‘পুঁচকে’ ব্রেস্তের সামনে স্বদেশি পরাশক্তি পিএসজি। চমক দেখিয়ে প্লে–অফ পর্বে জায়গা করে নিলেও ব্রেস্তের কোচ ভালো করেই জানেন পিএসজিকে হারিয়ে শেষ ষোলোয় নাম লেখানো তাঁর দলের পক্ষে ‘মিশন ইমপসিবল’।

কিন্তু অসম্ভবকে সম্ভব করাই যাঁর কাজ, সেই টম ক্রুজের সহায়তা নিয়ে যদি কিছু করা যায়! তাই ব্রেস্ত কোচ এরিক রয় হলিউড অভিনেতার প্রসঙ্গ টেনে মজা করে বলেছিলেন, ‘আমরা টম ক্রুজকে প্যারিসে দেখেছি। আমরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাঁকে পাওয়া যায়নি।’

পেলেই বা কী হতো, প্রতিপক্ষ দলে যদি ফর্মের তুঙ্গে থাকা দেম্বেলে থাকেন! ২০২৫ সালের শুরু থেকেই গোলের বন্যা বইয়ে দেওয়া দেম্বেলে এই রাতেও ব্রেস্তের জাল খুঁজে নিলেন দুবার। এর আগে ভিতিনিয়া প্রথম গোলটা করেছেন পেনাল্টি থেকে। ব্রেস্তকে তাদেরই মাঠে ৩–০ গোলে হারিয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর পথে তাই অনেকটাই এগিয়ে গেল পিএসজি।

ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের সহজ জয়ের রাতে স্পোর্তিং লিসবসকে হারিয়েছে একই ব্যবধানে হারিয়েছে জার্মান পরাশক্তি ও চ্যাম্পিয়নস লিগের গত আসরের রানার্স আপ বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। হাসি নিয়ে মাঠ ছেড়েছে জুভেন্টাসও। নেদারল্যান্ডসের ক্লাব পিএসভি আইন্দহফেন বিপক্ষে তুরিনের বুড়িদের জয়টা ২–১ গোলে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প এসজ

এছাড়াও পড়ুন:

শনিবারের মধ্যে জিম্মিদের ফেরত না দিলে গাজায় আবার যুদ্ধ শুরু: নেতানিয়াহু

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস শনিবার দুপুরের মধ্যে জিম্মিদের ফিরিয়ে না দিলে গাজায় যুদ্ধবিরতি বন্ধ করে তীব্র সামরিক অভিযান শুরু হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। খবর বিবিসির।

এঘটনায় হামাস জানিয়েছে, তারা অস্ত্রবিরতি চুক্তি মেনে চলতে প্রস্তুত এবং ইসরায়েলকেই যেকোনো জটিলতার জন্য দায়ী করা হবে।

নেতানিয়াহু বলেন, হামাসের ঘোষণার পরই ইসরায়েলি বাহিনী গাজার ভেতরে ও চারপাশে মোতায়েন করা হয়েছে এবং এই প্রস্তুতি খুব শিগগিরই সম্পন্ন হবে। যদি শনিবারের মধ্যে হামাস আমাদের জিম্মিদের ফেরত না দেয়, তাহলে অস্ত্রবিরতি শেষ হবে এবং হামাসের চূড়ান্ত পরাজয় না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে।

তবে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মধ্যে জিম্মিদের মুক্তি নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, হামাস যদি শনিবারের জন্য নির্ধারিত তিনজন জিম্মিকে মুক্তি দেয়, তবে অস্ত্রবিরতি অব্যাহত থাকতে পারে।

তবে ইসরায়েলের পরিবহনমন্ত্রী মিরি রেগেভ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, আমরা স্পষ্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছি— শনিবার সব জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া হলে, যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে।

ফলে হামাস অভিযোগ করেছে, ইসরায়েল অস্ত্রবিরতি চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করছে এবং মানবিক সহায়তা আটকে দিচ্ছে। তবে ইসরায়েল এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও ইসরায়েলকে অস্ত্রবিরতি চুক্তি বাতিল করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, যদি শনিবারের মধ্যে সব জিম্মি মুক্তি না দেওয়া হয়, তাহলে যুদ্ধ শুরু হোক।

ঘটনার সূত্রপাত ট্রাম্পের নতুন ঘোষণার পরপরই। হামাস ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ট্রাম্পের গাজা দখলের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। ট্রাম্পের প্রস্তাবে বলা হয়, গাজায় মার্কিন প্রশাসন থাকবে এবং দুই মিলিয়ন ফিলিস্তিনিকে সরিয়ে সেখানে নতুন অবকাঠামো তৈরি করা হবে। হামাস এটিকে জাতিগত নির্মূলকরণের পরিকল্পনা বলে অভিহিত করেছে।

এদিকে চলমান অস্ত্রবিরতির প্রথম ধাপে ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মির বিনিময়ে ১ হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে। গত ১৯ জানুয়ারি অস্ত্রবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ১৬ জন জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাশাপাশি পাঁচজন থাই নাগরিককেও মুক্তি দিয়েছে হামাস। এখনও হামাসের কাছে ১৭ জন ইসরায়েলি জিম্মি রয়ে গেছে। তাদের মধ্যে আটজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, তবে একজনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ