পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে পরিবেশ বান্ধব চুল্লি, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও কাঠ পোড়ানোর অভিযোগে চারটি ইটভাটায় অভিযান চালিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এর মধ্যে একটি ভাটাকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, অন্য তিনটি ভাটাকে পাঁচ লাখ টাকা  করে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

মঙ্গলবার বিকালে বরিশাল ও পিরোজপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন। ইট প্রস্তুত আইন ও ভাটা স্থাপন আইন সংশোধনী-২০১৯ এর বলে এ অভিয়ান পরিচালনা করা হয়।

এ দিন অভিযানের সময় উপজেলার চন্ডিপুর ই্উনিয়নের খোলপটুয়া গ্রামের কেবিআই ভাটার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় ভেকু দিয়ে তা ভেঙে ফেলা হয়। এ সময় পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এ ভাটার কাঁচা ইট ও চুল্লি ভেঙে ফেলেন। এছাড়া আরওয়ান ব্রিকস ও এস বিআই ব্রিকসের কাগজপত্র না থাকায় ও কাঠ পোড়ানোর অভিযোগে তাদের ভাটায় ভাঙচুর করা হয় এবং পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। এরপর ভাই ভাই ব্রিকসকেও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করে।

কেবিআই ভাটার মালিক শাকিল মাহমুদ পলাশ সমকালকে বলেন, আমার ভাটর চুল্লিসহ প্রায় পাঁচ লাখ টাকার কাঁচা ইট ভেঙে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে পরিবশে অধিদপ্তর।

পরিবেশ অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় উপ পরিচালক মো.

জহিরুল ইসলাম তালুকদার জানান, আইন না মেনে ইটভাটা পরিচালনা করায় এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইটভ ট

এছাড়াও পড়ুন:

ময়মনসিংহে জমির জাল কাগজপত্র তৈরি চক্রের হোতা গ্রেপ্তার

জমির দলিল, খতিয়ান, দাগ ও নাম পরিবর্তন করে নিমেষেই জাল কাগজপত্র তৈরি করতেন আলমগীর হোসেন (৩১)। নিজেই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নামের সিল স্বাক্ষর তৈরি করে দিতেন। সেই জাল কাগজপত্র নিয়ে আদালতে মামলা ঠুকে দিয়ে গ্রামে চলত বিবাদ। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে জাল কাগজপত্র তৈরি চক্রের মূল হোতা আলমগীরকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

গ্রেপ্তার আলমগীর হোসেনের বাড়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চর ঈশ্বরদিয়া ইউনিয়নে। অভিযানের সময় ৮টি জাল দলিল, বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নের ভূমিসংশ্লিষ্ট ২০ কর্মকর্তাদের ৬২টি সিল, ৩৬টি খোলা রাবার সিল, ১৪টি রাবার সিলের প্লাস্টিক হোল্ডার ও খসড়া কাগজ জব্দ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় আজ সোমবার বেলা তিনটার দিকে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম এম মোহাইমেনুর রশীদ চক্রটির তৎপরতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানান। তিনি বলেন, দেড় বছরে বিপুলসংখ্যক জমিজমার কাগজপত্র চক্রটি জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করেছে। জেলায় হত্যাসহ সহিংসতার ঘটনাগুলোর অধিকাংশ জমির মালিকানাসংক্রান্ত ঘটনাকে ঘিরে। চক্রটি পুরোপুরি শনাক্ত করতে পারলে জমিজমাসংক্রান্ত সমস্যা প্রশমিত করা যাবে। জব্দ করা কাগজপত্রগুলো বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানো হবে।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, আলমগীর তাঁর বাড়িতে দেড় বছর ধরে ভূমিসংশ্লিষ্ট জাল দলিল ও নাম খারিজের দলিলাদি তৈরি করে আসছিলেন। যিনি জমির মালিক নন, তাঁকে মালিক বানিয়ে দিতেন। এ জন্য মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা নিতেন। নামজারির ক্ষেত্রে নতুন নাম সংযুক্ত করা কিংবা যিনি জমির প্রাপ্য নন, তাঁর নাম সংযুক্ত করে জমির অংশীদার বানিয়ে জালিয়াতির কাজ করতেন। চক্রটিতে আরও অন্তত চারজন সদস্য কাজ করেন বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা হয়েছে। সেই মামলায় আলমগীর হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আজ বিকেলে তাঁকে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কনটেন্ট ক্রিয়েটর কাফির বাড়িতে আগুন
  • খালাসের পরও ৭ বছর কারাগারের ফাঁসির সেলে বন্দী ছিলেন ইব্রাহিম
  • হাউজিংয়ের থাবায় হারাতে যাচ্ছে আরেকটি পুকুর
  • কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ২৪ পদের ফল প্রকাশ
  • ময়মনসিংহে জমির জাল কাগজপত্র তৈরি চক্রের হোতা গ্রেপ্তার
  • বরিশালে গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ
  • যেভাবে প্রস্তুতি শুরু করবেন