বছরের পর বছর ‘নিখোঁজ’ পপির খবর মিলেছে জিডি সূত্রে
Published: 12th, February 2025 GMT
হঠাৎ করেই চলচ্চিত্র অঙ্গন থেকে সরে যান তিনি। বছরের পর বছর তাঁকে পাওয়া যায়নি এফডিসিতে, দেখা যায়নি চলচ্চিত্র অঙ্গনের কোনো আয়োজনে। এমনকি শিল্পী সমিতির নির্বাচনেও অনুপস্থিত ছিলেন। সহকর্মী, সহশিল্পীদের ভাষ্যে পপি ‘নিখোঁজ’। ফোনেও পাওয়া যায় না তাঁকে। পুরোপুরি চলচ্চিত্র অঙ্গন থেকে দূরে ছিলেন। এমনকি তাঁর বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানাতেন, মেয়ে কোথায় আছে, তা তাঁরা জানেন না।
মা মরিয়ম বেগমের সঙ্গে চিত্রনায়িকা পপি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সংগীতশিল্পী প্রীতমের স্টুডিও থেকে ৪০ লাখ টাকা চুরি!
ভারতের সঙ্গীতশিল্পী প্রীতম চক্রবর্তীর স্টুডিও থেকে নগদ ৪০ লাখ রুপি নিয়ে পালিয়েছে গায়কের স্টুডিওতে কর্মরত এক অফিস সহায়ক। এমন ঘটনায় মালাড খানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রীতমের ম্যানেজার। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত যুবকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে মালাড পুলিশ। জানা যাচ্ছে ওই যুবকের নাম আশিস সায়াল।
জানা গেছে, একটি কাজের জন্য প্রযোজনা সংস্থার পক্ষ থেকে ওই ৪০ লক্ষ রুপি অগ্রিম হিসাবে প্রীতমকে দিয়েছিল।
পুলিশের বরাতে হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, ঘটনাটি ঘটে গত ৪ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে। সেসময় মধু মন্টেনার অফিস থেকে প্রোডাকশন হাউসের এক কর্মচারী গোরেগাঁওয়ে প্রীতম চক্রবর্তীর মিউজিক স্টুডিও 'ইউনিমিউজ রেকর্ডস প্রাইভেট লিমিটেড'-এ যান। তিনি প্রীতমের ম্যানেজার বিনীত ছেদাকে ৪০ লক্ষ রুপি নগদসহ একটা ব্যাগ দেন। সেসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ওই স্টুডিওর কর্মী আশিস সায়াল, আহমেদ খান এবং কমল দিশা।
পুলিশ সূত্রে খবর, গোরেগাঁও-মুলুন্দ লিঙ্ক রোডের রুস্তমজি ওজন বিল্ডিংয়ে রয়েছে জাতীয় পুরস্কারজয়ী সুরকার প্রীতমের ইউনিমিউজ রেকর্ডস প্রাইভেট লিমিটেড-এর অফিস।
জানা যাচ্ছে, টাকা দেওয়ার পর প্রীতমের ম্যানেজার বিনীত ছেদা (২৯) নগদ টাকা গুনে একটি ট্রলি ব্যাগে ভরে রাখেন। টাকা রেখে প্রীতমের বাড়িতে যান কিছু কাগজপত্রে তাকে সই করানোর জন্য।রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফিরে এসে দেখেন ব্যাগটি নেই। চুরি যাওয়া ব্যাগে ৫০০ টাকার ৮ হাজার নোট ছিল বলে জানা গেছে।
বিনীত ছেদা এ বিষয়ে আহমেদ খানকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, আশিস সায়াল টাকার ব্যাগটি নিয়ে গিয়েছিলেন, তিনি বলেছিলেন, সেই ব্যাগ তিনি প্রীতমের বাড়িতে পৌঁছে দেবেন। এরপর আশীস আর প্রীতমের বাড়িতে যাননি, এমনকি স্টুডিওতেও ফিরে আসেননি। এমনকি তাকে ফোনেও পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ।
যদিও ঘটনার পর প্রীতম তার কর্মীদের কিছু সময় অপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কারণ, আশীস নামে ওই যুবক তার স্টুডিওতে গত ৭ বছর ধরে কাজ করছেন। তবে বেশ কয়েকদিন আশীসের কোনও খোঁজ না মিললে, সঙ্গীতশিল্পীর ম্যানেজার পুলিশের দ্বারস্থ হন।
পুলিশ ইতিমদ্যেই আশিস সায়ালের আত্মীয়দের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে এবং তার মোবাইল ফোনের রেকর্ড খতিয়ে দেখে তার খোঁজ চালাচ্ছে। তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন যে তারা সন্দেহভাজন ব্যক্তি সম্প্রতি কোনও জায়গা থেকে টাকা ধার করেছিলেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাহলে এই চুরির পিছনের উদ্দেশ্য খুঁজতে সাহায্য করবে।
এই ঘটনায় মালাড পুলিশ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩৮১ ধারায় (কর্মচারী, চাকরদের তাদের নিয়োগকর্তার সম্পত্তি চুরি) এর অধীনে একটি মামলা দায়ের করেছে। সেসময় স্টুডিওতে উপস্থিত অন্যান্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।