Samakal:
2025-02-12@04:12:48 GMT

দুদকের হাতে ২৭ মালিকের তালিকা

Published: 12th, February 2025 GMT

দুদকের হাতে ২৭ মালিকের তালিকা

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ‘কয়েন ভল্টের’ লকারের মালিক ২৭ কর্মকর্তার নামের তালিকা এখন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হাতে। তারা সবাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বর্তমান ও সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। লকারে অপ্রদর্শিত অর্থসম্পদ জমা রাখার বিষয়ে এরই মধ্যে দুদকে আসা অভিযোগে ওই ২৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। লকারগুলোতে অপ্রদর্শিত অর্থ ও মূল্যবান সম্পদ জমা রাখা হয়েছে– এমন সন্দেহে গত ২৬ জানুয়ারি একটি লকার খুলে চার কোটি টাকার অর্থসম্পদ পেয়েছে দুদক। 

সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কয়েন ভল্টে মোট লকার ২৫২টি। এর মধ্যে একটি লকার খোলা হয়েছে। বাকি ২৫১টি লকার পর্যায়ক্রমে খোলার পরিকল্পনা রয়েছে দুদকের। আদালতের অনুমতি নিয়ে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে লকার খোলার কাজ সম্পন্ন করছে দুদক। আদালতের অনুমতি নিয়ে গত ২৬ জানুয়ারি দুদক প্রথমে একটি লকার খুলতে গেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দুদক কর্মকর্তাদের সঙ্গে নেতিবাচক আচরণ করেছেন– এমন একটি অভিযোগ এরই মধ্যে দুদক চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়েছে।

লকার নিয়ে দুদকে দেওয়া অভিযোগে বলা হয়, অবৈধভাবে অর্জিত অর্থের বিরাট একটি অংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মহানিরাপত্তা এলাকায় জমা রাখা হয়েছে। কোনো ধরনের ফি ছাড়াই বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা লকারে ২০ বছরের জন্য অর্থসম্পদ জমা রাখার সুযোগ পাচ্ছেন। দেশের অন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের লকারে উচ্চমূল্যের ফি পরিশোধ করে মূল্যবান সম্পদ ও বিদেশি মুদ্রা জমা রাখার সুযোগ পান সংশ্লিষ্ট গ্রাহকরা। 

দুদকে দেওয়া অভিযোগে লকার মালিক যে ২৭ কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন– বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মো.

রাজীব আলী, লুৎফে আরা বেগম, প্রদীপ রঞ্জন দেবনাথ, মো. এনামুল করিম খান, মো. সাজ্জাত হোসেন খান, ইশতেকামাল হোসাইন, একেএম কামরুজ্জামান, মো. আক্কাছ উদ্দিন, ওয়াহিদা নাসরিন, ড. শাহ মো. মাইনুদ্দিন, নাসিমা খাতুন, মনি শঙ্কর কুণ্ডু, আরিয়াত হোসেইন খান ও মিজানুর রহমান আকন্দ।

এ ছাড়া অতিরিক্ত পরিচালক গোলাম মোস্তফা, মাহমুদ সালাউদ্দিন নাসের, মোস্তফা আজাদ কামাল, দিলীপ কুমার দত্ত, আলাউদ্দীন আল আজাদ, নির্বাহী পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম, নির্বাহী পরিচালক ও বিএফআইইউর উপপ্রধান মো. কাউসার মতিন, বিএফআইইউর অতিরিক্ত পরিচালক কাজী মনির উদ্দীন ও ডেপুটি ম্যানেজার (ক্যাশ) কল্যাণী সাহার নাম রয়েছে। লকার মালিক সাবেক চার কর্মকর্তা হলেন– সাবেক ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল, সাবেক নির্বাহী পরিচালক অসীম কুমার দাশগুপ্ত, মোহাম্মদ মাসুম কামাল ভূঁইয়া ও শুভংকর সাহা। বাকি ২২৪ জনের নাম জানা যায়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, আদালতের আদেশ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর (এস কে সুর) নামের লকার খুলতে গেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা অসহযোগিতা ও অহেতুক সময়ক্ষেপণ করেন। লকার খোলা নিয়ে এই বিষয়গুলো লিখিতভাবে দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেনকে জানিয়েছে দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান টিম।
 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

দুদকের হাতে ২৭ মালিকের তালিকা

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ‘কয়েন ভল্টের’ লকারের মালিক ২৭ কর্মকর্তার নামের তালিকা এখন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হাতে। তারা সবাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বর্তমান ও সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। লকারে অপ্রদর্শিত অর্থসম্পদ জমা রাখার বিষয়ে এরই মধ্যে দুদকে আসা অভিযোগে ওই ২৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। লকারগুলোতে অপ্রদর্শিত অর্থ ও মূল্যবান সম্পদ জমা রাখা হয়েছে– এমন সন্দেহে গত ২৬ জানুয়ারি একটি লকার খুলে চার কোটি টাকার অর্থসম্পদ পেয়েছে দুদক। 

সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কয়েন ভল্টে মোট লকার ২৫২টি। এর মধ্যে একটি লকার খোলা হয়েছে। বাকি ২৫১টি লকার পর্যায়ক্রমে খোলার পরিকল্পনা রয়েছে দুদকের। আদালতের অনুমতি নিয়ে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে লকার খোলার কাজ সম্পন্ন করছে দুদক। আদালতের অনুমতি নিয়ে গত ২৬ জানুয়ারি দুদক প্রথমে একটি লকার খুলতে গেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দুদক কর্মকর্তাদের সঙ্গে নেতিবাচক আচরণ করেছেন– এমন একটি অভিযোগ এরই মধ্যে দুদক চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়েছে।

লকার নিয়ে দুদকে দেওয়া অভিযোগে বলা হয়, অবৈধভাবে অর্জিত অর্থের বিরাট একটি অংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মহানিরাপত্তা এলাকায় জমা রাখা হয়েছে। কোনো ধরনের ফি ছাড়াই বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা লকারে ২০ বছরের জন্য অর্থসম্পদ জমা রাখার সুযোগ পাচ্ছেন। দেশের অন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের লকারে উচ্চমূল্যের ফি পরিশোধ করে মূল্যবান সম্পদ ও বিদেশি মুদ্রা জমা রাখার সুযোগ পান সংশ্লিষ্ট গ্রাহকরা। 

দুদকে দেওয়া অভিযোগে লকার মালিক যে ২৭ কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন– বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মো. রাজীব আলী, লুৎফে আরা বেগম, প্রদীপ রঞ্জন দেবনাথ, মো. এনামুল করিম খান, মো. সাজ্জাত হোসেন খান, ইশতেকামাল হোসাইন, একেএম কামরুজ্জামান, মো. আক্কাছ উদ্দিন, ওয়াহিদা নাসরিন, ড. শাহ মো. মাইনুদ্দিন, নাসিমা খাতুন, মনি শঙ্কর কুণ্ডু, আরিয়াত হোসেইন খান ও মিজানুর রহমান আকন্দ।

এ ছাড়া অতিরিক্ত পরিচালক গোলাম মোস্তফা, মাহমুদ সালাউদ্দিন নাসের, মোস্তফা আজাদ কামাল, দিলীপ কুমার দত্ত, আলাউদ্দীন আল আজাদ, নির্বাহী পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম, নির্বাহী পরিচালক ও বিএফআইইউর উপপ্রধান মো. কাউসার মতিন, বিএফআইইউর অতিরিক্ত পরিচালক কাজী মনির উদ্দীন ও ডেপুটি ম্যানেজার (ক্যাশ) কল্যাণী সাহার নাম রয়েছে। লকার মালিক সাবেক চার কর্মকর্তা হলেন– সাবেক ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল, সাবেক নির্বাহী পরিচালক অসীম কুমার দাশগুপ্ত, মোহাম্মদ মাসুম কামাল ভূঁইয়া ও শুভংকর সাহা। বাকি ২২৪ জনের নাম জানা যায়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, আদালতের আদেশ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর (এস কে সুর) নামের লকার খুলতে গেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা অসহযোগিতা ও অহেতুক সময়ক্ষেপণ করেন। লকার খোলা নিয়ে এই বিষয়গুলো লিখিতভাবে দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেনকে জানিয়েছে দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান টিম।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ