কনটেন্ট ক্রিয়েটর কাফির বাড়িতে আগুন
Published: 12th, February 2025 GMT
আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর নুরুজ্জামান কাফির গ্রামের বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। বাইরে থেকে বাড়ির দরজা আটকে আগুন দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন কাফির বাবা।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত দেড়টার দিকে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার রজপাড়া গ্রামের বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে। পরে কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আগুনে বাড়িতে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন কাফির বাবা মাওলানা এবিএম হাবিবুর রহমান।
আরো পড়ুন:
ফেনীতে ২ দিনে আ.
বাহুবল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
কাফির প্রতিবেশী ওয়ালি উল্লাহ ইমরান বলেন, “আমরা বাড়িটিতে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেই। তাদের সঙ্গে আমরাও আগুন নেভানোর কাজে নেমে যাই। এটা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত। কারণ বাইরে থেকে দরজার ছিটকানি লাগানো ছিল।”
কাফির বাবা মাওলানা এবিএম হাবিবুর রহমান বলেন, “আমাদের বাড়িটি সন্ত্রাসীরা আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। আমাদের পুড়িয়ে মারার জন্যই এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা বিচার চাই।”
তিনি আরো বলেন, “আগুন লাগার পর আমরা যে যার মতো দরজা ভেঙে বের হয়েছি। কিছুই নেই। সব শেষ হয়ে গেছে। কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, সার্টিফিকেট, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।”
কলাপাড়া থানার ওসি জুয়েল ইসলাম বলেন, “রজপাড়া এলাকার আগুনের ঘটনা নিয়ে আমাদের তদন্ত চলছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ময়মনসিংহে জমির জাল কাগজপত্র তৈরি চক্রের হোতা গ্রেপ্তার
জমির দলিল, খতিয়ান, দাগ ও নাম পরিবর্তন করে নিমেষেই জাল কাগজপত্র তৈরি করতেন আলমগীর হোসেন (৩১)। নিজেই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নামের সিল স্বাক্ষর তৈরি করে দিতেন। সেই জাল কাগজপত্র নিয়ে আদালতে মামলা ঠুকে দিয়ে গ্রামে চলত বিবাদ। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে জাল কাগজপত্র তৈরি চক্রের মূল হোতা আলমগীরকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
গ্রেপ্তার আলমগীর হোসেনের বাড়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চর ঈশ্বরদিয়া ইউনিয়নে। অভিযানের সময় ৮টি জাল দলিল, বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নের ভূমিসংশ্লিষ্ট ২০ কর্মকর্তাদের ৬২টি সিল, ৩৬টি খোলা রাবার সিল, ১৪টি রাবার সিলের প্লাস্টিক হোল্ডার ও খসড়া কাগজ জব্দ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আজ সোমবার বেলা তিনটার দিকে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম এম মোহাইমেনুর রশীদ চক্রটির তৎপরতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানান। তিনি বলেন, দেড় বছরে বিপুলসংখ্যক জমিজমার কাগজপত্র চক্রটি জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করেছে। জেলায় হত্যাসহ সহিংসতার ঘটনাগুলোর অধিকাংশ জমির মালিকানাসংক্রান্ত ঘটনাকে ঘিরে। চক্রটি পুরোপুরি শনাক্ত করতে পারলে জমিজমাসংক্রান্ত সমস্যা প্রশমিত করা যাবে। জব্দ করা কাগজপত্রগুলো বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানো হবে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, আলমগীর তাঁর বাড়িতে দেড় বছর ধরে ভূমিসংশ্লিষ্ট জাল দলিল ও নাম খারিজের দলিলাদি তৈরি করে আসছিলেন। যিনি জমির মালিক নন, তাঁকে মালিক বানিয়ে দিতেন। এ জন্য মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা নিতেন। নামজারির ক্ষেত্রে নতুন নাম সংযুক্ত করা কিংবা যিনি জমির প্রাপ্য নন, তাঁর নাম সংযুক্ত করে জমির অংশীদার বানিয়ে জালিয়াতির কাজ করতেন। চক্রটিতে আরও অন্তত চারজন সদস্য কাজ করেন বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা হয়েছে। সেই মামলায় আলমগীর হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আজ বিকেলে তাঁকে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।