বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, আসন্ন রমজান মাসজুড়ে টিসিবির ট্রাক সেল চালু থাকবে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশনায় সব বিভাগীয় সদর, দারিদ্র্যপীড়িত পাঁচটি এলাকাসহ মোট ১৩টি এলাকার ১২ লাখ পরিবারের মধ্যে টিসিবির এই পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু করা হচ্ছে।  

মঙ্গলবার খুলনা নগরীর শিববাড়ি মোড়ে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

উপদেষ্টা বলেন, ‘টিসিবি ৬৩ লাখ পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য সরবরাহ করে। স্মার্ট কার্ড রূপান্তরের কাজে খুলনা অঞ্চলের সাফল্যের হার সবচেয়ে বেশি। ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাকি কার্ড অ্যাক্টিভেশন সম্পন্ন হবে, এর মাধ্যমে সুবিধাভোগীর সংখ্যা বাড়বে। এই সংখ্যাকে আরও বাড়াতে অতিরিক্ত ১২ লাখ পরিবারের জন্য রমজান মাসের শেষ দিন পর্যন্ত ট্রাক সেল কার্যক্রম চালু থাকবে। এর মাধ্যমে বাজারে পণ্যমূল্য আরও সহনশীল হবে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা এমন দিনের স্বপ্ন দেখি, যেদিন টিসিবির কার্যক্রম আর চালাতে না হয়। সম্পদের সুষম বণ্টনের মাধ্যমে আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাতে চাই। সেটা হয়তো একটু দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। তার পরও আমরা সেটা অর্জন করতে চাই।’

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, টিসিবির কার্ডধারী একজন ভোক্তা ট্রাক থেকে সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি করে মসুর ডাল ও ছোলা, এক কেজি চিনি এবং ৫০০ গ্রাম খেজুর কিনতে পারবেন। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম রাখা হবে ১০০ টাকা। প্রতি কেজি চিনি ৭০ টাকা, মসুর ডাল ও ছোলা ৬০ টাকা করে এবং খেজুর ১৫৬ টাকা দামে বিক্রি করবে টিসিবি।

খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফয়সল আজাদ, খুলনার পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (মানবসম্পদ) নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ। 


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

সিএনজিচালিত অটোরিকশায় মিটারের চেয়ে বেশি ভাড়া নিলে মামলা

সিএনজি হিসেবে পরিচিত অটোরিকশায় মিটারের চেয়ে বেশি ভাড়া আদায়কারীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পুলিশকে চিঠি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ। গত সোমবার সংস্থাটির পরিচালক (প্রকৌশল) শীতাংশু শেখর বিশ্বাস স্বাক্ষরিত এ চিঠিতে বলা হয়েছে, গ্যাস অথবা পেট্রোলচালিত ফোরস্ট্রোক তিন চাকার অটোরিকশার জন্য সরকার নির্ধারিত মিটারের ভাড়ার হারের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে মামলা করার অনুরোধ করা হলো।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, সড়ক পরিবহন আইনের ধারা ৩৫(৩) অনুযায়ী, কোনো কন্ট্রাক্ট ক্যারিজের মালিক বা চালক রুট পারমিট এলাকার মধ্যে যে কোনো গন্তব্যে যেতে বাধ্য থাকবেন। মিটারে প্রদর্শিত ভাড়ার অতিরিক্ত অর্থ দাবি বা আদায় করতে পারবেন না। এর ব্যত্যয়ে ধারা ৮১ অনুযায়ী অনধিক ছয় মাসের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। চালকের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত হিসেবে দোষসূচক ১ পয়েন্ট কর্তনের বিধান রয়েছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ