মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ার পর ট্রাকের চাপায় যুবকের মৃত্যু
Published: 12th, February 2025 GMT
পিচ্ছিল মহাসড়কে হঠাৎ কাত হয়ে যায় চলন্ত মোটরসাইকেল। এ সময় মোটরসাইকেল থেকে দুই আরোহী ছিটকে পড়লে তাঁদের চাপা দেয় লবণবোঝাই একটি ট্রাক। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন একজন। অপরজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়া উপজেলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত মোটরসাইকেল আরোহীর নাম সাইফুদ্দীন জামিল (২৭)। তিনি চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার হুলাইন এলাকার মোহাম্মদ ইউনুছের ছেলে। আহত হয়েছেন একই এলাকার বাসিন্দা রেজাউল করিম (২৬)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দুই বন্ধু সাইফুদ্দীন ও রেজাউল একটি মোটরসাইকেল নিয়ে কক্সবাজারে বেড়াতে গিয়েছিলেন। বেড়ানো শেষে গতকাল রাতে বাড়িতে ফিরছিলেন। রাত সাড়ে আটটার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে তাঁরা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়ার ছদাহার হাঙর রাজঘাটা এলাকার এস আই পার্ক কনভেনশন হলের সামনে পৌঁছান। এ সময় পিচ্ছিল মহাসড়কে তাঁদের মোটরসাইকেলটি কাত হয়ে যায়। এর পরপরই দুই আরোহীকে পেছনে থাকা চট্টগ্রামমুখী একটি ট্রাক চাপা দেয়। ঘটনাস্থলে সাইফুদ্দীন নিহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় রেজাউল করিমকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠান।
দুর্ঘটনায় হতাহতের বিষয়টি দোহাজারী হাইওয়ে থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) এম এ মতিন নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, শীত মৌসুমে রাতের বেলা শিশির ও লবণবোঝাই ট্রাকের ঝরে পড়া পানিতে সড়ক পিচ্ছিল হয়ে থাকে। এ ধরনের পরিস্থিতি পিচ্ছিল হওয়া সড়কে একটি মোটরসাইকেল কাত হয়ে দুই আরোহী ছিটকে পড়েছেন। এ সময় তাঁদের একটি ট্রাক চাপা দিয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মোটরসাইকেল ও ট্রাকটি জব্দ করে হাইওয়ে থানার হেফাজতে রাখা হয়েছে। তবে ট্রাকটির চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরানের সঙ্গে চীন ও রাশিয়ার বৈঠক
চীন, রাশিয়া ও ইরানের কূটনীতিকদের মধ্যে আজ শুক্রবার বৈঠক হয়েছে। বেইজিংয়ের আশা, এ বৈঠকের মধ্য দিয়ে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্থবির হয়ে থাকা আলোচনা নতুন করে শুরু করা যাবে। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
২০১৫ সালে চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি ঐতিহাসিক চুক্তিতে সই করেছিল ইরান। এ চুক্তির মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করতে সম্মত হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদে দায়িত্বপালনকালে ট্রাম্প ওই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন। তিনি নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেন।
ওয়াশিংটনের সরে যাওয়ার পরও এক বছর ধরে তেহরান ওই চুক্তি মেনে চলেছিল। পরে তারাও তাদের প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসতে শুরু করে। চুক্তিটি পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টা তখন থেকে ভেস্তে যায়।
বেইজিং বলেছে, তারা আশা করে, কম সময়ের মধ্যে ওই আলোচনা নতুন করে শুরু করতে যে তৎপরতার প্রয়োজন, তা আজকের আলোচনার মধ্য দিয়ে দৃঢ় হবে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিসিটিভিতে এ বৈঠক সম্পর্কে বলা হয়, তিন কূটনীতিক ইরানের পারমাণবিক ইস্যু এবং অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট ইস্যুতে পারস্পরিক দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময় করেছেন। চীনের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মা ঝাওজু, রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাজেম গারিবাবাদি।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমটিতে এ আলোচনার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
ট্রাম্প গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন।
ইরানের সঙ্গে নতুন করে আলোচনা শুরুর আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প। তবে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকা অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় অংশ নিতে রাজি নয় তেহরান।
চলতি সপ্তাহে ট্রাম্প ইরানকে পারমাণবিক আলোচনার আহ্বান জানিয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন। তিনি হুঁশিয়ার করে বলেছেন, ইরান প্রত্যাখ্যান করলে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।
গতকাল বৃহস্পতিবার তেহরান বলেছে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বরাবর লেখা চিঠিটি তারা এখন পর্যালোচনা করছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি গতকাল দেশটির সরকারের আনুষ্ঠানিক সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের উচিত, নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া।’
আরাগচি আরও বলেন, চাপ ও হুমকিমুক্ত থাকলে এবং জনগণের জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষার নিশ্চয়তা পেলেই কেবল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসবেন তাঁরা।