ঢাকার বায়ু আজও অস্বাস্থ্যকর, নির্মল বায়ু কবে পাবে নগরবাসী
Published: 12th, February 2025 GMT
চলতি ফেব্রুয়ারি মাস, গত জানুয়ারি এবং ডিসেম্বর (২০২৪) মাসের একটি দিনেও নির্মল বায়ু পায়নি নগরবাসী। এর মধ্যে গত সোমবার সকালে রাজধানীর বায়ুর মান ছিল ৫৪২।
সেই পরিস্থিতিতে ‘অস্বাভাবিকের চেয়ে অস্বাভাবিক’ বলেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তার আগে গত ২২ জানুয়ারি রাজধানীর বায়ুর মান ছিল ৫১৮। দূষণে এভাবে একের পর এক রেকর্ডের পরও পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর কোনো বোধোদয় নেই।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে আটটার আইকিউএয়ারের মানসূচকে ঢাকার গড় বায়ুর মান ১৭২। এমন অবস্থাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়।
আজ সকালে বিশ্বের ১২৪ নগরীর মধ্যে ঢাকার অবস্থান পঞ্চম। বায়ুদূষণে ঢাকার এ অবস্থান তুলে ধরেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার।
প্রতিষ্ঠানটি বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও সতর্ক করে।
রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকাগুলোর মধ্যে যেসব এলাকায় বায়ুর মান মারাত্মক দূষিত, সেগুলোর মধ্যে আছে সাভারের হেমায়েতপুর (১৯৭), মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং (১৯২) ও ঢাকার মার্কিন দূতাবাস (১৮১)।
আজ আইকিউএয়ারের দেওয়া সতর্কবার্তায় ঢাকাবাসীর উদ্দেশে পরামর্শ, বাইরে বের হলে সুস্বাস্থ্যের জন্য অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। খোলা স্থানে ব্যায়াম করা যাবে না। আরও একটি পরামর্শ, ঘরের জানালা বন্ধ রাখতে হবে।
ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২ দশমিক ৫-এর উপস্থিতি। ঢাকার বাতাসে এর উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানমাত্রার চেয়ে প্রায় ১৭ গুণ বেশি।
দূষণসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ক্যাপসের এক জরিপে দেখা গেছে, ডিসেম্বরে যত বায়ুদূষণ ছিল, তা গত ৯ বছরে সর্বোচ্চ। আবার গত জানুয়ারিতে দূষণের মান ছিল ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
আরও পড়ুনঢাকায় বায়ুদূষণ কমার লক্ষণ নেই, জানুয়ারিতে ভয়াবহ ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ঢাকায় গত জানুয়ারিতে একাধিক দিন বায়ুর মান ৩০০-এর বেশি হয়েছে। আজ অন্য বিভাগীয় শহরগুলোর বায়ুর মানও নাজুক। এর মধ্যে বায়ুর মান চট্টগ্রামে ১০৫, রাজশাহীতে ১৬৮ ও খুলনায় ১১৯।
আরও পড়ুনঢাকায় ৯ বছরের মধ্যে সবচেয়ে দূষিত মাস ২০২৪-এর ডিসেম্বর০২ জানুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চুয়াডাঙ্গায় ধর্ষণের দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় নিজের মেয়েকে (১৫) ধর্ষণের দায়ে বাবাকে (৪৬) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ড পাওয়া বাবা রায় ঘোষণার সময় আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা। রায়ের পর পুলিশি পাহারায় প্রিজন ভ্যানে আদালত থেকে তাঁকে জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।
চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের সরকারি কৌঁসুলি এম এম শাহজাহান প্রথম আলোকে রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কিশোরী ধর্ষণ মামলায় তার বাবাকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। সমাজে এ ধরনের ঘৃণিত অপরাধ আর যেন না হয়, এটা তাঁর আশা।
২০২৪ সালের ৭ মার্চ ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে কিশোরীর বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অবিযোগে আলমডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন মামলা করেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার পর ২০২৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নে ওই কিশোরীর বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের কয়েক দিন পর স্বামীর বাড়িতে তার পেটে ব্যথা ও বমি বমি অনুভূত হয়। এরপর তাঁর স্বামী ওষুধ এনে খাওয়ালেও কোনো উপকার হয়নি। পরে পরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারেন যে তিনি ২-৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। জিজ্ঞাসাবাদে কিশোরী তার মাকে জানায় যে ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর বাড়িতে গেলে বাবা তাঁকে ধর্ষণ করেন।