বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্কো) উদ্যোগে ব্যতিক্রমী রিভার ক্রুজ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিপিও শিল্পের সবকটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন, শিল্পের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা ও সহযোগিতার সুযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যেই এমন আয়োজন বলে উদ্যোক্তারা জানান।
ভবিষ্যতে আইসিটি ইন্ডাস্ট্রির শিল্পোন্নয়ন, সম্ভাবনার অনুসন্ধান ও সদস্যদের পারস্পরিক সংযোগ সুদৃঢ় করতে বাক্কো সদস্যরা ইতিবাচক মতামত ও পরামর্শ নিয়ে কথা বলেন।
বাক্কোর সভাপতি তানভীর ইব্রাহীম বলেন, বাংলাদেশের বিপিও শিল্পের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে, যা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক অবদান রাখবে। এমন নেটওয়ার্কিং প্রোগ্রাম আগামী দিনে নতুন ধারণা বিনিময় ও শিল্পের অগ্রগতির সুযোগ তৈরি করবে।
বিপিও শিল্পভিত্তিক প্রতিষ্ঠান থেকে আসা প্রতিনিধিরা নিজ নিজ জায়গা থেকে তাদের শিল্পসংশ্লিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি ব্যক্ত করেন। যার মাধ্যমে বিপিও শিল্পের অপার সম্ভাবনা ও সামষ্টিক উন্নয়নের অভিপ্রায় সবার সামনে উত্থাপিত হয়।
বাক্কোর সাধারণ সম্পাদক ফয়সল আলিম বলেন, শুধু ব্যবসায়িক সম্পর্ক নয়, বিপিও শিল্প পারস্পরিক সংযোগ ও সমষ্টিগত দৃষ্টিভঙ্গির ওপর নির্ভরশীল। এমন আয়োজন সহযোগিতামূলক ও গতিশীল আউটসোর্সিং খাতের মানোন্নয়নে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আউটসোর্সিং সেবা কর্মীদের জন্য সেবাগ্রহণ নীতিমালা জারি
বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষ্যে আউটসোর্সিং সেবা কর্মীদের জন্য 'সেবা গ্রহণ নীতিমালা, ২০২৫' জারি করেছে সরকার। নতুন এই নীতিমালার মূল উদ্দেশ্য হল—আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে দক্ষ, স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক এবং মানসম্পন্ন সেবা নিশ্চিত করা এবং একই সঙ্গে সেবা কর্মীদের উৎসাহিত করা।
মঙ্গলবার সরকারপ্রধানের দপ্তর থেকে বলা হয়, এই নীতিমালা প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে নববর্ষের বিশেষ উপহার।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন নীতিমালায় পাঁচটি সাধারণ ক্যাটাগরি এবং তিনটি বিশেষ সেবার মাসিক সেবামূল্য বাড়ানো হয়েছে।
সেবাকর্মীরা বছরে দুটি উৎসবে এক মাসের সেবামূল্যের অর্ধেক (৫০ শতাংশ) হারে উৎসব প্রণোদনা পাবেন। আর বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বৈশাখী প্রণোদনা পাবেন মাসিক সেবামূল্যের এক-পঞ্চমাংশ (২০ শতাংশ) হারে।
সেবাকর্মীদের জন্য বার্ষিক ১৫ দিনের ছুটি রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে তাদের মৌলিক কাজের বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হবে।
প্রতি অর্থবছরে প্রতিটি সেবাকর্মীকে দুটি করে ইউনিফর্ম সরবরাহ করা হবে এবং দায়িত্ব পালনের সময় তা পরিধান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
নারী কর্মীদের জন্য রয়েছে ৪৫ দিনের মাতৃত্বকালীন ছুটি এবং নারীবান্ধব কাজে তাদের অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশনা।
সেবাকর্মীদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার বিষয়টিও গুরুত্ব পেয়েছে নীতিমালায়। তাদের জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের অধীনে পরিচালিত সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ থাকবে।
সেবামূল্য সরাসরি কর্মীর নিজস্ব ব্যাংক হিসাব অথবা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস)-এর মাধ্যমে দেওয়া হবে। এবং মাসিক সেবামূল্য পরিশোধ করা হবে কর্মকালীন মাসের পরবর্তী মাসের প্রথম সপ্তাহেই।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, সেবাকর্মীদের সেবামূল্য ও প্রণোদনার পরিমাণ অর্থ বিভাগের সময়োপযোগী নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত হবে।
নির্ধারিত সেবাঘণ্টাকে সেবা সময় হিসেবে বিবেচনা করা হবে। তবে সেবা ক্রয়কারীর চাহিদা অনুযায়ী অতিরিক্ত সেবার প্রয়োজন হলে, অর্থ বিভাগের সম্মতিক্রমে চুক্তিভিত্তিক অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দেওয়া হবে।