকে কালিয়াকৈর থেকে সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজগামী প্রাইভেট কারটি ধামরাইয়ের বাঙ্গালপাড়া এলাকায় এসে পৌঁছায়। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেলটির চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেট কারের নিচে পড়ে যান। ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়। প্রাইভেট কারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের খাদে পড়ে উল্টে যায়। পরে প্রাইভেট কারের আহত চালক ও যাত্রীদের উদ্ধার করে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ধামরাই থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ