আগুনে পুড়ে সব শেষ হয়ে গেছে: কাফির বাবা
Published: 12th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সক্রিয় থাকা জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর নুরুজ্জামান কাফির গ্রামের বাড়িতে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত গভীর রাতে এই আগুনে ঘরবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেলেও কেউ হতাহত হননি। গভীর রাতে নিজের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ অভিযোগ করেন কাফি।
তিনি বলেন, ‘মধ্যরাতে আমার বাড়ির রান্নাঘর সম্পূর্ণ পুড়িয়ে দিয়েছে।
কোন দেশের জন্য কাদের জন্য কথা বলেছিলাম! যুদ্ধ করেছিলাম এবং করছি। নিরাপত্তা পাইনি।’
আগুনের ঘটনায় আক্ষেপ করে কাফির বাবা মাওলানা মো.
আমরা এর তদন্তপূর্বক বিচার চাই।
প্রতিবেশী ওয়ালি উল্লাহ ইমরান বলেন, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেই। তাদের সঙ্গে আমরাও আগুন নির্বাপণের কাজে নেমে যাই। এটা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত, কারণ জানালার বাইরে থেকে ছিটকানি লাগানো ছিল।
সবাই এক কাপড়ে বের হয়ে কোনমতে প্রাণ বাঁচিয়েছেন।
কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার মো. ইলিয়াস হোসাইন বলেন, রাত সোয়া ২টার দিকে নুরুজ্জামান কাফির বাসায় আগুনের খবর পাই। এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে যাই। যাওয়ার পর দেখি আগুন সিলিংয়ে উঠে গেছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।
পাশের গোয়াল ঘরটাকে নিরাপদ রাখতে পেরেছি। মানুষের কোনো ক্ষতি হয়নি। বাড়ির সবাই নিরাপদে ও অক্ষত আছেন।
প্রসঙ্গত, জুলাই আন্দোলনের পক্ষে ও বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কথা বলা কাফির বাড়ি পটুয়াখালীর কলাপাড়ার রজপাড়া গ্রামে। তার বাবা রজপাড়া দ্বীন-এ-এলাহী দাখিল মাদ্রাসার সুপার। কাফি ২০১৯ সাল থেকে ভিডিও কনটেন্ট তৈরির কাজ শুরু করেন। তিনি মূলত বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় ভিডিও তৈরি করে থাকেন। ভিডিওগুলোতে হাস্যরসের মধ্যে দেশের সংকটময় পরিস্থিতিসহ নানা অসংগতি, দুর্নীতি, অনিয়মের প্রতিবাদ থাকে।
এনজে
উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরানের সঙ্গে চীন ও রাশিয়ার বৈঠক
চীন, রাশিয়া ও ইরানের কূটনীতিকদের মধ্যে আজ শুক্রবার বৈঠক হয়েছে। বেইজিংয়ের আশা, এ বৈঠকের মধ্য দিয়ে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্থবির হয়ে থাকা আলোচনা নতুন করে শুরু করা যাবে। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
২০১৫ সালে চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি ঐতিহাসিক চুক্তিতে সই করেছিল ইরান। এ চুক্তির মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করতে সম্মত হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদে দায়িত্বপালনকালে ট্রাম্প ওই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন। তিনি নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেন।
ওয়াশিংটনের সরে যাওয়ার পরও এক বছর ধরে তেহরান ওই চুক্তি মেনে চলেছিল। পরে তারাও তাদের প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসতে শুরু করে। চুক্তিটি পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টা তখন থেকে ভেস্তে যায়।
বেইজিং বলেছে, তারা আশা করে, কম সময়ের মধ্যে ওই আলোচনা নতুন করে শুরু করতে যে তৎপরতার প্রয়োজন, তা আজকের আলোচনার মধ্য দিয়ে দৃঢ় হবে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিসিটিভিতে এ বৈঠক সম্পর্কে বলা হয়, তিন কূটনীতিক ইরানের পারমাণবিক ইস্যু এবং অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট ইস্যুতে পারস্পরিক দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময় করেছেন। চীনের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মা ঝাওজু, রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাজেম গারিবাবাদি।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমটিতে এ আলোচনার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
ট্রাম্প গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন।
ইরানের সঙ্গে নতুন করে আলোচনা শুরুর আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প। তবে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকা অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় অংশ নিতে রাজি নয় তেহরান।
চলতি সপ্তাহে ট্রাম্প ইরানকে পারমাণবিক আলোচনার আহ্বান জানিয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন। তিনি হুঁশিয়ার করে বলেছেন, ইরান প্রত্যাখ্যান করলে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।
গতকাল বৃহস্পতিবার তেহরান বলেছে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বরাবর লেখা চিঠিটি তারা এখন পর্যালোচনা করছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি গতকাল দেশটির সরকারের আনুষ্ঠানিক সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের উচিত, নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া।’
আরাগচি আরও বলেন, চাপ ও হুমকিমুক্ত থাকলে এবং জনগণের জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষার নিশ্চয়তা পেলেই কেবল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসবেন তাঁরা।