ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে গবেষণায় ফেলোশিপ বা বৃত্তি দেবে। এ জন্য আবেদনপত্র আহ্বান করেছিল। আবেদনপত্র আহ্বানের পর এবার আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদনের শর্ত পূরণ সাপেক্ষে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ পাবেন। গতকাল সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আইসিটি খাতে গবেষণার জন্য ফেলোশিপ প্রদান, আইসিটি ক্ষেত্রে উদ্ভাবনীমূলক কাজে উৎসাহ প্রদানের জন্য ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানকে অনুদান ও বিশেষ অনুদান প্রদানের লক্ষ্যে আবেদন গ্রহণের সময়সীমা ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো। নীতিমালায় বর্ণিত যোগ্যতাসম্পন্ন আগ্রহী দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী, গবেষক ও প্রত্যাশী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে অনলাইনে আবেদন আহ্বান করা যাচ্ছে।

আবেদন করার পদ্ধতি

ফেলোশিপ বা বৃত্তির জন্য আবেদনে কয়েকটি ধাপ রয়েছে।

ধাপ ১: ওয়েবসাইটের হোম পেজ ওপেন করে শুরুতে স্লাইডে দেখানো ‘আবেদন করুন’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।

ধাপ ২:

ক.

রেজিস্টার্ড ইউজার হলে ই–মেইল অ্যাড্রেস ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে পারবেন।

খ. রেজিস্টার্ড ইউজার না হলে রেজিস্ট্রেশন ফরমটি যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে। এ জন্য অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন বাটনে ক্লিক করুন।

আরও পড়ুন অক্সফোর্ডের রিচ স্কলারশিপ, আবেদনের সুযোগ আছে আর ২দিন১৪ ঘণ্টা আগে

অ্যাকাউন্ট তৈরির পর ই–মেইলে ভেরিফিকেশন লিংক পাঠানো হবে। ভেরিফিকেশন লিংকে ক্লিক করে নিজের ই–মেইল ভেরিফাই করে নিতে হবে। ই–মেইল ভেরিফিকেশনের পর আবেদনকারীর মুঠোফোন নম্বর ভেরিফিকেশন করতে হবে। এ জন্য প্রথমবার লগইন করার পরে মুঠোফোন নম্বরে চার ডিজিটের একটি কোড যাবে, সেই কোড লগইন–পরবর্তী পেজে সাবমিট করে মুঠোফোন নম্বর ভেরিফাই করতে হবে। উল্লেখ্য যে ভেরিফিকেশন ই–মেইলটি Spam/Inbox-এ যেতে পারে। যদি স্প্যাম ফোল্ডারে ই–মেইলটি থাকে, তবে ই–মেইলটি Not Spam করে Inbox-এ নিয়ে আসুন। ক্ষেত্রবিশেষে মুঠোফোনে কোড যেতে কিছুটা বিলম্ব হতে পারে।

ধাপ ৩: পেজের ওপরে ডান পাশে ‘আবেদন করুন’ বাটনে ক্লিক করুন। নির্ধারিত চার ধরনের আবেদনের খাত থেকে আপনার পছন্দের খাতের নিচের ‘আবেদন করুন’ বাটনে ক্লিক করুন। আবেদনপত্রের সব তথ্য যথাযথ ও সঠিকভাবে দিয়ে আবেদনপত্র পূরণ করুন।

আরও পড়ুনপ্রাথমিকের শিক্ষকদের বেতন গ্রেড বৃদ্ধি, বিদ্যালয়কে লাল–হলুদ ও সবুজ শ্রেণিতে ভাগ করার সুপারিশ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ধাপ ৪: আবেদনপত্র পূরণের সময় যেকোনো অবস্থায় নিচের বাঁ পাশের ‘Save As Draft’ বাটনে ক্লিক করে সেই আবেদন খসড়া হিসেবে সংরক্ষণ করতে পারবেন, যা পরে আগের অবস্থা থেকে আবার সম্পাদনা শুরু করা যাবে।

সবশেষে সব তথ্য সঠিকভাবে পূরণ সম্পন্ন হলে নিচে ডান পাশের ‘প্রিভিউ দেখুন এবং জমা দিন’ বাটনে ক্লিক করলে পূরণকৃত আবেদনপত্রের প্রিভিউ দেখতে পারবেন এবং ‘ফিরে যান এবং সম্পাদনা করুন’ বাটনে ক্লিক করে ফিরে গিয়ে আবার সম্পাদনা করতে পারবেন অথবা ‘শেষ এবং জমা দিন’ বাটনে ক্লিক করে আবেদনপত্রটি জমা দিতে পারবেন।

** আবেদনের পদ্ধতিসহ বিস্তারিত দেখতে এখানে ক্লিক করুন

আরও পড়ুনকানাডার অটোয়া ইউনিভার্সিটির বৃত্তি, স্নাতকোত্তরে বছরে ৭৫০০ ও পিএইচডিতে ৯০০০ ডলার১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক ল ক কর ন

এছাড়াও পড়ুন:

গত বছর ইলিশ আহরণ কমেছে ৪২ হাজার টন

দেশে এক দশক ধরে ধারাবাহিকভাবে ইলিশ আহরণ বাড়ার পর গত বছর কমেছে। সম্প্রতি মৎস্য অধিদপ্তরের প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ইলিশ আহরণ ৪২ হাজার টন কমেছে।

মৎস্য অধিদপ্তর জানায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে ইলিশ আহরণ হয় ৫ লাখ ৭১ হাজার টন। গত অর্থবছরে ইলিশ আহরণের পরিমাণ ৫ লাখ ২৯ হাজার টন। সে হিসাবে ইলিশ আহরণ ৪২ হাজার টন কম হয়েছে।

বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তর সূত্র বলছে, ২০১৪ সালে ইলিশ আহরণ হয়েছিল ৩ লাখ ৮৫ হাজার টন। ২০১৬ সালে সেই পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৩ লাখ ৮৭ হাজার টন। পরের তিন বছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪ লাখ ৯৬ হাজার মেট্রিক টনে। ২০১৭-১৮ সালে ইলিশ আহরণ ৫ লাখ ১৭ হাজার থেকে ক্রমশ বেড়ে ২০২১-২২ সালে এসে ৫ লাখ ৬৬ হাজার টনে উন্নীত হয়েছিল।

ইলিশ আহরণ কমার কারণ সম্পর্কে চাঁদপুরে অবস্থিত মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু কাওসার দিদার বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে গত বছর জেলেরা অন্য সময়ের মতো নদী ও সাগরে যেতে পারেননি। ইলিশের প্রধান তিনটি মাইগ্রেশন পয়েন্ট মেঘনা-তেঁতুলিয়া, পায়রা-বিষখালী ও সুন্দরবন অঞ্চলে নাব্যতার সংকট প্রকট। ফলে ইলিশের চলাচলে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ইলিশ আহরণের একটি সীমা আছে, কিন্তু বাংলাদেশ সেই সীমা অতিক্রম করে ফেলেছে। সেই ফলাফলও স্পষ্ট হয়েছে, ইলিশের উৎপাদন কমে যাচ্ছে।

তবে আশার কথা শুনিয়েছেন বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক নৃপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস। তিনি বলেন, জুন-জুলাই মাসে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হবে। কিছু সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, জাটকা সংরক্ষণে অভিযান চালানো হলেও জেলেরা নানা পদ্ধতিতে নিষেধাজ্ঞার সময়ে মাছ শিকার করেন। জনবল কম থাকায় শত শত কিলোমিটার নদী ও মোহনা পাহারা দেওয়া সম্ভব হয় না।

ইলিশের জীবনচক্র বিষয়ে চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আনিসুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ইলিশ ডিম ছাড়ার জন্য নদীতে আসে। এসব ডিম পোনায় পরিণত হয়। তারপর জাটকায় (২৫ সেন্টিমিটারের ছোট ইলিশ) পরিণত হয়ে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নদীতেই বিচরণ করে। এই সময়টায় যদি জাটকা রক্ষা না করা যায়, তাহলে ইলিশ উৎপাদন কমে যাবে। এটা কেউ ঠেকাতে পারবে না। একটি জাটকার বড় ইলিশে (কমপক্ষে ৫০০ গ্রাম) পরিণত হতে এক বছরের বেশি সময় লাগে। এ জন্য জেলেকে কমপক্ষে দুই বছর অপেক্ষা করতে হবে বড় ইলিশের জন্য। আর বড় ইলিশ পেতে হলে অবশ্যই অবৈধ জাল ধ্বংস করতে হবে, অভয়াশ্রমকে সম্পূর্ণ সুরক্ষা দিতে হবে।

ইলিশের উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকুয়াকালচার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, নদ–নদীর গভীরতা হ্রাস, দূষণসহ নানা কারণে ইলিশের উৎপাদন হুমকির মুখে পড়েছে। ইলিশ সংবেদনশীল মাছ। বাসস্থান পরিবর্তন হলে ঘন ঘন গতিপথও পরিবর্তন করে। পটুয়াখালীর কলাপাড়ার রাবনাবাদ নদ ও বরগুনার পায়রা-বিষখালী-বলেশ্বর মোহনায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। ইলিশের বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রগুলো ঘিরে শিল্পায়ন হয়েছে। এসব বিষয় ইলিশকে পথ পরিবর্তনে বাধ্য করছে, যার প্রভাব পড়েছে ইলিশ উৎপাদনে। এ ছাড়া জাটকা সুরক্ষায় কয়েক বছর ধরে উদাসীনতা ছিল বলে মনে করেন তিনি।

ইলিশ আহরণ ও প্রজননের বিষয়গুলো বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা, নদীর স্রোত, গভীরতা, জলস্ফীতি, খাদ্য ও পানির গুণগত মানের সঙ্গে সম্পর্কিত। ২০০১ সাল থেকে দেশে ইলিশ আহরণের পরিমাণ কমতে শুরু করেছিল। ওই বছর ২ লাখ ২০ হাজার ৫৯৩ টন ইলিশ আহরণ করা হয়েছিল। ২০১৩ সাল পর্যন্ত তা সোয়া ৩ লাখ টনের ওপরে ওঠেনি।

ইলিশ আহরণ আবার বাড়াতে হলে উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন সহকারী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী। তিনি বলেন, ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে সাগরমোহনায় ছোট ফাঁসজালের অবাধ ব্যবহার ও বাণিজ্যিক ট্রলারের ব্যবহার কমাতে হবে। ইলিশ রক্ষায় ব্যবস্থাপনা কাঠামোকে ঢেলে সাজানো ও নিবিড় গবেষণা দরকার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাডভান্স ক্লিনিক্যাল ট্রেনিং ফেলোশিপ, ফি ১০০০০
  • নতুন বিনিয়োগ ‘পড়বে অসম প্রতিযোগিতায়’ 
  • ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিরাই যেন ভাতা পান
  • বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশনে নবমসহ বিভিন্ন গ্রেডে চাকরির সুযোগ
  • জাপানে ৩ থেকে ৬ মাসের ইন্টার্নশিপ, দিনে মিলবে ২৪০০ ইয়েন, আবেদন করুন দ্রুত
  • এবার বাজেটের আকার কমছে
  • গত বছর ইলিশ আহরণ কমেছে ৪২ হাজার টন
  • ছোট হচ্ছে আগামী বাজেটের আকার
  • প্রকল্প বন্ধ, কাজও নেই দুর্ভোগে দরিদ্র শ্রমিকরা
  • আমদানি-রপ্তানি কমলেও রাজস্ব বেড়েছে ৩৬৬ কোটি টাকা