ট্রাম্পের গাজা দখলের প্রস্তাবকে আজগুবি বলল উত্তর কোরিয়া
Published: 12th, February 2025 GMT
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা দখল করা এবং ফিলিস্তিনিদের অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাবকে ‘হাস্যকর’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম। আজ বুধবার এক মন্তব্য প্রতিবেদনে এই নিন্দা জানানো হয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) ওই মন্তব্যে সরাসরি ট্রাম্পের নাম উল্লেখ না করে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা ও শান্তির জন্য ফিলিস্তিনিদের মনে যে ক্ষীণ আশা বেঁচে ছিল, তা ওই প্রস্তাবের কারণে ভেঙে যাচ্ছে।
কেসিএনএএর ওই মন্তব্য প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্রের উত্তাপে বিশ্ব এখন যব সেদ্ধ করার পাত্রের মতো ফুটছে।’
সম্প্রতি ডোনাল্ড বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র গাজার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিতে চায় এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজাকে পুনর্গঠন করতে চায়। ট্রাম্পের এই হতবাক করা ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় কেসিএনএ-তে মন্তব্য প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসন পানামা খাল এবং গ্রিনল্যান্ড দখলের যে আহ্বান জানিয়েছে তা নিয়ে কেসিএনএর ওই মন্তব্য প্রতিবেদনে সমালোচনা করা হয়েছে। ‘মেক্সিকো উপসাগর’-এর নাম পরিবর্তন করে ‘আমেরিকা উপসাগর’ করার জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের নেওয়া সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা করা হয়েছে।
কেসিএনএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের উচিত তাদের কালানুক্রমিক বিভ্রান্তি থেকে জেগে ওঠা এবং অবিলম্বে অন্য দেশ ও জনগণের মর্যাদা ও সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বন্ধ করা।’ একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘চাঁদাবাজ’ বলেও অভিহিত করা হয়েছে।
ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে নজিরবিহীন বৈঠক করেছিলেন। সে সময় তিনি তাঁদের ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথাও তুলে ধরেছিলেন।
দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সম্প্রতি ট্রাম্প বলেছেন, তিনি আবারও কিমের সঙ্গে দেখা করবেন। যদিও এখন পর্যন্ত পিয়ংইয়ংয়ের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে তেমন একটা মন্তব্য করা হয়নি বললেই চলে। বরং যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্ররা উত্তর কোরিয়ার জন্য হুমকি তৈরি করছে বলে অনবরত অভিযোগ করে যাচ্ছে পিয়ংইয়ং।
উত্তর কোরিয়া প্রায়ই আন্তর্জাতিক বিষয়ে পশ্চিমা দৃষ্টিভঙ্গির বিরুদ্ধে কথা বলে থাকে। তারা গাজা পরিস্থিতি নিয়ে সোচ্চার। গাজায় রক্তপাতের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে থাকে উত্তর কোরিয়া। আর এ কাজে যুক্তরাষ্ট্র সহযোগীর ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ তাদের।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্পের গাজা দখলের প্রস্তাবকে আজগুবি বলল উত্তর কোরিয়া
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা দখল করা এবং ফিলিস্তিনিদের অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাবকে ‘হাস্যকর’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম। আজ বুধবার এক মন্তব্য প্রতিবেদনে এই নিন্দা জানানো হয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) ওই মন্তব্যে সরাসরি ট্রাম্পের নাম উল্লেখ না করে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা ও শান্তির জন্য ফিলিস্তিনিদের মনে যে ক্ষীণ আশা বেঁচে ছিল, তা ওই প্রস্তাবের কারণে ভেঙে যাচ্ছে।
কেসিএনএএর ওই মন্তব্য প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্রের উত্তাপে বিশ্ব এখন যব সেদ্ধ করার পাত্রের মতো ফুটছে।’
সম্প্রতি ডোনাল্ড বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র গাজার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিতে চায় এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজাকে পুনর্গঠন করতে চায়। ট্রাম্পের এই হতবাক করা ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় কেসিএনএ-তে মন্তব্য প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসন পানামা খাল এবং গ্রিনল্যান্ড দখলের যে আহ্বান জানিয়েছে তা নিয়ে কেসিএনএর ওই মন্তব্য প্রতিবেদনে সমালোচনা করা হয়েছে। ‘মেক্সিকো উপসাগর’-এর নাম পরিবর্তন করে ‘আমেরিকা উপসাগর’ করার জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের নেওয়া সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা করা হয়েছে।
কেসিএনএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের উচিত তাদের কালানুক্রমিক বিভ্রান্তি থেকে জেগে ওঠা এবং অবিলম্বে অন্য দেশ ও জনগণের মর্যাদা ও সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বন্ধ করা।’ একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘চাঁদাবাজ’ বলেও অভিহিত করা হয়েছে।
ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে নজিরবিহীন বৈঠক করেছিলেন। সে সময় তিনি তাঁদের ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথাও তুলে ধরেছিলেন।
দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সম্প্রতি ট্রাম্প বলেছেন, তিনি আবারও কিমের সঙ্গে দেখা করবেন। যদিও এখন পর্যন্ত পিয়ংইয়ংয়ের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে তেমন একটা মন্তব্য করা হয়নি বললেই চলে। বরং যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্ররা উত্তর কোরিয়ার জন্য হুমকি তৈরি করছে বলে অনবরত অভিযোগ করে যাচ্ছে পিয়ংইয়ং।
উত্তর কোরিয়া প্রায়ই আন্তর্জাতিক বিষয়ে পশ্চিমা দৃষ্টিভঙ্গির বিরুদ্ধে কথা বলে থাকে। তারা গাজা পরিস্থিতি নিয়ে সোচ্চার। গাজায় রক্তপাতের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে থাকে উত্তর কোরিয়া। আর এ কাজে যুক্তরাষ্ট্র সহযোগীর ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ তাদের।