শবে বরাতে হালুয়া রুটি না হলে ঠিক জমে না। রুটির সঙ্গে খাওয়ার জন্য বুট, গাজর কিংবা পছন্দের যেকোনো হালুয়া বানিয়ে নিতে পারেন। রেসিপি দিয়েছেন আফরোজা খানম মুক্তা
বুটের হালুয়া
উপকরণ: বুটের ডাল ৫০০ গ্রাম, চিনি ৭৫০ গ্রাম, এলাচ ও দারচিনি ২-৩ পিস, ঘি ১ কাপ, হলুদ রং সামান্য, তেজপাতা ২ পিস, পেস্তা বাদাম কুচি ১ টেবিল চামচ।
প্রস্তুত প্রণালি: বুটের ডাল পরিষ্কার করে ধুয়ে পানি বেশি দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। ডাল মিহি করে বেটে নিন। কড়াইতে ঘি, চিনি, এলাচ, দারচিনি, বুটের ডাল বাটা, তেজপাতা দিয়ে নেড়ে রেখে দিন ১-২ ঘণ্টা। পরে চুলায় কড়াই বসিয়ে রান্না করুন। হালুয়া ঘন হয়ে এলে এলাচ ও দারচিনি, তেজপাতা ফেলে দিন। নাড়তে নাড়তে কড়াই থেকে হালুয়া ছেড়ে এলে নামিয়ে নিন। এবার হাতে ঘি মাখিয়ে কমলার মতো বানিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল বুটের ডালের হালুয়া।
চালের রুটি
উপকরণ: চালের গুঁড়া ১ কেজি, লবণ স্বাদমতো, পানি ৫ কাপ।
প্রণালি: পানি ও লবণ একসঙ্গে ফুটিয়ে নিন। পরে চালের গুঁড়া দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রান্না করুন সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত। পরে হাত দিয়ে গরম গরম মাখিয়ে নিন। গোল তৈরি করে পাতলা ভেজা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন। রুটির মাপে লেচি কেটে রুটি বানিয়ে নিন। এবার রুটি ভেজে নিন। তৈরি হয়ে গেল চালের রুটি।
নারকেলের সন্দেশ
উপকরণ: নারকেল কোরানো ২ কাপ, গুঁড়া দুধ ১ কাপ, কনডেন্সড মিল্ক ১ কাপ, চিনা বাদাম গুঁড়া আধা কাপ, পেস্তা বাদাম ১ টেবিল চামচ, কাজু বাদাম ২ টেবিল চামচ, ঘি ২ টেবিল চামচ, লাল চেরি প্রয়োজন মতো।
প্রস্তুত প্রণালি: নারকেল কোরানোর সঙ্গে গুঁড়া দুধ, বাদাম গুঁড়া ও কনডেন্সড মিল্ক দিয়ে মাখিয়ে নিন। কড়াইতে ঘি গরম করে মাখানো নারকেল দিয়ে অনবরত নাড়ুন। কড়াই থেকে নারকেল ছেড়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে অল্প ঠান্ডা করে সন্দেশের ছাঁচে বসিয়ে তৈরি করে ফেলুন নারকেলের সন্দেশ। এবার লাল চেরি দিয়ে পরিবেশন করুন।
গাজরের হালুয়া
উপকরণ: গাজর ৫০০ গ্রাম, চিনি ৫০০ গ্রাম, এলাচ ও দারচিনি ২ পিস, ঘি ও গুঁড়া দুধ আধা কাপ, পানের বোঁটা সাজানোর জন্য, পেস্তা বাদাম কুচি সামান্য।
প্রস্তুত প্রণালি: গাজরের খোসা ফেলে ধুয়ে গ্রেট কার নিন। কড়াইতে ঘি গরম করে গাজর, চিনি, এলাচ ও দারচিনি দিয়ে নাড়তে থাকুন। হয়ে এলে গুঁড়া দুধ ও কাঠবাদাম কুচি দিয়ে নাড়তে থাকুন। আঠালো হলে নামিয়ে নিন। হাতে ঘি মাখিয়ে হালুয়া গাজরের শেপ তৈরি করুন। শেষে পানের বোঁটা দিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল গাজরের হালুয়া।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকায় প্লাস্টিক পণ্যের আন্তর্জাতিক মেলা শুরু বুধবার
ঢাকার পূর্বাচলের ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) আগামী বুধবার চার দিনব্যাপী ১৭তম আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক মেলা শুরু হচ্ছে। এই মেলায় দেশি–বিদেশি আট শতাধিক স্টল থাকবে। এতে স্বাগতিক বাংলাদেশ, চীন, জার্মানি, ভারত, ইতালি, ভিয়েতনাম, তুরস্ক, জাপানসহ বিভিন্ন দেশের কোম্পানিগুলো তাদের পণ্য ও প্রযুক্তি প্রদর্শন করবে। বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিপিজিএমইএ) এবং হংকংভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইয়োকার্স ট্রেড অ্যান্ড মার্কেটিং সার্ভিস যৌথভাবে মেলাটির আয়োজন করছে।
রাজধানীর পুরানা পল্টনে বিপিজিএমইএর কার্যালয়ে আজ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিপিজিএমইএ) সভাপতি সামিম আহমেদ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন প্রধান অতিথি হিসেবে প্রদর্শনীটি উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন বাণিজ্যসচিব মো. আবদুর রহিম খান, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান, সার্ক চেম্বার কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
বিপিজিএমইএর সভাপতি সামিম আহমেদ বলেন, মেলায় দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো গৃহস্থালিতে ব্যবহার্য বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক পণ্য, প্যাকেজিং উপকরণ, প্লাস্টিক মোল্ড, ক্রোকারিজ, খেলনাসামগ্রী, ওষুধশিল্পের প্রয়োজনীয় উপকরণ, প্লাস্টিকের আসবাব, মেলামাইন পণ্য, তৈরি পোশাক খাতের প্রয়োজনীয় পণ্য, পিপি ওভেন ব্যাগ ইত্যাদি পণ্য প্রদর্শন করবে। অন্যদিকে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো প্লাস্টিক ইনজেকশন মোল্ডিং মেশিন, পিপি ওভেন ব্যাগ মেশিন, প্যাকেজিং মেশিন, ফ্লেকসোগ্রাফিক প্রিন্টিং মেশিন, পেট ব্লো মেশিন ও প্লাস্টিকের ব্যাগ তৈরির মেশিন বা যন্ত্র প্রদর্শন করবে।
বিপিজিএমইএ জানায়, ২০২৩ সালে বৈশ্বিক প্লাস্টিক পণ্যের বাজারের আকার ছিল ৬২ হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার। বিশাল এই বাজারে বাংলাদেশের হিস্যা মাত্র দশমিক ৫ শতাংশ। সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশ থেকে ১০ কোটি ৭৩ লাখ ডলারের প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি হয়। এমন তথ্য দিয়ে বিপিজিএমইএর সভাপতি বলেন, দেশ-বিদেশে প্লাস্টিকের বাজার বড় হচ্ছে। অটোমোবাইল, ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকস খাতের প্লাস্টিকের ব্যবহার বাড়ছে। রপ্তানিতে এ খাতের সম্ভাবনা থাকলেও তৈরি পোশাকের মতো সমান সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে না।
সামিম আহমেদ বলেন, সরকার দীর্ঘদিন ধরে নগদ সহায়তা দিয়ে আসছে। তবে গত বছর সহায়তা ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬ শতাংশে নির্ধারণ করায় রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাবে পড়েছে। এ ছাড়া প্লাস্টিকের খেলনার ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিপিজিএমইএর সাবেক সভাপতি এ এস এম কামাল উদ্দিন, ফেরদৌস ওয়াহেদ ও শাহেদুল ইসলাম, বর্তমান পর্ষদের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি কে এম ইকবাল হোসেন, সহসভাপতি কাজী আনোয়ারুল হক, পরিচালক এ টি এম সাঈদুর রহমান প্রমুখ।