ইংল্যান্ডের মাটিতে ক্যালিপসো সুর
Published: 12th, February 2025 GMT
২০০৪ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি সেপ্টেম্বরে আয়োজন করা হয় ইংল্যান্ডে। ১৬ দিনের প্রতিযোগিতায় ১২ দল অংশগ্রহণ করেছিল। যেখানে ম্যাচ হয়েছিল ১৫টি। এজবাস্টন, দ্য রোস বউল ও দ্য ওভারে বসেছিল ব্যাট-বলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই।
এই আসরে ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের যারা ছয় জাতির চ্যালেঞ্জ কাপ জিতে প্রতিযোগিতায় নাম লিখায়। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড পঞ্চাশ ওভারের এই প্রতিযোগিতা জিততে পারেনি। ইংল্যান্ডের মাটিতে ক্যালিপসো সুর ছড়িয়ে পড়েছিল। তাতেই ক্যারিবীয়ানরা জিতে নেয় তাদের প্রথম বৈশ্বিক কোনো শিরোপা।
এই শিরোপা জিততে তারা ফাইনালে হারিয়েছিল ইংল্যান্ডকেই। আগে ব্যাটিং করে ইংল্যান্ড ২১৭ রানে গুটিয়ে যায়। ৭ বল ও ২ উইকেট হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
চারটি গ্রুপে ভাগ হয়ে শুরু হয় এই প্রতিযোগিতা। প্রত্যেক গ্রুপে ছিল তিনটি দল। অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র প্রথম গ্রুপে। দ্বিতীয় গ্রুপে দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট এবং বাংলাদেশ। সি গ্রুপে পাকিস্তান, ভারত ও কেনিয়া। সবশেষ ডি গ্রুপে রয়েছে শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ে।
বাংলাদেশ আগের মতো এবারের আসরেও চরম বাজে পারফরম্যান্স করেছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে গুটিয়ে যায় মাত্র ৯৩ রানে। ম্যাচ হারে ৯ উইকেটে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও ভাগ্য পরিবর্তন হয়নি।ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবার বাংলাদেশকে অলআউট করে ১৩১ রানে।
জানিয়ে রাখা ভালো, এই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেই ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল আফতাব আহমেদ ও নাজমুল হোসেনের।
প্রতি গ্রুপের শীর্ষ দল নিয়ে চলে সেমিফাইনাল। যেখানে উঠে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড অস্ট্রেরিয়াকে হারায়। পাকিস্তানকে পাত্তা দেয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাতে বিগ ফাইনালে ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ চলে যায়। সেখানে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ লড়াই শেষে শেষ হাসিটা হাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ রান করেছিলেন মার্কোস ট্রেসকথিক (২৬১)। অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ ছিলেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি (৯)। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন ওয়েস্ট ইন্ডিজের রামনারেস সারওয়ান।
এক নজরে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি-২০০৪
তারিখ: ১০সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর-২০০৪
আয়োজক: ইংল্যান্ড
চ্যাম্পিয়ন: ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ফরম্যাট: ওয়ানডে ইন্টারন্যাশনাল
টুর্নামেন্ট: রাউন্ড-রবিন
অংশগ্রহণকারী দেশ: ১২টি
মোট ম্যাচ: ১৫টি
চ্যাম্পিয়ন: ওয়েস্ট ইন্ডিজ
সবচেয়ে বেশি রান: মার্কোস ট্রেসকথিক (২৬১)
সবচেয়ে বেশি উইকেট: অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ (৯)
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ ইন ল উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
জাহিদ মালেক ও নাইমুল ইসলাম খানের আয়কর নথি জব্দ
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালেক ও তার ছেলে রাহাত মালেক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান, তার স্ত্রী নাসিমা খান মন্টিসহ ছয়জনের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের পৃথক ছয় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
নথি জব্দ হওয়া অন্যরা হলেন- কোয়ালিটি মিল্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল ইসলাম ও সাবেক কানুগগো আবুল হোসেন।
জাহিদ মালেকের আয়কর নথি জব্দের আবেদনে বলা হয়, জাহিদ মালেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় দায়ের করা হয়েছে। জাহিদ মালেক একজন আয়কর দাতা। তার জ্ঞাত-আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার পূর্ণাঙ্গ আয়কর নথি জব্দ করা একান্ত প্রয়োজন।
রাহাত মালেকের আয়কর নথি জব্দের আবেদনে বলা হয়, রাহাত মালেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা, দন্ডবিধির ১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় দায়ের করা হয়েছে। রাহাত মালেক একজন আয়কর দাতা। তার জ্ঞাত-আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার পূর্ণাঙ্গ আয়কর নথি জব্দ করা একান্ত প্রয়োজন।
নাইমুল খান ও তার স্ত্রীর আবেদনে বলা হয়, তিন মেয়েসহ নাঈমুল ইসলাম খান, তার স্ত্রী নাসিমা খান মন্টির বিরুদ্ধে ভিন্ন কোনো উৎস অর্থাৎ ঘুষ বা অবৈধ উপায়ে অর্থ অর্জনপূর্বক অর্থের উৎস আড়াল করার জন্য তাদের নামে ১৬৩টি ব্যাংক হিসাবে ৩৮৬ কোটি টাকা জমা, ৩৭৯ কোটি টাকা উত্তোলন ও বর্তমানে ৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা স্থিতি থাকাসহ অবৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলে নিয়ে এসে মানিলন্ডারিং করেছে। তার নিজ ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। নাঈমুল ইসলাম খান ও নাসিমা খান মন্টি আয়করদাতা। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে নাঈমুল ইসলাম খান ও তার স্ত্রী নাসিমা খান মন্টির আয়কর নথি জব্দ করে পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন।
ঢাকা/মামুন/এনএইচ