২০০৪ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি সেপ্টেম্বরে আয়োজন করা হয় ইংল্যান্ডে। ১৬ দিনের প্রতিযোগিতায় ১২ দল অংশগ্রহণ করেছিল। যেখানে ম্যাচ হয়েছিল ১৫টি। এজবাস্টন, দ্য রোস বউল ও দ্য ওভারে বসেছিল ব্যাট-বলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। 

এই আসরে ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের যারা ছয় জাতির চ্যালেঞ্জ কাপ জিতে প্রতিযোগিতায় নাম লিখায়। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড পঞ্চাশ ওভারের এই প্রতিযোগিতা জিততে পারেনি। ইংল্যান্ডের মাটিতে ক্যালিপসো সুর ছড়িয়ে পড়েছিল। তাতেই ক্যারিবীয়ানরা জিতে নেয় তাদের প্রথম বৈশ্বিক কোনো শিরোপা। 

এই শিরোপা জিততে তারা ফাইনালে হারিয়েছিল ইংল্যান্ডকেই। আগে ব্যাটিং করে ইংল্যান্ড ২১৭ রানে গুটিয়ে যায়। ৭ বল ও ২ উইকেট হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। 

চারটি গ্রুপে ভাগ হয়ে শুরু হয় এই প্রতিযোগিতা। প্রত্যেক গ্রুপে ছিল তিনটি দল। অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র প্রথম গ্রুপে। দ্বিতীয় গ্রুপে দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট এবং বাংলাদেশ। সি গ্রুপে পাকিস্তান, ভারত ও কেনিয়া। সবশেষ ডি গ্রুপে রয়েছে শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ে। 

বাংলাদেশ আগের মতো এবারের আসরেও চরম বাজে পারফরম্যান্স করেছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে গুটিয়ে যায় মাত্র ৯৩ রানে। ম্যাচ হারে ৯ উইকেটে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও ভাগ্য পরিবর্তন হয়নি।ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবার বাংলাদেশকে অলআউট করে ১৩১ রানে। 

জানিয়ে রাখা ভালো, এই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেই ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল আফতাব আহমেদ ও নাজমুল হোসেনের।  

প্রতি গ্রুপের শীর্ষ দল নিয়ে চলে সেমিফাইনাল। যেখানে উঠে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড অস্ট্রেরিয়াকে হারায়। পাকিস্তানকে পাত্তা দেয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাতে বিগ ফাইনালে ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ চলে যায়। সেখানে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ লড়াই শেষে শেষ হাসিটা হাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। 

টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ রান করেছিলেন মার্কোস ট্রেসকথিক (২৬১)। অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ ছিলেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি (৯)। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন ওয়েস্ট ইন্ডিজের রামনারেস সারওয়ান। 

এক নজরে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি-২০০৪

তারিখ: ১০সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর-২০০৪

আয়োজক: ইংল্যান্ড

চ্যাম্পিয়ন: ওয়েস্ট ইন্ডিজ

ফরম্যাট: ওয়ানডে ইন্টারন্যাশনাল

টুর্নামেন্ট: রাউন্ড-রবিন

অংশগ্রহণকারী দেশ: ১২টি

মোট ম্যাচ: ১৫টি

চ্যাম্পিয়ন: ওয়েস্ট ইন্ডিজ

সবচেয়ে বেশি রান: মার্কোস ট্রেসকথিক (২৬১)

সবচেয়ে বেশি উইকেট: অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ (৯)

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ ইন ল উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

সৌন্দর্যকে হত্যার অভিযোগে মোহন বাবুর বিরুদ্ধে মামলা, নীরবতা

২০০৪ সালে বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান ভারতীয় সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সৌন্দর্য। তার মৃত্যুর ২১ বছর পর তাকে হত্যার অভিযোগে তেলেগু সিনেমার অভিনেতা মোহন বাবুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।

চিত্তিমালু নামে একজন সমাজকর্মী মোহন বাবুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। তার অভিযোগ, অভিনেত্রী সৌন্দর্যর মৃত্যু দুর্ঘটনাজনিত নয়। বরং মোহন বাবুর সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

গত কয়েক দিন ধরে বিষয়টি নিয়ে জোর চর্চা চলছে। এবার নীরবতা ভাঙলেন সৌন্দর্যের স্বামী এল. রঘু জিএস। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “আমি এল. রঘু জিএস, অভিনেত্রী সৌন্দর্যের স্বামী। হায়দরাবাদের একটি জমি নিয়ে সম্মানিত মোহন বাবু স্যার ও সৌন্দর্যের বিরোধের মিথ্যা খবর গত কয়েক দিন ধরে উড়ছে। সম্পত্তি নিয়ে যে খবর ছড়িয়েছে তা ভিত্তিহীন। আমি নিশ্চিত করতে চাই, আমার প্রয়াত স্ত্রী সৌন্দর্যের কোনো সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করেননি মোহন বাবু স্যার। আমার জানা মতে, তার সঙ্গে আমাদের কখনো কোনো জমি নিয়ে লেনদেন হয়নি।”

আরো পড়ুন:

অভিনেত্রী সৌন্দর্যের মৃত্যুর ২১ বছর পর মোহন বাবুর বিরুদ্ধে মামলা

আল্লু-স্নেহার ‘সিনেমাটিক’ প্রেম-বিয়ে

মোহন বাবুর সঙ্গে সম্পর্কের সমীকরণ ব্যাখ্যা করে রঘু বলেন, “গত ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে মোহন বাবু স্যারকে চিনি। আমাদের সম্পর্ক ভালো। আমার পরিবার, আমার স্ত্রী, আমার শাশুড়ি, শ্যালক সবসময়ই পারস্পরিক বিশ্বাস ও শ্রদ্ধার সম্পর্ক বজায় রেখেছে। আমি মোহন বাবু স্যারকে শ্রদ্ধা করি। সত্য তথ্য আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিলাম। দয়া মিথ্যা খবর ছড়ানো বন্ধ করুন।”

অন্ধ্রপ্রদেশের খাম্মাম জেলার বাসিন্দা সমাজকর্মী চিত্তিমালু পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে জানান, অভিনেত্রী সৌন্দর্য হায়দরাবাদের জলপল্লী এলাকায় ৬ একর জমি কিনেছিলেন। এই জমি নিয়ে মোহন বাবুর সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয় অভিনেত্রী সৌন্দর্যের। মোহন বাবু জমি বিক্রি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সৌন্দর্য ও তার ভাই অমরনাথ বিরোধিতা করেন। সৌন্দর্যের মৃত্যুর পর সেই জমি অবৈধভাবে দখল করেন মোহন বাবু।

২০০৪ সালের ১৭ এপ্রিল, করিমনগরে বিজেপি এবং তেলুগু দেশম পার্টির একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন অভিনেত্রী সৌন্দর্য। বিমান দুর্ঘটনায় সৌন্দর্য ও তার ভাইও মারা যান। শুধু তাই নয়, দুর্ঘটনার পর সৌন্দর্যের মৃতদেহও খুঁজেই পাওয়া যায়নি। গুঞ্জন রয়েছে, মৃত্যুর সময়ে অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন এই অভিনেত্রী। সৌন্দর্যের মৃত্যুর ঘটনায় এর আগে কোনো মামলা হয়নি বলেও জানা গেছে।

১৯৯২ সালে কন্নড় ভাষার ‘রাজধি রাজা’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন সৌন্দর্য। এরপর তামিল, তেলেগু, মালায়ালাম, হিন্দি ভাষার অনেক সিনেমায় অভিনয় করেন। ১৯৯৯ সালে ‘সূর্যবংশম’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন তিনি। এতে অমিতাভের বিপরীতে অভিনয় করেন সৌন্দর্য। এ জুটির রসায়নে মুগ্ধ হন ভক্ত-অনুরাগীরা।

তথ্যসূত্র: তেলেগু ৩৬০

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সৌন্দর্যকে হত্যার অভিযোগে মোহন বাবুর বিরুদ্ধে মামলা, নীরবতা