একে একে খালাশ পেলেন ঈশ্বরদীতে শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে হামলার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আসামিরা। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা ও পৌর বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
শহরের পুরোনো মোটরস্ট্যান্ডে কারামুক্ত নেতাদের গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ সময় বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব, আলোচিত মামলাটির আইনজীবী জামিল আখতার এলাহী প্রমুখ।
১৯৯৪ সালে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে হামলা ও গুলিবর্ষণের মামলা হয়। ওই মামলায় ২০১৯ সালের ৩ জুলাই বিএনপির ৫২ জন নেতাকর্মীর মধ্যে ৯ জনকে ফাঁসি, ২৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সোমবার পাবনা কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু, বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম অটল ও যুবদল নেতা মোস্তফা নূরে আলম শ্যামল। মঙ্গলবার রাজশাহী কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়র মকলেছুর রহমান বাবলু, সাবেক প্যানেল মেয়র শামছুল আলম, বিএনপি নেতা এ কে এম আখতারুজ্জামান ও যুবদল নেতা আজিজুর রহমান শাহীন। 
একই দিন  পাবনা কারাগার থেকে মুক্তি পান ঈশ্বরদী কলেজের সাবেক ভিপি যুবদল নেতা রেজাউল করিম শাহিন। আজ বুধবার ঢাকার কেরাণীগঞ্জ কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার কথা সাবেক ছাত্রনেতা মাহবুবুর রহমান পলাশের।  

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ র র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা বর্ষবরণ

উৎসব মুখর পরিবেশে খুলনায় সোমবার বাংলা নববর্ষ বরণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী সকাল ৭টায় সার্কিট হাউজ সংলগ্ন টেনিস কমপ্লেক্সে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ছিল গান, নাচ, আবৃত্তি ও শোভাযাত্রা। অনুষ্ঠানে যোগ দেন সাংস্কৃতিক কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।

খুলনা জেলা প্রশাসন সকাল ৮টায় রেলওয়ে স্টেশন থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রাটি শহীদ হাদিস পার্কে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও লোকজ মেলার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার, জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার টিএম মোশাররফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকাল সোয়া ৭টায় বর্ষ আবাহন, সকাল ৯টায় কেন্দ্রীয় মাঠে মেলার উদ্বোধন, সকাল ১০টায় শোভাযাত্রা, পরে লাঠিখেলা ও ম্যাজিক শো এবং বিকালে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। মেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাড়াও আশপাশের এলাকার লোকজন জড়ো হন।

বিএনপি সকাল ৭টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পান্তা উৎসব ও ১০টায় র‌্যালির আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে মহানগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন সহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রূপান্তর, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনভর নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। নগরীর পার্ক, নদীর ঘাটসহ বিনোদন স্পটগুলোতে দিনভর ছিল তরুণ-তরুণীদের উপচেপড়া ভিড়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ