তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ গবেষণায় দেবে ফেলোশিপ
Published: 12th, February 2025 GMT
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে গবেষণায় ফেলোশিপ বা বৃত্তি দেবে। এ জন্য আবেদনপত্র আহ্বান করেছিল। আবেদনপত্র আহ্বানের পর এবার আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদনের শর্ত পূরণ সাপেক্ষে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ পাবেন। গতকাল সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আইসিটি খাতে গবেষণার জন্য ফেলোশিপ প্রদান, আইসিটি ক্ষেত্রে উদ্ভাবনীমূলক কাজে উৎসাহ প্রদানের জন্য ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানকে অনুদান ও বিশেষ অনুদান প্রদানের লক্ষ্যে আবেদন গ্রহণের সময়সীমা ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো। নীতিমালায় বর্ণিত যোগ্যতাসম্পন্ন আগ্রহী দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী, গবেষক ও প্রত্যাশী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে অনলাইনে আবেদন আহ্বান করা যাচ্ছে।
আবেদন করার পদ্ধতি
ফেলোশিপ বা বৃত্তির জন্য আবেদনে কয়েকটি ধাপ রয়েছে।
ধাপ ১: ওয়েবসাইটের হোম পেজ ওপেন করে শুরুতে স্লাইডে দেখানো ‘আবেদন করুন’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।
ধাপ ২:
ক.
খ. রেজিস্টার্ড ইউজার না হলে রেজিস্ট্রেশন ফরমটি যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে। এ জন্য অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন বাটনে ক্লিক করুন।
আরও পড়ুন অক্সফোর্ডের রিচ স্কলারশিপ, আবেদনের সুযোগ আছে আর ২দিন১৪ ঘণ্টা আগেঅ্যাকাউন্ট তৈরির পর ই–মেইলে ভেরিফিকেশন লিংক পাঠানো হবে। ভেরিফিকেশন লিংকে ক্লিক করে নিজের ই–মেইল ভেরিফাই করে নিতে হবে। ই–মেইল ভেরিফিকেশনের পর আবেদনকারীর মুঠোফোন নম্বর ভেরিফিকেশন করতে হবে। এ জন্য প্রথমবার লগইন করার পরে মুঠোফোন নম্বরে চার ডিজিটের একটি কোড যাবে, সেই কোড লগইন–পরবর্তী পেজে সাবমিট করে মুঠোফোন নম্বর ভেরিফাই করতে হবে। উল্লেখ্য যে ভেরিফিকেশন ই–মেইলটি Spam/Inbox-এ যেতে পারে। যদি স্প্যাম ফোল্ডারে ই–মেইলটি থাকে, তবে ই–মেইলটি Not Spam করে Inbox-এ নিয়ে আসুন। ক্ষেত্রবিশেষে মুঠোফোনে কোড যেতে কিছুটা বিলম্ব হতে পারে।
ধাপ ৩: পেজের ওপরে ডান পাশে ‘আবেদন করুন’ বাটনে ক্লিক করুন। নির্ধারিত চার ধরনের আবেদনের খাত থেকে আপনার পছন্দের খাতের নিচের ‘আবেদন করুন’ বাটনে ক্লিক করুন। আবেদনপত্রের সব তথ্য যথাযথ ও সঠিকভাবে দিয়ে আবেদনপত্র পূরণ করুন।
আরও পড়ুনপ্রাথমিকের শিক্ষকদের বেতন গ্রেড বৃদ্ধি, বিদ্যালয়কে লাল–হলুদ ও সবুজ শ্রেণিতে ভাগ করার সুপারিশ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ধাপ ৪: আবেদনপত্র পূরণের সময় যেকোনো অবস্থায় নিচের বাঁ পাশের ‘Save As Draft’ বাটনে ক্লিক করে সেই আবেদন খসড়া হিসেবে সংরক্ষণ করতে পারবেন, যা পরে আগের অবস্থা থেকে আবার সম্পাদনা শুরু করা যাবে।
সবশেষে সব তথ্য সঠিকভাবে পূরণ সম্পন্ন হলে নিচে ডান পাশের ‘প্রিভিউ দেখুন এবং জমা দিন’ বাটনে ক্লিক করলে পূরণকৃত আবেদনপত্রের প্রিভিউ দেখতে পারবেন এবং ‘ফিরে যান এবং সম্পাদনা করুন’ বাটনে ক্লিক করে ফিরে গিয়ে আবার সম্পাদনা করতে পারবেন অথবা ‘শেষ এবং জমা দিন’ বাটনে ক্লিক করে আবেদনপত্রটি জমা দিতে পারবেন।
** আবেদনের পদ্ধতিসহ বিস্তারিত দেখতে এখানে ক্লিক করুন
আরও পড়ুনকানাডার অটোয়া ইউনিভার্সিটির বৃত্তি, স্নাতকোত্তরে বছরে ৭৫০০ ও পিএইচডিতে ৯০০০ ডলার১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক ল ক কর ন
এছাড়াও পড়ুন:
কমেছে অর্থছাড়, যাচাই–বাছাই হবে ভারতীয় ঋণের প্রকল্প
ভারতীয় ঋণের অর্থছাড় কাঙ্ক্ষিত হারে হচ্ছে না। গত সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) মাত্র আট কোটি ডলারের মতো অর্থছাড় করেছে ভারত। ভারতীয় গুচ্ছ ঋণ বা লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) আওতায় এই অর্থ দিচ্ছে দেশটি। একদিকে কমেছে অর্থছাড়, অন্যদিকে নতুন ঋণের প্রতিশ্রুতিও মিলছে না।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য থেকে এই চিত্র পাওয়া গেছে। এদিকে এলওসির অর্থে নেওয়া প্রকল্পগুলো যাচাই–বাছাই করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য দুই দেশের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে।
গত আগস্টে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ভারতের বেশ কয়েকটি প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বিশেষ করে আশুগঞ্জ-আখাউড়া চার লেনের সড়কের ভারতীয় ঠিকাদার ভারতের কর্মীদের নিয়ে দেশে ফিরে যান। ফলে চার মাসের মতো প্রকল্পটির কাজ বন্ধ ছিল। এমন আরও কয়েকটি প্রকল্প আছে, যেখানে ভারতীয় ঠিকাদার কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন কিংবা কাজের গতি কমে গেছে। এসব কারণে মূলত এলওসির অর্থছাড় কমে গেছে বলে মনে করেন ইআরডি কর্মকর্তারা। বর্তমানে ভারতীয় ঋণে পরিবহন ও অবকাঠামো খাতের আটটি প্রকল্প চলমান আছে।
ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, গত জুলাই-জানুয়ারি—এই সাত মাসে এলওসির আওতায় মাত্র ৮ কোটি ১ লাখ ৫০ হাজার ডলার ছাড় করেছে ভারত। এ সময়ে ভারত নতুন ঋণের কোনো প্রতিশ্রুতিও দেয়নি। গত অর্থবছরের পুরো সময়ে যত অর্থছাড় হয়েছে, চলতি অর্থবছরের সাত মাসে ওই অর্থের চার ভাগের এক ভাগ ছাড় হয়েছে।
এ বিষয়ে বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, নতুন প্রেক্ষাপটে কোন প্রকল্প অগ্রসর করা হবে, কোনটা করা হবে না, এসব নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তাই হয়তো অর্থছাড় কমেছে। তিনি আরও বলেন, অর্থনীতির জন্য জরুরি এমন প্রকল্পই এলওসির আওতায় রাখা উচিত। এ ছাড়া প্রকল্পের কেনাকাটার শর্ত শিথিল করা নিয়ে কতটা অগ্রগতি হয়, তা–ও এখন দেখার বিষয়।
গত জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ভারত সব মিলিয়ে এলওসির আওতায় ১৮৮ কোটি ডলার ছাড় করেছে। এ ছাড়া ২০১০, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে তিনটি এলওসিতে বাংলাদেশকে মোট ৭৩৬ কোটি ডলার ঋণ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু প্রতিশ্রুতির পরও কাঙ্ক্ষিত হারে অর্থছাড় হয়নি।
কোন বছর কত এলগত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বশেষ তিন বছরে ৩০ কোটি ডলারের বেশি অর্থছাড় করেছে ভারত। ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারতের এক্সিম ব্যাংক ৩১ কোটি ১৪ লাখ ডলার ছাড় করেছে। এর আগের দুই অর্থবছরে যথাক্রমে ৩৩ কোটি ৭০ লাখ ও ৩২ কোটি ৯৩ লাখ ডলার ছাড় হয়েছে।
কোভিডের প্রথম দুই অর্থবছরে অর্থছাড় বেশ কম ছিল। ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৪ কোটি ১১ লাখ ডলার দিয়েছিল ভারত, তার আগের বছরে ছাড় হয়েছিল ১৪ কোটি ৮ লাখ ডলার।
প্রকল্প তালিকা যাচাই-বাছাই হবেতিনটি এলওসিতে সড়ক ও রেল যোগাযোগ, জ্বালানি, রাস্তাঘাট নির্মাণসহ অবকাঠামো খাতে এ পর্যন্ত ৩৬টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৫টি শেষ হয়েছে। চলমান আছে আটটি প্রকল্প। বাকি ১৩টি প্রকল্প পরামর্শক ও ঠিকাদার নিয়োগ কিংবা প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরির পর্যায়ে রয়েছে। এখন এসব প্রকল্প যাচাই–বাছাই করার বিষয়ে একমত হয়েছে দুই দেশ।
৫ ও ৬ মার্চ দুই দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত এলওসি পর্যালোচনা সভা ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রকল্প তালিকা আবার যাচাই–বাছাই করার বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অতিরিক্ত সচিব মিরানা মাহরুখ এবং ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের লাইন অব ক্রেডিটের পরিচালক সুজা কে মেনন নিজ নিজ দেশের পক্ষে সভায় নেতৃত্ব দেন।
জানা গেছে, এলওসির প্রকল্পগুলো যাচাই-বাছাই করার জন্য একটি কমিটি থাকবে। এই কমিটি প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলো কেন দীর্ঘসূত্রতায় পড়ল, তা খুঁজে বের করে সমাধানের চেষ্টা করবে। প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো থেকে শুরু করে প্রকল্প বাস্তবায়ন পর্যন্ত সমস্যা চিহ্নিত করা হবে। প্রয়োজনে প্রকল্প বাদ দেওয়ার সুপারিশ করবে এই কমিটি।