পাইপলাইন স্থানান্তরের কাজের জন্য বৃহস্পতিবার রাজধানীর কুর্মিটোলা, খিলক্ষেত, কাওলাসহ আশপাশের এলাকায় ১৩ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না।

বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে গ্যাস বিতরণকারী সংস্থা তিতাস।

তিতাস জানায়, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের আওতাধীন এমআরটি লাইন-১ এর ভূগর্ভস্থ স্টেশন (বিমানবন্দর ও খিলক্ষেত) এর অ্যালাইনমেন্ট হতে তিতাস গ্যাসের বিদ্যমান গ্যাস পাইপলাইন স্থানান্তর কাজের জন্য বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা শুক্রবার মধ্যরাত ২টা পর্যন্ত মোট ১৩ ঘণ্টা কুর্মিটোলা হাসপাতাল, হোটেল রেডিসন, আরপিজিসিএল, ঢাকা রিজেন্সি, খিলক্ষেত এলাকা, কনকর্ড সিটি (নদীর পাড় পর্যন্ত), হোটেল লা মেরিডিয়ান, বলাকা ভবন, হাজী ক্যাম্প, কাওলার বিমানবন্দর ক্যাটারিং হাউস ও সিভিল এভিয়েশন কোয়ার্টারসহ তৎসংলগ্ন এলাকায় বিদ্যমান সকল শ্রেণীর গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

এছাড়া জোয়ার সাহারা, নিকুঞ্জ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে বলেও জানিয়েছে তিতাস।

সাময়িক অসুবিধার জন্য গ্রাহকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ভৈরবে দোকান ভাড়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ২০

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দোকান ভাড়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী-পুরুষসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে সিএনজি পাম্প, খাবার হোটেলসহ বেশ কয়েকটি দোকান ও বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।

মঙ্গলবার রাত ৮টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সিলেট বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌর শহরের রমজান মিয়ার বাড়ি ও আড়াই ব্যাপারি বাড়ির যুবকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে। পরে থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে শফিক মিয়া (৫০), অনিক মিয়া (২১), মানিক মিয়া (৪৫), ভট্টু মিয়া (৩৫), আব্দুল রহিম (১৬), রোকেয়া বেগম (৪৫), সুজন (৩৪), অনিক মিয়া (১৬), দিনার (২৭), শ্রাবন (২১), সোহাগ (৪০) ও নাদিম মিয়া (৩০) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।

গুরুতর আহত শফিক মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া আহত আলমগীর মিয়া (৪০), কামাল মিয়া (৪৮), বিল্লাল মিয়া (৫০) ও মেহেদী (২৮) স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। গুরুতর আহত মেহেদীকে বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পৌর শহরের ভৈরবপুর উত্তরপাড়া এলাকার আড়াই ব্যাপারি বাড়ির শফিক মিয়া সিলেট বাসস্ট্যান্ড এলাকার রমজান মিয়ার বাড়ি থেকে সজীব মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে দোকান ভাড়া দেন।

ভাড়ার মেয়াদ শেষ হলে সজীব মিয়ার চাচা ও ভাই নাদিম মিয়া নতুন করে ভাড়া দিতে বাধা দেন, যা নিয়ে প্রথমে বাকবিতণ্ডা হয়। শফিক মিয়া ঝগড়া থামানোর চেষ্টা করলে তিনিও বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

রাত ৯টার দিকে দুই পক্ষই দা, বল্লম, ইটপাটকেল ও লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে সিএনজি পাম্প, দুটি খাবার হোটেল, দোকান ও বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।

সিএনজি পাম্প ম্যানেজার তুর্জয় মিয়া বলেন, আমরা পাম্পে বসে ছিলাম, হঠাৎ কিছু লোকজন এসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। আমাদের কোনো দোষ ছিল না, কিন্তু আমিও ইটের আঘাতে আহত হয়েছি।

রমজান মিয়ার বাড়ির বাসিন্দা বিল্লাল মিয়া বলেন, আমরা দোকান ভাড়ার বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছিলাম। তখন শফিক মিয়া ও তার লোকজন এসে আমাদের ওপর হামলা চালায়।

অন্যদিকে আড়াই ব্যাপারি বাড়ির অনিক মিয়া বলেন, আমার বাবা শালিসি দরবারে গিয়ে ঝগড়া থামাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কামাল মিয়া, অনিক মিয়া ও দিনার মিয়া আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমার বাবাকে কুপিয়ে আহত করা হয়।

ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানী বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুই পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সংঘর্ষের ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। দোকান ভাড়াকে কেন্দ্র করে এমন সহিংস ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তারা দ্রুত প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ