Samakal:
2025-04-15@10:37:37 GMT

স্বাদের হালুয়া রুটি

Published: 11th, February 2025 GMT

স্বাদের হালুয়া রুটি

শবে বরাতে হালুয়া রুটি না হলে ঠিক জমে না। রুটির সঙ্গে খাওয়ার জন্য বুট, গাজর কিংবা পছন্দের যেকোনো হালুয়া বানিয়ে নিতে পারেন। রেসিপি দিয়েছেন আফরোজা খানম মুক্তা

বুটের হালুয়া
উপকরণ: বুটের ডাল ৫০০ গ্রাম, চিনি ৭৫০ গ্রাম, এলাচ ও দারচিনি ২-৩ পিস, ঘি ১ কাপ, হলুদ রং সামান্য, তেজপাতা ২ পিস, পেস্তা বাদাম কুচি ১ টেবিল চামচ।
প্রস্তুত প্রণালি: বুটের ডাল পরিষ্কার করে ধুয়ে পানি বেশি দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। ডাল মিহি করে বেটে নিন। কড়াইতে ঘি, চিনি, এলাচ, দারচিনি, বুটের ডাল বাটা, তেজপাতা দিয়ে নেড়ে রেখে দিন ১-২ ঘণ্টা। পরে চুলায় কড়াই বসিয়ে রান্না করুন। হালুয়া ঘন হয়ে এলে এলাচ ও দারচিনি, তেজপাতা ফেলে দিন। নাড়তে নাড়তে কড়াই থেকে হালুয়া ছেড়ে এলে নামিয়ে নিন। এবার হাতে ঘি মাখিয়ে কমলার মতো বানিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল বুটের ডালের হালুয়া।

চালের রুটি
উপকরণ: চালের গুঁড়া ১ কেজি, লবণ স্বাদমতো, পানি ৫ কাপ। 
প্রণালি: পানি ও লবণ একসঙ্গে ফুটিয়ে নিন। পরে চালের গুঁড়া দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রান্না করুন সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত। পরে হাত দিয়ে গরম গরম মাখিয়ে নিন। গোল তৈরি করে পাতলা ভেজা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন। রুটির মাপে লেচি কেটে রুটি বানিয়ে নিন। এবার রুটি ভেজে নিন। তৈরি হয়ে গেল চালের রুটি। 

নারকেলের সন্দেশ
উপকরণ: নারকেল কোরানো ২ কাপ, গুঁড়া দুধ ১ কাপ, কনডেন্সড মিল্ক ১ কাপ,  চিনা বাদাম গুঁড়া আধা কাপ, পেস্তা বাদাম ১ টেবিল চামচ, কাজু বাদাম ২ টেবিল চামচ, ঘি ২ টেবিল চামচ, লাল চেরি প্রয়োজন মতো।
প্রস্তুত প্রণালি: নারকেল কোরানোর সঙ্গে গুঁড়া দুধ, বাদাম গুঁড়া ও কনডেন্সড মিল্ক দিয়ে মাখিয়ে নিন। কড়াইতে ঘি গরম করে মাখানো নারকেল দিয়ে অনবরত নাড়ুন। কড়াই থেকে নারকেল ছেড়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে অল্প ঠান্ডা করে সন্দেশের ছাঁচে বসিয়ে তৈরি করে ফেলুন নারকেলের সন্দেশ। এবার লাল চেরি দিয়ে পরিবেশন করুন।

গাজরের হালুয়া
উপকরণ: গাজর ৫০০ গ্রাম, চিনি ৫০০ গ্রাম, এলাচ ও দারচিনি ২ পিস, ঘি ও গুঁড়া দুধ আধা কাপ, পানের বোঁটা সাজানোর জন্য, পেস্তা বাদাম কুচি সামান্য।
প্রস্তুত প্রণালি: গাজরের খোসা ফেলে ধুয়ে গ্রেট কার নিন। কড়াইতে ঘি গরম করে গাজর, চিনি, এলাচ ও দারচিনি দিয়ে নাড়তে থাকুন। হয়ে এলে গুঁড়া দুধ ও কাঠবাদাম কুচি দিয়ে নাড়তে থাকুন। আঠালো হলে নামিয়ে নিন। হাতে ঘি মাখিয়ে হালুয়া গাজরের শেপ তৈরি করুন। শেষে পানের বোঁটা দিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল গাজরের হালুয়া।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

টেসলা কতটা ‘মেড ইন আমেরিকা’

যুক্তরাষ্ট্রে এখন ব্যবসা নিয়ে অনেক আলাপ শোনা যাচ্ছে। কোন প্রতিষ্ঠান কতটা আমেরিকান, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অন্য দেশের আমদানির ওপরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সহযোগী ইলন মাস্কের টেসলা গাড়ি এই সময় সবচেয়ে বেশি চাপের ওপরে রয়েছে। টেসলার বিভিন্ন কারখানায় যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি উৎপাদন করা হলেও অন্য সব দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে টেসলা বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করে বলে জানা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রে টেসলার বিস্তৃত কারখানা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে গাড়ি উৎপাদন করা হচ্ছে। ক্যালিফোর্নিয়ার ফ্রেমন্ট টেসলার প্রধান কারখানা। এখানে মডেল এস, মডেল ৩, মডেল এক্স এবং মডেল ওয়াইয়ের মতো গাড়ি সংযোজন করা হয়। নেভাদার গিগাফ্যাক্টরিতে প্যানাসনিকের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে একটি প্ল্যান্ট রয়েছে টেসলার। এখানে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি সেল, পাওয়ারওয়াল ও মেগাপ্যাকের মতো শক্তি সঞ্চয়কারী পণ্য তৈরি করে টেসলা। টেক্সাসের গিগাফ্যাক্টরিতে সাইবারট্রাক এবং মডেল ওয়াই তৈরি করা হচ্ছে। নিউইয়র্কের গিগাফ্যাক্টরিতে প্রাথমিকভাবে সৌর প্যানেল উৎপাদনের জন্য প্রতিষ্ঠিত করা হলেও এখন জ্বালানির বিভিন্ন পণ্য ও উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে টেসলার কারখানা রয়েছে। চীনের গিগাফ্যাক্টরি সাংহাই ২০১৯ সালে চালু হয়। এখানে মডেল ৩ ও মডেল ওয়াই নির্মাণ করা হচ্ছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে টেসলার প্রথম কারখানা। এখানকার গাড়ি চীনের বাজারসহ ইউরোপ ও এশিয়ায় রপ্তানি করা হচ্ছে। জার্মানিতে আছে গিগাফ্যাক্টরি বার্লিন-ব্রান্ডেনবার্গ। ২০২২ সালে হওয়া এই ফ্যাক্টরিতে মডেল ওয়াই নির্মাণ করা হচ্ছে। জার্মান প্রকৌশল ও স্থায়িত্বের ওপর গুরুত্ব দিয়ে এই কারখানা চালু করা হয়। এখানে স্থানীয়ভাবে ব্যাটারি তৈরি করা হচ্ছে।

এ ছাড়া মেক্সিকো ও ভারতে টেসলার কারখানা চালুর কথা রয়েছে। কানাডায় টেসলার ব্যাটারি তৈরির ব্যবস্থা আছে। এখানে ৪৬৮০ ব্যাটারি সেল তৈরি হচ্ছে। এ ছাড়া যুক্তরাজ্য টেসলার ফ্যাক্টরি ভবিষ্যতে তৈরির কথা শোনা যায়। ব্যাটারি উপকরণের জন্য টেসলা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। লিথিয়াম, কোবাল্ট, গ্রাফাইট এবং নিকেলের জন্য চীনের গানফেং লিথিয়াম ও হুয়ায়ু কোবাল্টের মতো কোম্পানি টেসলার প্রধান সরবরাহকারী।

টেসলার লিথিয়াম সংগ্রহ করছে অস্ট্রেলিয়া থেকে। অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের বৃহত্তম লিথিয়াম উৎপাদক। টেসলার পিলবারা মিনারেলস এবং মিনারেল রিসোর্সের মতো কোম্পানির সঙ্গে অংশীদারত্ব রয়েছে। নিকেল ও কোবাল্টের জন্য টেসলা পরিবেশবান্ধব উপায়ে কাঁচামাল সংগ্রহের জন্য কানাডার খনি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সই করেছে। টেসলাকে ভ্যালে কানাডা কম কার্বনযুক্ত নিকেল সরবরাহ করে। কঙ্গো প্রজাতন্ত্র থেকে টেসলার জন্য কোবাল্ট সংগ্রহ করা হচ্ছে। টেসলা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে এসব খনিজ উপাদান সংগ্রহ করছে।

টেসলার অটো যন্ত্রাংশ ও উপাদান বিশ্বের নানা দেশ থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে। ওয়্যারিং, প্লাস্টিকের যন্ত্রাংশ ও ধাতব উপাদান মেক্সিকো থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে। জার্মানির গিগাফ্যাক্টরি বার্লিন টেসলা মোটর এবং ড্রাইভ ইউনিটের জন্য উপাদান তৈরি করছে। টেসলা ও জাপানের প্যানাসনিক যৌথভাবে গিগাফ্যাক্টরি নেভাদায় ব্যাটারি সেল তৈরি করছে। এ ছাড়া জাপানের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ইলেকট্রনিকস ও সেন্সর ব্যবহার করে টেসলা। দক্ষিণ কোরিয়ার এলজি এনার্জি সলিউশন ও স্যামসাং এসডিআইয়ের কাছ থেকে টেসলা ব্যাটারি উপাদান ও ডিসপ্লে প্রযুক্তি গ্রহণ করছে। ভারতের টাটা অটোকম্প, সোনা কমস্টার ও ভারত ফোর্জের মতো কোম্পানি টেসলার ডিফারেনশিয়াল সিস্টেম এবং ছোট প্লাস্টিকের যন্ত্রাংশের মতো উপাদান সরবরাহ করে।

টেসলার গাড়িতে ব্যবহৃত বিরল মৃত্তিকা উপাদান ও বিশেষায়িত উপকরণ সংগ্রহ করা হচ্ছে ব্রাজিল থেকে। ইন্দোনেশিয়া থেকে নিকেল সংগ্রহ করা হচ্ছে। ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় নিকেল উৎপাদকদের মধ্যে অন্যতম। টেসলা সুইডেন থেকে গ্রিন ইস্পাত ও বিরল মৃত্তিকা সংগ্রহ করছে।

সূত্র: সিএনবিসি, রয়টার্স, ন্যাসড্যাক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শিম্পাঞ্জি মানুষের মতো প্রকৌশলবিদ্যার চর্চাও করে
  • টেসলা কতটা ‘মেড ইন আমেরিকা’