চলতি ফেব্রুয়ারি মাস, গত জানুয়ারি এবং ডিসেম্বর (২০২৪) মাসের একটি দিনেও নির্মল বায়ু পায়নি নগরবাসী। এর মধ্যে গত সোমবার সকালে রাজধানীর বায়ুর মান ছিল ৫৪২।

সেই পরিস্থিতিতে ‘অস্বাভাবিকের চেয়ে অস্বাভাবিক’ বলেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তার আগে গত ২২ জানুয়ারি রাজধানীর বায়ুর মান ছিল ৫১৮। দূষণে এভাবে একের পর এক রেকর্ডের পরও পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর কোনো বোধোদয় নেই।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে আটটার আইকিউএয়ারের মানসূচকে ঢাকার গড় বায়ুর মান ১৭২। এমন অবস্থাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়।

আজ সকালে বিশ্বের ১২৪ নগরীর মধ্যে ঢাকার অবস্থান পঞ্চম। বায়ুদূষণে ঢাকার এ অবস্থান তুলে ধরেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার।

প্রতিষ্ঠানটি বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও সতর্ক করে।

রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকাগুলোর মধ্যে যেসব এলাকায় বায়ুর মান মারাত্মক দূষিত, সেগুলোর মধ্যে আছে সাভারের হেমায়েতপুর (১৯৭), মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং (১৯২) ও ঢাকার মার্কিন দূতাবাস (১৮১)।

আজ আইকিউএয়ারের দেওয়া সতর্কবার্তায় ঢাকাবাসীর উদ্দেশে পরামর্শ, বাইরে বের হলে সুস্বাস্থ্যের জন্য অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। খোলা স্থানে ব্যায়াম করা যাবে না। আরও একটি পরামর্শ, ঘরের জানালা বন্ধ রাখতে হবে।

ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২ দশমিক ৫-এর উপস্থিতি। ঢাকার বাতাসে এর উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানমাত্রার চেয়ে প্রায় ১৭ গুণ বেশি।

দূষণসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ক্যাপসের এক জরিপে দেখা গেছে, ডিসেম্বরে যত বায়ুদূষণ ছিল, তা গত ৯ বছরে সর্বোচ্চ। আবার গত জানুয়ারিতে দূষণের মান ছিল ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

আরও পড়ুনঢাকায় বায়ুদূষণ কমার লক্ষণ নেই, জানুয়ারিতে ভয়াবহ ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ঢাকায় গত জানুয়ারিতে একাধিক দিন বায়ুর মান ৩০০-এর বেশি হয়েছে। আজ অন্য বিভাগীয় শহরগুলোর বায়ুর মানও নাজুক। এর মধ্যে বায়ুর মান চট্টগ্রামে ১০৫, রাজশাহীতে ১৬৮ ও খুলনায় ১১৯।

আরও পড়ুনঢাকায় ৯ বছরের মধ্যে সবচেয়ে দূষিত মাস ২০২৪-এর ডিসেম্বর০২ জানুয়ারি ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সার্টিফিকেশন বোর্ড কী করছে

সাড়ে চার মাসে সাড়ে তিন শর বেশি সিনেমাকে সার্টিফিকেশন সনদ দিয়েছে বোর্ড। এর মধ্যে ‘ভয়াল’, ‘বলী’, ‘দরদ’, ‘চাঁদের অমাবস্যা’, ‘বাড়ির নাম শাহানা’, ‘প্রিয় মালতী’র মতো সিনেমা যেমন আছে, তেমনি রয়েছে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের দুই শতাধিক চলচ্চিত্র ও মাল্টিপ্লেক্সে মুক্তি পাওয়া হলিউডের চলচ্চিত্র।

২০২৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড’ গঠন করে সরকার। ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন, ২০২৩’-এর ৩-এর উপধারা (১) অনুসারে গঠিত হয়েছে এই বোর্ড।

বোর্ডের প্রধান কাজ ছবির রেটিং দেওয়া। কোন ছবি কোন বয়সের দর্শকের জন্য উপযোগী, নির্ধারণ করে বোর্ড। আর এই রেটিং প্রদানের জন্য জরুরি বিধিমালা। কিন্তু বিধিমালা এখনো চূড়ান্ত হয়নি, প্রস্তাব আকারে রয়েছে। কেউ কেউ তাই প্রশ্ন তুলেছেন, বিধিমালা ছাড়াই সাড়ে চার মাস ধরে সার্টিফিকেশন বোর্ড কীভাবে কাজ করছে?

২০২৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড’ গঠন করে সরকার

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা
  • ‘বুমরাকে ছাড়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফি রোনালদোবিহীন বিশ্বকাপের মতো’
  • হত্যা মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর কারাগারে
  • জুলাই অভ্যুত্থানের নৃশংসতা নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন বুধবার
  • চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা: প্রবেশপত্র ডাউনলোডের সূচি প্রকাশ
  • কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা ১৫০ নম্বরে নয়, ১২০-এ, নম্বর বণ্টন কীভাবে
  • রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা
  • ঢাকার বায়ু আজ অস্বাস্থ্যকর, নগরবাসীর সুরক্ষায় কয়েক পরামর্শ
  • সার্টিফিকেশন বোর্ড কী করছে