যশোরে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ
Published: 12th, February 2025 GMT
যশোরে জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছে দুই দল গ্রামবাসী। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার বড় হৈবতপুর মাঠে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- হৈবতপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সহসভাপতি রাজু আহমেদ, ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন, জিয়া ও পাপ্পু। এ ছাড়া শফি নামের একজন যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে তাকে মারধর করেন প্রতিপক্ষের লোকজন। শফিকে খুলনায় পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগ নেতা আনিছ মেম্বরসহ তার লোকজন বড় হৈবতপুর মাঠে জমিতে পানি টেনে নিতে মঙ্গলবার সকালে আইল কেটে দেন। এর প্রতিবাদ করে একটি পক্ষ। একপর্যায়ে আনিছ নিজ এলাকার মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোকজন জড়ো করেন। অন্যদিকে প্রতিপক্ষও জড়ো হয়। পরে সমঝোতার চেষ্টা ব্যর্থ হলে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হন।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মিঠুন কুমার জানান, আহতদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন আছে। একজনের মাথায় বেশ কয়েকটি ক্ষত রয়েছে।
কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন জানান, জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আদালতে শমসের বললেন, ‘আমি বিএনপি করতাম’, পল্টিবাজ নেতা বললেন পিপি
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের দিন বাসায় ছিলেন বলেই আদালতের কাছে দাবি করেছেন তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী। আদালতের কাছে নিজের মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় তুলে ধরে তিনি বলেছেন, ‘মাননীয় আদালত, ৫ আগস্ট তো আমি বাসায় ছিলাম। আমি কোনো খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। আমি তো প্রমাণ করে দিতে পারব ৫ আগস্ট আমি বাসায় ছিলাম। আমাকে রিমান্ডে দেওয়ার আবেদন নাকচ করা হোক।’
একপর্যায়ে শমসের মবিন চৌধুরী আদালতকে বলেন, ‘আমি তো ১৫ বছর বিএনপির রাজনীতি করেছি মাননীয় আদালত।’
শমসের মবিন চৌধুরীর এ বক্তব্যের পর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী তাঁর রিমান্ডের যুক্তি তুলে ধরে বলেন, শমসের মবিন চৌধুরী পল্টিবাজ নেতা। তিনি ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার অন্যতম সহযোগী। জুলাই–আগস্টে গণহত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত ছিলেন, তাঁদের একজন হলেন শমসের মবিন চৌধুরী।
উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে সাবেক পররাষ্ট্রসচিব শমসের মবিন চৌধুরীকে যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
পিপির সঙ্গে শমসের মবিনের বিতর্ক
যাত্রাবাড়ী থানায় করা পারভেজ মিয়া হত্যা মামলায় শমসের মবিন চৌধুরী, আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান ও জুনাইদ আহ্মেদ পলককে ১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করে পুলিশ। আজ সোমবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটের দিকে রাষ্ট্রপক্ষে রিমান্ডের সপক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন পিপি ওমর ফারুক ফারুকী। তিনি কথা বলার সময় শমসের মবিন চৌধুরী কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাঁর বাঁ হাতে ছিল একটি ছড়ি। ডান হাত উঁচু করে বিচারকের উদ্দেশে বলেন, ‘মাননীয় আদালত, আমি কিছু কথা বলতে চাই। আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আমি তো ৫ আগস্ট বাসাতেই ছিলাম। আমি এর প্রমাণ দিতে পারব। আমি তো বিএনপির রাজনীতি করতাম।’
শমসের মবিন চৌধুরী যখন উচ্চস্বরে কথা বলতে থাকেন, তখন একদল আইনজীবী বলতে থাকেন, ‘আপনি একজন পল্টিবাজ নেতা। আপনি ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার অন্যতম সহযোগী।’
শমসের মবিন চৌধুরী আদালতকে বলেন, ‘আমি একজন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। এ দেশের স্বাধীনতার জন্য আমি যুদ্ধ করেছি। আমি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা। আমার এক পা হারিয়েছিলাম। আমি লাঠিতে ভর দিয়ে চলি।’ এ সময় তিনি বাঁ হাতে ধরা ছড়িটি উঁচু করে দেখান।
ক্ষমতাচ্যুত সরকারের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুনসহ আরেক নেতাকে আদালতে নেওয়া হচ্ছে। আজ ১০ ফেব্রুয়ারি, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ