গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা
Published: 12th, February 2025 GMT
পুঁজিবাজারে বিমা খাতে তালিকাভুক্ত গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর পুরোটাই নগদ লভ্যাংশ।
২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য এ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের শেয়ারের বিপরীতে ২.
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই-সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৭ মার্চ। আর ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের মাঝে বিতরণে রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ মার্চ।
আলোচিত বছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৫.৩৯ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ৬.১১ টাকা।
গত ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৭০.৪০ টাকা।
এই করপোরেট ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন কোম্পানিটির শেয়ারের লেনদেনের কোনো মূল্যসীমা থাকবে না।
ঢাকা/এনটি/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ স ব বছর
এছাড়াও পড়ুন:
৭৫ শতাংশ কমানো হলো পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) সম্প্রতি এক আলোচিত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ক্রিকেটারদের ম্যাচ কমিয়ে দিয়েছে। নতুন এই পরিবর্তনের ফলে এবারের ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপে অংশ নেওয়া ক্রিকেটাররা প্রতি ম্যাচে মাত্র ১০ হাজার পাকিস্তানি রুপি পাবেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪ হাজার ৩৪০ টাকা। যেখানে আগের আসরে তারা প্রতি ম্যাচে ৪০ হাজার রুপি (প্রায় ১৭ হাজার ৩৬০ টাকা) করে পেত। অর্থা গেল বছরের চেয়ে এবার ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি কমানো হয়েছে ৭৫ শতাংশ।
নতুন কাঠামো অনুযায়ী, বেঞ্চে থাকা রিজার্ভ খেলোয়াড়দের ম্যাচ ফি আরও কমিয়ে ৫ হাজার রুপি নির্ধারণ করা হয়েছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ হাজার ১৭০ টাকা। তবে পিসিবির এক কর্মকর্তা দাবি করেছেন, এই সিদ্ধান্তের পেছনে কোনো আর্থিক সংকট নয়, বরং ঘরোয়া ক্রিকেটের ক্যালেন্ডারে টুর্নামেন্টের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রিকেটারদের আয়ের সুযোগ বেড়েছে।
পিসিবির বর্তমান চেয়ারম্যান মহসিন নাকভির নেতৃত্বে বোর্ডের ব্যয় ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, বোর্ডের তহবিল সংকটে নেই এবং এটি পাকিস্তান ক্রিকেটের উন্নয়নে ব্যয় করা হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, স্টেডিয়াম সংস্কার, বিদেশি কোচ নিয়োগ ও বরখাস্ত, এবং পরামর্শকদের উচ্চ সম্মানী বাবদ বিপুল অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে। বোর্ডের পাঁচজন পরামর্শকের জন্য প্রতিমাসে ব্যয় হচ্ছে ৫০ লাখ পাকিস্তানি রুপি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২১ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
আরো পড়ুন:
পাকিস্তানে সেই ট্রেন থেকে ১০৪ জিম্মি উদ্ধার, নিহত ১৬
পাকিস্তানে তালেবানের হামলায় ৪ সেনা নিহত
প্রসঙ্গত, ২০২২-২৩ মৌসুমে পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে ম্যাচ ফি অনেক বেশি ছিল। দুই বছর আগে ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপে অংশগ্রহণকারী ক্রিকেটাররা প্রতি ম্যাচে ৬০ হাজার রুপি (প্রায় ২৬ হাজার ৪০ টাকা) পেতেন। কায়েদ-ই-আজম ট্রফির ক্ষেত্রে সেই ফি ছিল আরও বেশি, প্রতি ম্যাচে ১ লাখ রুপি। অথচ এবার সেই ফি অনেক কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা ক্রিকেটারদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করতে পারে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে ২০২৪-২৫ মৌসুমের ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপ, যেখানে ১৮টি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। টুর্নামেন্টের ৪০টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ফয়সালাবাদ, লাহোর ও মুলতানের তিনটি স্টেডিয়ামে। ২৭ মার্চ ফয়সালাবাদের ইকবাল স্টেডিয়ামে জমকালো ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে এই প্রতিযোগিতার।
ঢাকা/আমিনুল