ইতিহাদ স্টেডিয়ামে বিশাল এক তিফো নিয়ে হাজির ম্যানচেস্টার সিটির সমর্থকেরা। তিফোর এক পাশে রদ্রিগোকে ব্যালন ডি’অরে চুমু দিতে দেখা যাচ্ছে, অন্য পাশে লেখা ‘তোমাদের এই কান্না এবার থামাও’। রিয়াল মাদ্রিদকে উসকানি দিতে আর কী চাই!

কিন্তু সিটি সমর্থকদের এই উসকানিমূলক তিফোই হয়তো তাতিয়ে দিল রিয়ালকে। ইতিহাদে এর আগে কখনোই ৯০ মিনিটের মধ্যে সিটিকে হারাতে না পারা রিয়াল এবার ঠিকই কাজটা করে দেখাল এবং সেটা ‘রিয়ালীয় ঢঙে’ কিংবা বলা যায়, ‘ওস্তাদের মার শেষ রাতে’র মতো করে।

আর্লিং হলান্ডের জোড়া গোলে ৮৫ মিনিট পর্যন্তও ২–১ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল রিয়াল। ঘুরে দাঁড়ানোর ডিএনএ বয়ে নিয়ে বেড়ানো দলটা এরপর লিখল প্রত্যাবর্তনের আরেকটি গল্প। বদলি ব্রাহিম দিয়াজ সমতায় ৮৬ মিনিটে সমতায় ফেরানোর পর শেষ বাঁশি বাজার আগমুহূর্তে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের পাস থেকে জুড বেলিংহামের গোল। আর প্রথম গোলটা কিলিয়ান এমবাপ্পের।

ব্যস, ত্রিফলার একত্রে জ্বলে ওঠার রাতে নিজেদের ডেরায় পুড়ে ছাড়খাড় ম্যানচেস্টার সিটি। ৩–২ গোলের জয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর পথে অনেকটা এগিয়েও গেল রিয়াল। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি প্লে–অফ পর্বের ফিরতি লেগের ম্যাচটা যে লস ব্লাঙ্কোদের ডেরা সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে।  

বিস্তারিত আসছে.

..

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা বর্ষবরণ

উৎসব মুখর পরিবেশে খুলনায় সোমবার বাংলা নববর্ষ বরণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী সকাল ৭টায় সার্কিট হাউজ সংলগ্ন টেনিস কমপ্লেক্সে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ছিল গান, নাচ, আবৃত্তি ও শোভাযাত্রা। অনুষ্ঠানে যোগ দেন সাংস্কৃতিক কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।

খুলনা জেলা প্রশাসন সকাল ৮টায় রেলওয়ে স্টেশন থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রাটি শহীদ হাদিস পার্কে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও লোকজ মেলার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার, জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার টিএম মোশাররফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকাল সোয়া ৭টায় বর্ষ আবাহন, সকাল ৯টায় কেন্দ্রীয় মাঠে মেলার উদ্বোধন, সকাল ১০টায় শোভাযাত্রা, পরে লাঠিখেলা ও ম্যাজিক শো এবং বিকালে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। মেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাড়াও আশপাশের এলাকার লোকজন জড়ো হন।

বিএনপি সকাল ৭টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পান্তা উৎসব ও ১০টায় র‌্যালির আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে মহানগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন সহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রূপান্তর, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনভর নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। নগরীর পার্ক, নদীর ঘাটসহ বিনোদন স্পটগুলোতে দিনভর ছিল তরুণ-তরুণীদের উপচেপড়া ভিড়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ