Samakal:
2025-03-15@01:01:50 GMT

স্বাদের হালুয়া রুটি

Published: 11th, February 2025 GMT

স্বাদের হালুয়া রুটি

শবে বরাতে হালুয়া রুটি না হলে ঠিক জমে না। রুটির সঙ্গে খাওয়ার জন্য বুট, গাজর কিংবা পছন্দের যেকোনো হালুয়া বানিয়ে নিতে পারেন। রেসিপি দিয়েছেন আফরোজা খানম মুক্তা

বুটের হালুয়া
উপকরণ: বুটের ডাল ৫০০ গ্রাম, চিনি ৭৫০ গ্রাম, এলাচ ও দারচিনি ২-৩ পিস, ঘি ১ কাপ, হলুদ রং সামান্য, তেজপাতা ২ পিস, পেস্তা বাদাম কুচি ১ টেবিল চামচ।
প্রস্তুত প্রণালি: বুটের ডাল পরিষ্কার করে ধুয়ে পানি বেশি দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। ডাল মিহি করে বেটে নিন। কড়াইতে ঘি, চিনি, এলাচ, দারচিনি, বুটের ডাল বাটা, তেজপাতা দিয়ে নেড়ে রেখে দিন ১-২ ঘণ্টা। পরে চুলায় কড়াই বসিয়ে রান্না করুন। হালুয়া ঘন হয়ে এলে এলাচ ও দারচিনি, তেজপাতা ফেলে দিন। নাড়তে নাড়তে কড়াই থেকে হালুয়া ছেড়ে এলে নামিয়ে নিন। এবার হাতে ঘি মাখিয়ে কমলার মতো বানিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল বুটের ডালের হালুয়া।

চালের রুটি
উপকরণ: চালের গুঁড়া ১ কেজি, লবণ স্বাদমতো, পানি ৫ কাপ। 
প্রণালি: পানি ও লবণ একসঙ্গে ফুটিয়ে নিন। পরে চালের গুঁড়া দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রান্না করুন সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত। পরে হাত দিয়ে গরম গরম মাখিয়ে নিন। গোল তৈরি করে পাতলা ভেজা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন। রুটির মাপে লেচি কেটে রুটি বানিয়ে নিন। এবার রুটি ভেজে নিন। তৈরি হয়ে গেল চালের রুটি। 

নারকেলের সন্দেশ
উপকরণ: নারকেল কোরানো ২ কাপ, গুঁড়া দুধ ১ কাপ, কনডেন্সড মিল্ক ১ কাপ,  চিনা বাদাম গুঁড়া আধা কাপ, পেস্তা বাদাম ১ টেবিল চামচ, কাজু বাদাম ২ টেবিল চামচ, ঘি ২ টেবিল চামচ, লাল চেরি প্রয়োজন মতো।
প্রস্তুত প্রণালি: নারকেল কোরানোর সঙ্গে গুঁড়া দুধ, বাদাম গুঁড়া ও কনডেন্সড মিল্ক দিয়ে মাখিয়ে নিন। কড়াইতে ঘি গরম করে মাখানো নারকেল দিয়ে অনবরত নাড়ুন। কড়াই থেকে নারকেল ছেড়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে অল্প ঠান্ডা করে সন্দেশের ছাঁচে বসিয়ে তৈরি করে ফেলুন নারকেলের সন্দেশ। এবার লাল চেরি দিয়ে পরিবেশন করুন।

গাজরের হালুয়া
উপকরণ: গাজর ৫০০ গ্রাম, চিনি ৫০০ গ্রাম, এলাচ ও দারচিনি ২ পিস, ঘি ও গুঁড়া দুধ আধা কাপ, পানের বোঁটা সাজানোর জন্য, পেস্তা বাদাম কুচি সামান্য।
প্রস্তুত প্রণালি: গাজরের খোসা ফেলে ধুয়ে গ্রেট কার নিন। কড়াইতে ঘি গরম করে গাজর, চিনি, এলাচ ও দারচিনি দিয়ে নাড়তে থাকুন। হয়ে এলে গুঁড়া দুধ ও কাঠবাদাম কুচি দিয়ে নাড়তে থাকুন। আঠালো হলে নামিয়ে নিন। হাতে ঘি মাখিয়ে হালুয়া গাজরের শেপ তৈরি করুন। শেষে পানের বোঁটা দিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল গাজরের হালুয়া।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মুড়ি তৈরির রেসিপির ছবি বা ভিডিও পাঠিয়ে পুরস্কার জেতার সুযোগ

বাঙালি খাদ্যসংস্কৃতিতে বছরের পর বছর ধরে যেসব খাবার ঐতিহ্য ধরে রেখেছে, সেগুলোর মধ্যে নিঃসন্দেহে মুড়ি অন্যতম। গ্রামীণ জীবনে যেমন মিশে রয়েছে গুড়ের সঙ্গে মুড়ির স্বাদ, নাগরিক জীবনের চায়ের আড্ডাতেও কিন্তু বাদ যায়নি মুড়ি। তবে একেক অঞ্চলে মুড়ি খাওয়া হয় একেকভাবে। উত্তরাঞ্চলের সরলতায় যেমন মিশে আছে ‘মুড়ির মোয়া’, তেমনি পুরান ঢাকার ঐতিহ্য হলো ‘শাহী মুড়িমাখা’। আর গ্রামবাংলায় মেলা মানেই তো মুড়ি–মুড়কির পসরা।

আর আমাদের দেশে পবিত্র রমজান মাসজুড়েই ইফতারের প্রধান উপকরণ হিসেবে যুগ যুগ ধরে রয়েছে মুড়ি। স্বাস্থ্যসম্মত, ধুলাবালু ও ইউরিয়ামুক্ত মুড়ি দিয়েই ইফতার করতে চান সবাই। ছোলার সঙ্গে মুড়িমাখা ছাড়া যেন ইফতার কল্পনাই করা যায় না। কেউ জিলাপি আর বুন্দিয়ার সঙ্গে মিষ্টি মুড়িমাখা খেতে পছন্দ করেন, আবার কেউ জিলাপি আর মুড়িমাখা একসঙ্গে যেন ভাবতেই পারেন না। অনেকেই আবার বিভিন্ন ধরনের মসলা বানিয়ে ভাজাভুজির সঙ্গে মিশিয়ে তৈরি করেন ঝাল ঝাল মুড়িমাখা। কেউ কেউ সাদামাটাভাবে দইয়ের সঙ্গে মুড়ি মিলিয়েই ইফতার সেরে ফেলতে ভালোবাসেন।

বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রচলিত মুড়ি দিয়ে বানানো হরেক রকমের রেসিপি সংগ্রহে আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ ক্যাম্পেইন ‘রুচি ইফতারে মুড়ি’। ‘রুচি মুড়ি’ ব্র্যান্ডের উদ্যোগটির সহযোগিতায় রয়েছে প্রথম আলো ডটকম।

আপনার অঞ্চলের জনপ্রিয় অথবা নিজের পছন্দের মুড়ির রেসিপির ছবি অথবা ভিডিও পাঠিয়ে অংশ নিতে পারেন এই ক্যাম্পেইনে। জমা হওয়া রেসিপির মধ্যে থেকে বিজয়ী ১০ জন পাবেন আকর্ষণীয় পুরস্কার।

অংশগ্রহণের নিয়মাবলি

১. বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন।

২. তৈরি করা রেসিপিটির মূল উপকরণ হিসেবে অবশ্যই মুড়ি থাকতে হবে।

৩. রেসিপিটির নাম, উপকরণ ও প্রস্তুতপ্রণালি উল্লেখ করে সেটির ছবি অথবা ভিডিওটি হ্যাশট্যাগ #RuchiIftareMuri দিয়ে পোস্ট করতে হবে নিজ ফেসবুক প্রোফাইলে।

৪. এরপর পোস্টটির লিংক পাঠাতে হবে [email protected]এ। ই-মেইলে অবশ্যই প্রতিযোগীর নাম, ঠিকানা ও মুঠোফোন নম্বর উল্লেখ করতে হবে।

৫. রেসিপির উপস্থাপন, বিশেষত্ব, ফেসবুকে লাইক, কমেন্ট ও শেয়ারের ভিত্তিতে বিজয়ী নির্ধারিত হবেন।

৬. অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ১০ জন বিজয়ী পাবেন রুচির পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় পুরস্কার।

৭. প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের শেষ সময়: ২০ মার্চ ২০২৫, বৃহস্পতিবার রাত ১২টা।

৮. প্রতিযোগিতা-সংক্রান্ত সব বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মুড়ি তৈরির রেসিপির ছবি বা ভিডিও পাঠিয়ে পুরস্কার জেতার সুযোগ