ফেসবুক-টিকটকে কিশোরীদের জন্য ‘প্রেমের ফাঁদ’, উদ্বিগ্ন অভিভাবকেরা
Published: 12th, February 2025 GMT
কিশোরী সন্তান আছে—এমন মা–বাবার জন্য পরপর দুটি ঘটনা আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। কী করলে সন্তান সুরক্ষিত থাকবে, কী বললে সন্তান নিজেকে নিরাপদ রাখার বিষয়টি বুঝতে পারবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় অভিভাবকেরা।
সাম্প্রতিক দুটি ঘটনার একটি হলো নিখোঁজের ১৭ দিন পর ২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর হাতিরঝিল থেকে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার। অপরটি হলো রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে ১১ বছর বয়সী এক কিশোরীর ‘নিখোঁজ’ হওয়ার ঘটনা।
অনেকে আতঙ্কিত হয়েছিলেন এই ভেবে যে দ্বিতীয় কিশোরীও প্রথম কিশোরীর মতো ভয়াবহতার শিকার হলো কি না। তবে সৌভাগ্যক্রমে দ্বিতীয় কিশোরী জীবিত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধারের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মেয়েটি ও তার পরিবারের প্রতি যেভাবে ঘৃণা-বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের ছড়াছড়ি হয়েছিল, ন্যূনতম নীতি–নৈতিকতা ও আইন অনুসরণ না করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছিল, তা অভিভাবকদের মধ্যে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন হওয়ার ভয় আরও বাড়িয়ে দেয়।
নির্দিষ্ট বয়সের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করতে না দেওয়ার পক্ষে মত বিশেষজ্ঞদের.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ-পাকিস্তান পররাষ্ট্র সচিবদের বৈঠক আজ
দেড় দশক পর আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক। এতে অবিভক্ত পাকিস্তানের সম্পদ থেকে ন্যায্য হিস্যা হিসেবে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলারের দাবি আনুষ্ঠানিকভাবে উত্থাপন করবে বাংলাদেশ।
তহবিল, প্রভিডেন্ট ফান্ড, সঞ্চয়পত্রসহ বিভিন্ন খাতের হিস্যা হিসেবে এই অর্থ বাংলাদেশ পাবে। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন বাংলাদেশ এবং আমনা বালুচ পাকিস্তানের নেতৃত্ব দেবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে দু’দেশের সম্পর্কের নানা বিষয়সহ ঐতিহাসিক অনিষ্পন্ন বিষয়গুলো আলোচনায় আসবে।
সর্বশেষ পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল ২০১০ সালে।
বৈঠক উপলক্ষে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ গতকাল বুধবার ঢাকায় আসেন। আজ সকালে তিনি বৈঠকে যোগ দেবেন। মধ্যাহ্নভোজের পর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং এর পর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি। গতকাল আমনা বালুচ ঢাকায় পাকিস্তান দূতাবাসের কর্মীদের সঙ্গে এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত দেশটির ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে কথা বলেছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অর্থ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ পাকিস্তানের কাছ থেকে ১৯৭১ পূর্ববর্তী সময়ের হিস্যা অনুসারে ৪ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার পাবে। এর একটি বড় অংশ ১৯৭০ সালে ঘূর্ণিঝড়ের পর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জন্য পাঠানো হয়েছিল। জানা গেছে, ২০ কোটি ডলারের বৈদেশিক সহায়তা এসেছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের ঢাকা শাখা থেকে এই অর্থ লাহোর শাখায় সরিয়ে নেওয়া হয়। এ ছাড়া পাকিস্তান ছেড়ে বাংলাদেশে চলে আসা সরকারি কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড ও সঞ্চয়পত্রের অর্থ ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি।
পরিকল্পনা কমিশনের মতে, সরকারি কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা ৯০ লাখ টাকা আটকে রেখেছিল পাকিস্তান সরকার। যুদ্ধকালে রূপালী ব্যাংকের করাচি শাখায় রাখা ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকাও ফেরত আসেনি। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলতি অর্থের অর্ধেক ৪৩৫ কোটি রুপির দাবিদার বাংলাদেশ। পাকিস্তানের ব্যাংকিং বিভাগ থেকেই বাংলাদেশ পাবে প্রায় ৬০ কোটি রুপি।