কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ঘোষণাপত্রে সই করেনি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য
Published: 12th, February 2025 GMT
প্যারিসে অনুষ্ঠিত এআই অ্যাকশন সামিটের ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই’ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-সংক্রান্ত ঘোষণাপত্রে সই করেনি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) বিকাশ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য সমন্বিত পদক্ষেপের পথে এটি একটি বড় ধাক্কা।
ঘোষণাপত্র অনুযায়ী, এআই উন্মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্বচ্ছ, নৈতিক, নিরাপদ, সুরক্ষিত এবং বিশ্বস্ত হওয়ার বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। সবার জন্য আন্তর্জাতিক কাঠামো বিবেচনায় নিয়ে এটা করা হয়েছে। মানুষ ও পৃথিবীর জন্য এআইকে টেকসই করার ব্যাপারে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার প্যারিসের গ্র্যান্ড প্যালাইসে পাস হওয়া এই ঘোষণাপত্রে ৬০টি পক্ষ সই করেছে। এসব পক্ষের মধ্যে রয়েছে ফ্রান্স, চীন, ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডা। পরবর্তী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আরও কিছু পক্ষ এতে সই করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী যুক্তরাজ্য সরকারে এক মুখপাত্র বলেন, ঘোষণাপত্রে এআই’র বৈশ্বিক শাসন এবং জাতীয় নিরাপত্তার ওপর প্রযুক্তির প্রভাবের বিষয়ে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স প্রযুক্তির ওপর ইউরোপের ‘অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণের’ সমালোচনা করেন। এত বেশি কড়াকড়ি শিল্পটির বিকাশ ধ্বংস করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। একই সঙ্গে চীনের সঙ্গে সহযোগিতা করার বিষয়ে সতর্ক করেছেন তিনি।
এআই অ্যাকশন সামিটে বিভিন্ন বিশ্ব নেতা, নীতিনির্ধারক এবং শিল্প বিশেষজ্ঞরা অংশ নিয়েছেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্বের সবচেয়ে বড় মহিষ
মহিষ এমনিতেই মোটামুটি বিশাল দেহী প্রাণী। তবে কিং কংয়ের কথা আলাদা। অন্য সব মহিষের সঙ্গে আপনি এটিকে মেলাতে পারবেন না। থাইল্যান্ডের একটি খামারে বেড়ে ওঠা তিন বছর বয়সী এই মহিষের উচ্চতা ১৮৫ সেন্টিমিটার (৬ ফুট ৮ ইঞ্চি)!
সাধারণত একটি পূর্ণবয়স্ক মহিষের গড়পড়তা উচ্চতা যা হয়, কিং কংয়ের উচ্চতা তার চেয়ে প্রায় ৫০ সেন্টিমিটার বেশি। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে কিং কংই এখন বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা মহিষ। গত সোমবার কিং কংকে নিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ওয়েবসাইটে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
আকারে যত বিশালই হোক, কিং কং কিন্তু দারুণ আদুরে। মহিষটির জন্ম ২০২১ সালের ১ এপ্রিল, নিনলানি ফার্ম নামে থাইল্যান্ডের একটি খামারে। জন্মের সময়ই সেটি অন্যান্য মহিষ শাবকের চেয়ে আকারে বড় ছিল। এ কারণে খামারের মালিক নাম রাখেন কিং কং।
ওই খামারে কাজ করেন চেরপাত্ত উত্তি। এই নারী বলেন, ‘প্রথম থেকেই বোঝা যাচ্ছিল এটির (কিং কং) উচ্চতা অন্য রকম হবে। ওর বয়স মাত্র তিন বছর এবং তখনই আকারে অনেক বড়। তবে ও খুব বাধ্য; মানুষের চারপাশে খেলতে, মাটিতে লাফালাফি করতে এবং দৌড়াতে ভালোবাসে।’
কিং কং খুবই বন্ধুসুলভ আচরণ করে জানিয়ে চেরপাত্ত আরও বলেন, ‘কিং কং থাকাতে মনে হয় যেন আমাদের খামারে বিশাল আর শক্তিশালী একটি কুকুরছানা রয়েছে।’
কিং কংয়ের জন্য প্রতিদিন ৩৫ কেজি খাবারের প্রয়োজন হয়। মহিষটি খড় এবং ভুট্টা খেতে পছন্দ করে। আর ভালোবেসে খায় কলা।
চেরপাত্ত বলেন, ‘কিং কংকে কিং কং বানাতে যা যা করতে হয়, তার সবকিছু করতে আমি পছন্দ করি। ও অনন্য। সবাই ওকে পছন্দ করে।’
আকারে সবচেয়ে উঁচু মহিষের স্বীকৃতি পাওয়ায় খামারের প্রত্যেকে কিং কংকে নিয়ে গর্বিত। তাঁদের দাবি, এই প্রথম কোনো মহিষ এ ধরনের রেকর্ড গড়েছে।
নিনলানি ফার্মে মহিষের পাশাপাশি ঘোড়াও পালন করা হয়। মূলত ঘোড়ার খামার হিসেবে এটির যাত্রা শুরু হয়েছিল। কিন্তু এখন মহিষ উৎপাদনে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে।
থাইল্যান্ডের ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে মহিষ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রাচীনকাল থেকে সেখানে কৃষিকাজে এবং পণ্য পরিবহনে মহিষ বড় অবদান রেখে আসছে।