আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর নুরুজ্জামান কাফির গ্রামের বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। বাইরে থেকে বাড়ির দরজা আটকে আগুন দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন কাফির বাবা। 

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত দেড়টার দিকে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার রজপাড়া গ্রামের বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে। পরে কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। 

আগুনে বাড়িতে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন কাফির বাবা মাওলানা এবিএম হাবিবুর রহমান। 

আরো পড়ুন:

ফেনীতে ২ দিনে আ.

লীগের ১৯ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার 

বাহুবল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

কাফির প্রতিবেশী ওয়ালি উল্লাহ ইমরান বলেন, “আমরা বাড়িটিতে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেই। তাদের সঙ্গে আমরাও আগুন নেভানোর কাজে নেমে যাই। এটা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত। কারণ বাইরে থেকে দরজার ছিটকানি লাগানো ছিল।”

কাফির বাবা মাওলানা এবিএম হাবিবুর রহমান বলেন, “আমাদের বাড়িটি সন্ত্রাসীরা আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। আমাদের পুড়িয়ে মারার জন্যই এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা বিচার চাই।” 

তিনি আরো বলেন, “আগুন লাগার পর আমরা যে যার মতো দরজা ভেঙে বের হয়েছি। কিছুই নেই। সব শেষ হয়ে গেছে। কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, সার্টিফিকেট, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।”

কলাপাড়া থানার ওসি জুয়েল ইসলাম বলেন, “রজপাড়া এলাকার আগুনের ঘটনা নিয়ে আমাদের তদন্ত চলছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতের লোকসভায় অবৈধ অভিবাসনবিরোধী বিল উত্থাপন

ভারতের লোকসভায় অভিবাসন ও বিদেশি বিল-২০২৫ উত্থাপন করল কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার উত্থাপিত এই বিলে জাতীয় নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টির জন্য কঠোর শাস্তি আরোপ করার কথা বলা হয়েছে। অবৈধভাবে দেশটিতে প্রবেশ করলে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও ৫ লাখ রুপি অর্থদণ্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে। খবর এনডিটিভির।

বিলে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ভারতের অখণ্ডতার জন্য হুমকিস্বরূপ কোনো বিদেশিকে প্রবেশ বা থাকার অনুমতি দেওয়া হবে না। অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা ইমিগ্রেশন অফিসারদের থাকবে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও নার্সিং হোমের মতো প্রতিষ্ঠানে থাকা বিদেশি নাগরিকদের তথ্য অভিবাসন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।

প্রস্তাবিত এই বিল লঙ্ঘনে কঠোর শাস্তির সুপারিশ করে বলা হয়েছে, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশ করলে পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ৫ লাখ রুপি অর্থদণ্ড করা হবে। জাল কাগজপত্র ব্যবহার করলে দুই থেকে সাত বছরের কারাদণ্ডের সঙ্গে এক থেকে ১০ লাখ রুপি অর্থদণ্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া, ভারতীয় ভিসার শর্ত লঙ্ঘন বা অতিরিক্ত সময় ধরে অবস্থান করলে তিন বছরের কারাদণ্ড এবং ৩ লাখ রুপি জরিমানা করা হবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জাল সনদে চাকরির অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে
  • ভারতের লোকসভায় অবৈধ অভিবাসনবিরোধী বিল উত্থাপন