বলিউডের ‘ধকধক গার্ল’ মাধুরী দীক্ষিতে মুগ্ধ হননি এমন দর্শক খুঁজে পাওয়াই মুশকিল! তার রূপ, অভিনয় আর ঝড় তোলা নাচ ভোলার মতো নয়। অভিনয় ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে বিনোদ খান্নার সঙ্গে চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করে দারুণ আলোচিত হয়েছিলেন মাধুরী। এরপর আর কোনো অন্তরঙ্গ দৃশ্যে দেখা যায়নি তাকে। কিন্তু এই চুম্বন দৃশ্যের শুটিং শেষ হওয়ার পর ভীষণ কেঁদেছিলেন মাধুরী।

বলিউড লাইফ ডটকম এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘দয়াবান’ সিনেমায় বিনোদ খান্নার স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেন মাধুরী দীক্ষিত। ১৯৮৮ সালে মুক্তি পায় এটি। পর্দায় এ জুটির রসায়ন দর্শক হৃদয়ে ঝড় তুলেছিল। সিনেমাটিতে তাদের বিখ্যাত দৃশ্য রয়েছে ‘আজ ফির তুম পে প্যায়ার আয়া হ্যায়’ গানে। এই গানে মাধুরীকে বিনোদের চুমু খাওয়ার দৃশ্যটি রয়েছে।

চুমুর দৃশ্যের শুটিং শুরু হয়। পরিচালক ‘কাট’ বলার পরও বিনোদ মাধুরীর ঠোঁটে অনবরত চুমু খেতে থাকেন। এক পর্যায়ে মাধুরীর ঠোঁট কেটে রক্ত ঝরতে থাকে। এরপর অঝোরে কাঁদতে থাকেন মাধুরী। পরে পরিচালক ফিরোজ খান ও বিনোদ খান্না মাধুরীর কাছে ক্ষমা চান। শুধু তাই নয়, দৃশ্যটির জন্য মাধুরীকে অনেক টাকা বাড়িয়েও দেন নির্মাতারা।

আরো পড়ুন:

সালমানকে নিয়ে অ্যাটলির নয়া মিশন, বাজেট ৭০০ কোটি টাকা!

বাবা তুমি কি মারা যাচ্ছো, আহত সাইফকে প্রশ্ন করেছিল পুত্র তৈমুর

চুম্বন দৃশ্যে যখন অভিনয় করেন তখন মাধুরীর বয়স ২০ বছর আর বিনোদ খান্নার ৪২। এ নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে মাধুরী দীক্ষিত বলেছিলেন, “আমি যখন অতীতে ফিরে তাকাই, তখন মনে হয়— আমার বলা উচিত ছিল, ‘না, আমি এটা করতে চাই না।’ কিন্তু তারপর হয়তো এটা করতে আমার একটু ভয় লেগেছিল। এটা এমন ছিল যে, আমি একজন অভিনেত্রী এবং পরিচালক দৃশ্যটি বিশেষ উপায়ে কল্পনা করেছেন। সুতরাং আমি এটি ‘না’ করলে গল্প ব্যাহত হবে।”

চুম্বন দৃশ্যে অভিনয়ের কারণ ব্যাখ্যা করে মাধুরী দীক্ষিত বলেছিলেন, “আমি কোনো ফিল্মি পরিবার থেকে আসিনি। সুতরাং আমি এই ইন্ডাস্ট্রি এবং পরিচালনার নিয়ম সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। তখন আমি জানতাম না যে, চুম্বন দৃশ্য করতে ‘না’ বলা যেতে পারে। তাই আমি এটি করেছিলাম। কিন্তু পরে যখন সিনেমাটি দেখি, তখন মনে হয়েছে আমি কেন এটি করেছি? চুম্বন দৃশ্যটি সিনেমায় বাড়তি কিছু যোগ করেনি। এরপর আর কোনো চুম্বন দৃশ্য না করার সিদ্ধান্ত নিই এবং কখনো কোনো চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করিওনি।”

মণি রত্নমের গল্প নিয়ে ‘দয়াবান’ সিনেমা নির্মাণ করেন ফিরোজ খান। অ্যাকশন-ক্রাইম ঘরানার সিনেমাটিতে আরো অভিনয় করেন— অমরিশ পুরি, আদিত্য পাঞ্চোলি, অমলা আক্কেনিনি, অনুরাধা প্যাটেল, অরুণা ইরানি প্রমুখ। সিনেমাটির আইটেম গানে পারফর্ম করেছিলেন ‘বাহুবলি’ সিনেমার শিবগামী চরিত্র রূপায়নকারী রম্যা কৃষ্ণান। ২ কোটি ২৫ লাখ রুপি ব্যয়ে নির্মিত সিনেমাটি আয় করেছিল ৭ কোটি ৪০ লাখ রুপি।

তথ্যসূত্র: ডিএনএ, বলিউড লাইফ, ইন্ডিয়া ডটকম

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ ম বন দ শ য কর ছ ল

এছাড়াও পড়ুন:

১০ ছক্কায় অভিষেকের রেকর্ড গড়া ১৪১, এরপর চিঠি রহস্য

ব্যক্তিগত ২৮ রানের সময় আউট হয়েও বেঁচে গেলেন নো বলের কল্যাণে। একেই মনে হয় বলে চ্যাম্পিয়ন্স লাক! এরপর অভিষেক শর্মা আইপিএলকে উপহার দিলেন এক স্মরণীয় রাত। মাত্র ৪০ বলে সেঞ্চুরি ছোঁয়ার পর ৫৫ বলে খেললেন অবিশ্বাস্য ১৪১ রানের এক ইনিংস। যা আইপিএলের ইতিহাসে কোনও ভারতীয় ব্যাটসম্যানের আইপিএলে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস।

অভিষেকের বিস্ফোরক ইনিংসের কল্যাণে পাঞ্জাব কিংসের ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে করা ২৪৫ রানকে মামুলি মনে হলো। প্রায় আড়াইশ ছুঁইছুঁই রান তাড়া করতে নেমে ১৫ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (২৪৭/২)। যা আইপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সফল রান তাড়ার রেকর্ড। গত মৌসুমে (২৬ এপ্রিল, ২০২৪) ক্লকাতা নাইট রাইডার্সের দেওয়া ২৬১ রানের ইনিংস তাড়া করতে নেমে ৮ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখে পাঙজাব জিতেছিল, যা আইপিএলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড।

আরো পড়ুন:

চেন্নাই প্লে’অফ খেলবে, দাবি ব্যাটিং কোচের

ধোনির অধিনায়কত্বেও ভাগ্য বদলালো না চেন্নাইর

গতরাতে রাজীব গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ঝড় তোলেন পাঞ্জাবের দুই ওপেনার প্রিয়াংশ আর্য ও প্রভসিমরন সিং। দুজন মিলে করেন ৬৬ রান। ১৩ বলে ৩৬ রান করে আউট হন প্রিয়াংশ। এরপর দলীয় ৯১ রানে ফেরেন প্রভসিমরন। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ২৩ বলে ৪২। তবে পাঞ্জাবের হয়ে আসল ঝড়টা তোলেন শ্রেয়াস আইয়ার। ৩৬ বলে ৬ চার ও ৬ ছক্কায় করেন ৮২ রান। আর শেষ দিকে ১১ বলে অপরাজিত ৩৪ রান করেন মার্কাস স্টয়নিস।

জবাব দিতে নেমে অভিষেকের এই মহাকাব্যিক ইনিংস যেন এক রূপকথার মত প্রত্যাবর্তন। চলমান আসরে এই ২৪ বছর বয়সী ওপেনারের ব্যাট ঠিক হাসছিল না। তবে পাঞ্জাবের সাথে ঠিকই অভিষেক জানান দিলেন, হারিয়ে যাননি তিনি। ট্র্যাভিস হেডের সঙ্গে ইনিংস শুরু করেন। পাওয়ারপ্লে’র পর হেড যখন ছন্দে ব্যাট করছিলেন, তখন অভিষেক গিয়ার বদলে ঝড় তোলা শুরু করেন।

হেডের সঙ্গে ১৭১ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন অভিষেক। যা হায়দরাবাদের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ওপেনিং পার্টনারশিপ। হেডের ৩৭ বলে ৬৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন।

এরপর অভিষেক ব্যক্তিগত প্রথম আইপিএল শতরানটি করেন মাত্র ৪০ বলে, যা আইপিএলের ইতিহাসে ষষ্ঠ দ্রুততম সেঞ্চুরি। কিন্তু তখনো চমকের বাকী ছিল। শতরান পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই, অভিষেক নিজের পকেট থেকে একটি সাদা কাগজ বের করে উপরে তুলে ধরেন, যেখানে হাতে লেখা ছিল, ‘এই ইনিংসটি কমলা আর্মিদের জন্য’। পাঞ্জাব অধিনায়ক শ্রেয়াসও সেই মুহূর্তে কাছে চলে আসেন বার্তাটি পড়তে।

অভিষেক প্রায় ২৫৭ স্ট্রাইক রেটে ১৪ চার ও ১০টি ছক্কায় তাঁর ইনিংসটি সাজান।

হায়দরাবাদের হয়ে ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস এটিই। এর আগে ডেভিড ওয়ার্নারের ১২৬ ছিল চূড়ায়। আইপিএলের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর। কেবল ক্রিস গেইল ও ব্রেন্ডন ম্যাককালামের আছেন সামনে।

টানা ৪ ম্যাচ হারার পর আসরে দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেল হায়দরাবাদ। ৬ ম্যাচে ২ জয় নিয়ে টেবিলের অষ্টম স্থানে আছে প্যাট কামিন্সের দল।

ঢাকা/নাভিদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ক্রসবারে মেসির দুই ফ্রি কক, অফসাইডে বাতিল সুয়ারেজের গোল
  • রিতুর ব্যাটে নাটকীয় জয়, বিশ্বকাপের আরও কাছে বাংলাদেশ
  • বাংলাদেশকে বড় লক্ষ্য দিল আয়ারল্যান্ড
  • নাটকের প্রদর্শনী হবে, কর্মসূচি স্থগিত করেছেন নাট্যকর্মীরা
  • শিল্পীদের রাজনীতিতে যোগ দেওয়া উচিত নয়: জেমস
  • ভালো সিনেমা নিয়ে নিশোর প্রশ্ন, জানালেন পরিকল্পনার কথা
  • ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিম মল্লিককে
  • দর্শককে আশাহত না করে সুন্দর সিনেমা দেওয়া উচিত: নিশো
  • ১০ ছক্কায় অভিষেকের রেকর্ড গড়া ১৪১, এরপর চিঠি রহস্য
  • জুনে যাত্রা শুরু করবে ‘জিজ পে’