Samakal:
2025-04-15@15:49:08 GMT

৬০ ফুট সড়ক উধাও

Published: 12th, February 2025 GMT

৬০ ফুট সড়ক উধাও

কাগজপত্রে আছে ৬০ ফুট প্রস্থের সড়ক। বাস্তবে এর অস্তিত্বই নেই। সেখানে এখন নামি ব্র্যান্ডের গাড়ির সার্ভিস সেন্টার, শিল্পকারখানা, রিকশার গ্যারেজসহ নানা স্থাপনা। এই সড়ক না হওয়ায় অসংখ্য মানুষ নাকাল হচ্ছে যানজটে। রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় ৩০০ ফুট দীর্ঘ এই সড়কের জমি প্লট বানিয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে পানির দামে।

তেজগাঁও শিল্প এলাকায় ব্যস্ত লাভ রোড। সেটি থেকে হাতিরঝিল হয়ে মধুবাগ যাওয়ার জন্য নকশায় ছিল ৬০ ফুট প্রস্থের সড়ক। এটি না হওয়ায় হাতিরঝিল যেতে গাড়িগুলোকে ঘুরতে হয় অনেক পথ। এতে আশপাশের সড়কগুলোতে পড়ে প্রচণ্ড চাপ। বিজয় সরণি ফ্লাইওভারের পূর্ব প্রান্তে নামার পর তাজউদ্দীন আহমদ সরণি অতিক্রম করে সোজা পূর্বদিকে চলে যাওয়া লাভ রোডটি প্রায় ২০০ গজ পরই বাঁয়ে বাঁক নিয়েছে। তেজগাঁও শিল্প এলাকার নকশা অনুসারে এই বাঁকের অংশ থেকে সড়কটি পূর্বদিকে হাতিরঝিলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কথা ছিল।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজধানীতে যে পরিমাণ সড়ক থাকা প্রয়োজন, তার চেয়ে আছে অনেক কম। প্রভাবশালীদের চাপে অনেক সময় পরিবর্তন করা হয় নকশা। রাস্তা, খেলার মাঠ, এমনকি পার্কের জমি বরাদ্দ দেওয়া হয় প্লট বানিয়ে। তেজগাঁওয়ের মতো ব্যস্ত এলাকায় এমনটি হলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে কোনো পরিকল্পনাই কাজে আসে না। সরকারের উচিত জনদুর্ভোগ কমাতে এসব জমি উদ্ধার করে মূল পরিকল্পনা অনুযায়ী রাস্তা করা।

স্থাপত্য অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সমকালকে বলেন, কয়েক যুগ আগে এই রাস্তার জমি কিছু লোক বস্তি বানিয়ে দখল করে ফেলেছিল। তা উদ্ধার করা যাচ্ছিল না। ওই জমির ওপর নজর পড়ে কিছু ব্যক্তির। তাদের চাপে সরকার প্লট বানিয়ে বরাদ্দ দেয়। তখন স্থাপত্য অধিদপ্তর অন্যান্য প্লটে যাতায়াতের জন্য আরেকটি রাস্তা থাকার খোঁড়া যুক্তি তুলে ধরে প্লট বানানোর পক্ষে মত দেয়। কিন্তু যখন এই কাজ হয়েছে, সেই সময়ের সংশ্লিষ্ট কেউ এখন আর স্থাপত্য অধিদপ্তরে নেই। তিনি বলেন, এসব ক্ষেত্রে সরকারের চাওয়াটাই মুখ্য বিষয়। একসময় এফডিসির সামনে হাতিরঝিলের জমি প্লট বানিয়ে তেলের পাম্পের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। আরেক সরকার এসে মনে করল, পাম্প থাকলে হাতিরঝিল প্রকল্প বাস্তবায়নে সমস্যা হবে। তখন সেটা বাতিল করা হলো। এ ক্ষেত্রেও ‘কর্তার ইচ্ছায় কর্ম’ হয়েছে। 

তেজগাঁও এলাকার ১৯৯৪ সালের সংশোধিত নকশায় দেখা যায়, তাজউদ্দীন আহমদ সরণি থেকে লাভ রোড ধরে প্রায় ২০০ গজ পর  ডান পাশে ১৩৬, ১৩৭, ১৩২ ও ১২৯ নম্বর হোল্ডিং। এসব হোল্ডিংয়ের উত্তর পাশে ১৭১ ও ১৭২ নম্বর হোল্ডিং। দু’পাশের হোল্ডিংগুলোর মাঝ দিয়ে হাতিরঝিল অভিমুখে ৬০ ফুট প্রশস্ত সড়ক। এই সড়কের জায়গায় প্লট বানানো হয়। নতুন নকশায় হোল্ডিংগুলোর নম্বর দেওয়া হয় ১৩৬/১, ১৩৭/এ, ১৩৩/১/ক ও ১৩১/১। ২০০৪ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে এসব প্লট রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কাঠাপ্রতি দাম ধরা হয় মাত্র দেড় লাখ টাকা। অথচ বরাদ্দের সময় ওই এলাকায় প্রতি কাঠার মূল্য ছিল অন্তত ১ কোটি টাকা। বর্তমানে প্রতি কাঠার মূল্য ৫ কোটি টাকারও বেশি।

স্থানীয় বাসিন্দা মোতালেব লস্কর বলেন, তেজগাঁও এবং মধুবাগের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করার জন্য ওই রাস্তাটি নকশায় রাখা হয়। কিন্তু প্লট বানিয়ে ফেলায় অনেক পথ ঘুরে গিয়ে লোকজনকে হাতিরঝিলে ঢুকতে হয়। এতে যানজট লেগেই থাকে। ব্যস্ত সময়ে তীব্র দুর্ভোগ পোহাতে হয় লোকজনকে।

জানা যায়, ১৩৬/১ নম্বর প্লটটি বরাদ্দ দেওয়া হয় ফোকাস ফ্যাশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে। কাগজে-কলমে এটির পরিচালক জনৈক নাজমা ইসলাম। সরেজমিন দেখা যায়, সেখানে মিলেনিয়াম নামে একটি দামি ব্র্যান্ডের গাড়ির সার্ভিস সেন্টার। কিন্তু সেখানে কর্মরতরা জানেন না জমিটির মালিক কে।

১৩১/১ নম্বর প্লটটির বর্তমান মালিক সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে তানভীর শাকিল জয়। সরেজমিন দেখা যায়, প্লটটিতে একটি রিকশার গ্যারেজ। ফটক দিয়ে ঢুকে ভেতরে গেলে গ্যারেজের ম্যানেজার পরিচয় দেওয়া একজনকে পাওয়া যায়। তিনি জানান, আওয়ামী লীগের আমলে এখানে আনসার সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। ৫ আগস্টের পর স্থানীয় বিএনপির কিছু লোক এটি দখল করে রিকশার গ্যারেজ হিসেবে ভাড়া দিচ্ছে। তিনি তাদের হয়ে ম্যানেজারি করছেন। বিএনপির লোকজন কারা, তা তিনি বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। বলেন, প্লটটি বিক্রি করার জন্য তানভীর শাকিল জয় মাঝেমধ্যেই লোক পাঠান। আগ্রহীরা প্লটটি দেখে যান। 
এ ব্যাপারে জানতে জয়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর থেকেই তিনি পলাতক বলে জানা গেছে। 

১৩৩/১/ক নম্বর প্লটটি বরাদ্দ পেয়েছিলেন সাবেক এমপি ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হন। প্লটটিতে গিয়ে দেখা যায়, ফটকে তালা। ফটকের পাশে ‘দ্য এন্টারপ্রাইজ’ নামফলক। সেটির ভেতরে কিছু অবকাঠামো থাকলেও জনশূন্য। এ ছাড়া ১৩৭/এ নম্বর প্লটটিতে কিছু গাড়ি পার্ক করা। স্থানীয়রা জানান, এখানে রানার গ্রুপের কর্মকর্তাদের গাড়ি রাখা হয়। তেজগাঁও অঞ্চলে গণপূর্তের কার্যালয়ে গেলে তারা প্লটটির মালিক সম্পর্কে তথ্য দিতে পারেননি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জানান, ২০০৮ সালের পর প্লটের মালিকানার তথ্যের হালনাগাদ করা হয়নি। বর্তমান হালনাগাদ তালিকা করা হচ্ছে। এটা করা হলে মালিক সম্পর্কে জানা যাবে।

সড়কটি সম্পর্কে জানতে চাইলে গণপূর্ত অধিদপ্তরের তেজগাঁও এলাকার দায়িত্ব পালনকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কোনো ধারণা নেই। রাস্তাকে প্লট বানিয়ে বরাদ্দ দেওয়ার ঘটনা এই প্রথম শুনলাম।’ তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানান।

এ প্রসঙ্গে গণপূর্তের তেজগাঁও অঞ্চলের এক কর্মকর্তা বলেন, প্লট তৈরির আগে তাদের ওই এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার বাস্তব চিত্র সম্পর্কে মতামত দিতে বলা হয়। তখন রাস্তার বিদ্যমান অবস্থা তুলে ধরা হয়। কিছুদিন পরই তিনি জানতে পারেন, রাস্তাকে প্লট বানিয়ে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, ১৯৯৪ সালে প্রথম তেজগাঁও শিল্প এলাকায় রাস্তাকে প্লট বানিয়ে বরাদ্দ দেওয়ার নজির তৈরি হয়। তখন লাভ রোডের পাশে ১২২/১ ও ১২৩/১ নম্বর হোল্ডিং দিয়ে একটি রাস্তাকে দলীয় লোকদের বরাদ্দ দেওয়া হয়। এখন সেখানে আছে বহুতল বাণিজ্যিক ভবন। অথচ তেজগাঁও শিল্প এলাকার নকশা অনুযায়ী এখানেও ৬০ ফুট প্রশস্ত রাস্তা থাকার কথা। এসব রাস্তা থাকলে হাতিরঝিলের সঙ্গে যোগাযোগ আরও সহজ হতো।

২০০৮ সালের নকশায় দেখা গেছে, প্রায় ৫ কাঠা আয়তনের ১২২/১ নম্বর প্লটটি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল আর জেড নিট ফ্যাশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে। তখন ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন রেদওয়ান আহমেদ। ১২৩/১ নম্বর প্লটটি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল জনৈক আব্দুল্লাহর মালিকানাধীন চায়নিজ ফার্নিচার লিমিটেড নামে এক প্রতিষ্ঠানকে।

এভাবে সড়ককে প্লট বানানো প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ মেহেদী আহসান বলেন, শহরের বাসিন্দাদের নির্বিঘ্নে যাতায়াতের জন্য মোট আয়তনের ২৫ শতাংশ সড়কের প্রয়োজন হলেও রাজধানীতে মাত্র ৮ শতাংশ জায়গায় সড়ক আছে। এর মধ্যে ৫২ শতাংশই মোটরযান চলাচলের অনুপযোগী। এ কারণে বাড়ছে যানজট। বিভিন্ন সময় রাজধানীতে গড়ে ওঠা পরিকল্পিত এলাকাগুলোতেও রাস্তা, উন্মুক্ত স্থান, খেলার মাঠ, পার্কের জমিকে প্লট বানিয়ে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রভাবশালীদের চাপে এগুলো করা হয়। এ অবস্থার পরিবর্তন প্রয়োজন।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক ও শ ল প এল ক ৬০ ফ ট প ব যবস থ এল ক র র জন য এল ক য় নকশ য় সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ক্যান্টন ফেয়ারে ওয়ালটনের এআই-সমৃদ্ধ স্মার্ট প্রযুক্তি পণ্যের প্রদর্শনী

বিশ্বের অন্যতম মেগা ট্রেড শো ‘চায়না আমদানি ও রপ্তানি মেলা’ বা ক্যান্টন ফেয়ারে অংশ নিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসমৃদ্ধ (এআই), আওটি বেজড বিশ্বের সর্বাধুনিক স্মার্ট ফিচারসমৃদ্ধ ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স ও হোম অ্যাপ্ল্যায়েনসহ নিজস্ব ব্র্যান্ড পণ্যের প্রদর্শন করছে বাংলাদেশের টেক-জায়ান্ট ওয়ালটন।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) চীনের ঐতিহ্যবাহী ও মর্যাদাপূর্ণ ক্যাটন ফেয়ারের ১৩৭তম আসর শুরু হয়েছে। বিগত কয়েকটি আসরে ব্যাপক সাফল্য অর্জনের ধারাবাহিকতায় এবার তাতে অংশ নিয়েছে ওয়ালটন।

ক্যান্টন ফেয়ারের আন্তর্জাতিক জোনের ২.১ নম্বর হলে স্থাপন করা হয়েছে ওয়ালটনের মেগা প্যাভিলিয়ন। সেখানে প্রদর্শন করা হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই), ইন্টারনেট অব থিংসের (আইওটি) মতো সর্বাধুনিক ও উদ্ভাবনী ফিচারসমৃদ্ধ রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার, এয়ার কন্ডিশনার, টেলিভিশনসহ ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েব ওভেন, ব্লেন্ডারসহ হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্যসামগ্রী। 

আরো পড়ুন:

সেমিকন্ডাক্টর চিপের ওপর শিগগির শুল্ক আসছে: ট্রাম্প

মার্কিন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চীনের ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ

ক্যাটন ফেয়ারে এবার বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ‘লো নয়েজ’ ফিচারসমৃদ্ধ ফ্রিজ কম্প্রেসার প্রদর্শন করছে ওয়ালটন। 

মেলার উদ্বোধনী দিনে ওয়ালটন প্যাভিলিয়নের সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম।

ওয়ালটন গ্লোবাল বিজনেস শাখার ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং ক্যান্টন ফেয়ারে ওয়ালটন প্যাভিলিয়নের প্রধান সমন্বয়ক আব্দুর রউফ বলেন, ক্যান্টন ফেয়ার বিশ্বের অন্যতম এক মেগা ট্রেড শো। এখানে একই ছাদের নিচে বিশ্বের খ্যাতনামা ব্র্যান্ডগুলোর লেটেস্ট প্রযুক্তির পণ্য সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়; বিধায় প্রতিবছরই চীনসহ বিশ্বের সব প্রান্ত থেকে কয়েক লাখ ব্যবসায়ী ক্যান্টন ফেয়ারে আসেন। 

তিনি বলেন, “বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আমদানিকারক, ব্যবসায়ী ও উৎপাদকদের মধ্যে সেতু বন্ধন তৈরির বড় প্লাটপর্ম হচ্ছে ক্যান্টন ফেয়ার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিগত কয়েক বছর ধরে এই ট্রেড শোতে নিয়মিত অংশ নিয়ে আসছে ওয়ালটন।” 

“প্রতিটি আসরেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ব্যবসায়িক অংশীদার তৈরি হয়েছে; যাদের মাধ্যমে দেশে দেশে ওয়ালটনের ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ক্যান্টন ফেয়ারের এবারের আসরেও বিশ্বের সর্বাধুনিক স্মার্ট প্রযুক্তি ও ফিচারসমৃদ্ধ আন্তর্জাতিকমানের পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছে ওয়ালটন। পূর্বের ন্যায় এই আসরেও নতুন নতুন দেশে বাজার সম্প্রসারণে ব্যবসায়িক অংশীদার তৈরিতে সক্ষম হবে ওয়ালটন,” যোগ করেন আব্দুর রউফ। 

ওয়ালটন গ্লোবাল বিজনেস শাখার তথ্য অনুযায়ী, ক্যান্টন ফেয়ারে এআইওটি ফিচারসমৃদ্ধ ৬৪৬ লিটার ধারণক্ষমতার মাল্টি-কালার ও বিগ ডিসপ্লে ডিজাইনের সাইড বাই সাইড রেফ্রিজারেটর প্রদর্শন করছে ওয়ালটন। এই ফ্রিজের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অব থিংস বেজড এমএসও প্লাস (ম্যাট্রিক্স স্পিড অপটিমাইজেশন) ইনভার্টার টেকনোলজি বাইরের তাপমাত্রা অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে সবচেয়ে কম বিদ্যুৎ খরচে ফ্রিজের অভ্যন্তরীণ সর্বোচ্চ কুলিং পারফরমেন্স নিশ্চিত করে। রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার কম্পার্টমেন্টের কুলিং পারফরমেন্স গ্রাহক তার পছন্দমতো সেট করতে পারবেন। এতে বিদ্যুৎ খরচ হবে অনেক কম। 

ফ্রিজের কম্প্রেসারে ব্যবহার করা হয়েছে বিশ্বস্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব আর৬০০এ গ্যাস। এআইওটি বেজড এই মডেলের ফ্রিজগুলো স্মার্টফোনের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে পরিচালনা করা যাবে।

ক্যান্টন ফেয়ারে ওয়ালটনের ইনভার্টার প্রযুক্তির সোলার হাইব্রিড স্প্লিট টাইপ এসি, ৫-ইঞ্চির ডিজিটাল ডিসপ্লে এসি ও অফলাইন ভয়েস কন্ট্রোল এসি প্রদর্শিত হচ্ছে। স্মার্ট আইওটি প্রযুক্তিসমৃদ্ধ ওয়ালটন এসি বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে বসে স্মার্টফোনের মাধ্যমে সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

ওয়ালটনের সোলার হাইব্রিড স্প্লিট টাইপ এসি দিনের বেলায় সোলার পাওয়ারের মাধ্যমে চলবে। যদি সোলার পাওয়ার কম থাকে, তখন সোলার পাওয়ার থেকে আগে বিদ্যুৎ নিয়ে তারপর প্রয়োজন অনুযায়ী বৈদ্যুতিক লাইনের মাধ্যমে হাইব্রিড পদ্ধতিতে চলবে এই এসি। এতে বিদ্যুৎ খরচ হবে অনেক কম। রাতে সোলার পাওয়ার ব্যাটারির মাধ্যমে বা বৈদ্যুতিক লাইনেও চলবে এটি। এতে আরো ব্যবহার করা হয়েছে মরিচা প্রতিরোধক কোটেক ইন্ডাস্ট্রিয়াল সলিউশন প্রযুক্তি। 

ক্যান্টন ফেয়ারে প্রদর্শন করা হচ্ছে থ্রি-ইন-ওয়ান কনভার্টিবল টেকনোলজিসহ ইন্টিগ্রেটেড ৫-ইঞ্চি কালার টিএফটি ডিসপ্লে। এতে রুম ও আউটডোর টেম্পারেচার, বিদ্যুৎ কনজম্পশন রেট, গত মাস বা গত বছরের কনজাম্পশন রেট ইত্যাদি সুক্ষ্মভাবে মনিটর করা যাবে। ওয়ালটনের অফলাইন ভয়েস কন্ট্রোল এসি ভয়েস কমান্ডের মাধ্যমেই পরিচালনা করা যাবে। ওয়ালটন এসিতে ব্যবহার করা বিশ্বের সর্বোচ্চ পরিবেশবান্ধব আর২৯০ গ্যাস।

চীনের গুয়াংজুতে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ৬৮ বছর ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে ক্যান্টন ফেয়ার। ১৫ থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে ১৩৭তম ক্যান্টন ফেয়ারের প্রথম ধাপ । এখানে বিশ্বের নামকরা প্রযুক্তি জায়ান্টরা ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড হাউজহোল্ড ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সেস, লাইটিং ইক্যুইপমেন্ট, ভেহিকেলস অ্যান্ড স্পেয়ার পার্টস, মেশিনারি ও হার্ডওয়্যার অ্যান্ড টুলস পণ্য প্রদর্শন করবে। ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড হাউজহোল্ড ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সেস ক্যাটাগরিতে বিশ্বের অন্যতম এই বৃহৎ মেলায় পঞ্চম বার অংশ নিয়েছে গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটন। 

ঢাকা/সাহেল/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ