যুক্তরাষ্ট্রে গুগলের মানচিত্র ব্যবহারকারীরা এখন ‘গালফ অব মেক্সিকো’র (মেক্সিকো উপসাগর) জায়গায় ‘গালফ অব আমেরিকা’ (আমেরিকা উপসাগর) দেখতে পাচ্ছেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জারি করা নির্বাহী আদেশ মেনে স্থানীয় সময় সোমবার থেকে এই পরিবর্তন এনেছে গুগল।

একটি ব্লগ পোস্টে এই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে গুগলের মানচিত্র ব্যবহারকারীরা গালফ অব মেক্সিকোর পুরোনো ও নতুন দুই নামই দেখা যাবে। অন্যান্য বিতর্কিত জায়গার ক্ষেত্রেও এই নীতি অবলম্বন করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি।

গুগল বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রে যাঁরা গুগলের মানচিত্র ব্যবহার করছেন, তাঁরা গালফ অব আমেরিকা দেখবেন। মেক্সিকোর লোকজন গালফ অব মেক্সিকো দেখবেন। এই দুই দেশের বাইরের সবাই দুই নামই দেখতে পাবেন।

দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর গালফ অব মেক্সিকোর নাম পরিবর্তন করে গালফ অব আমেরিকা করে নির্বাহী আদেশে সই করেন ট্রাম্প। একই সঙ্গে আমেরিকার সর্বোচ্চ পর্বতচূড়া ডেনালির আগের নাম মাউন্ট ম্যাককিনলি করেন তিনি।

২০১৫ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আলাস্কার এই পর্বতচূড়ার নাম ডেনালি করেছিলেন। কয়েক শতক ধরে সেখানকার আদি বাসিন্দারা পর্বতটির এই নাম ব্যবহার করে আসছেন।

ট্রাম্প পর্বতচূড়াটির নাম পরিবর্তন করায় আলাস্কার আদিবাসী জনগোষ্ঠীগুলো এর সমালোচনা করেছেন। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে এই নাম বহালের দাবি করে আসছিলেন। এ ছাড়া গালফ অব মেক্সিকোর নাম পরিবর্তন করায় মেক্সিকোর সঙ্গে কূটনৈতিক বিরোধ তৈরি হয় ট্রাম্প প্রশাসনের।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

গাজার হাসপাতালে মিসাইল হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের গাজা সিটির প্রধান আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে মিসাইল হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। অনলাইনে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে, হাসপাতালের দোতলা ভবনে মিসাইল ছোড়ার পর সেখান থেকে আগুনের বিশাল কুণ্ডলি ছড়িয়ে পড়ছে।

এতে হাসপাতালটির আইসিইউ এবং অস্ত্রোপচার বিভাগ ধ্বংস হয়ে গেছে। ওই সময় হাসপাতালের বিছানায় থাকা বেশ কয়েকজন রোগী দ্রুত সরে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন। সূত্র: বিবিসি

হামাস এই হামলাকে ‘ভয়াবহ অপরাধ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় এক সাংবাদিক জানিয়েছেন, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক চিকিৎসকে ফোন করে জানায়, তারা হাসপাতালে হামলা চালাবে। তাই দ্রুত হাসপাতালের সবাইকে সরিয়ে নিতে হবে।

স্থানীয় ওই সাংবাদিক আরও জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের কাছে ফোন করেন, হুমকি দিয়ে বলেন, সব রোগী এবং বাস্তুচ্যুত মানুষকে অবশ্যই নিরাপদ স্থানে সরে যেতে হবে। আপনাদের হাতে আছে মাত্র ২০ মিনিট।

সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, রাতের বেলা রোগীরাও হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া হাসপাতালের সামনে যেসব নারী ও শিশু আশ্রয় নিয়েছিলেন তারাও সরে যান।

দখলদার ইসরায়েল গাজা সিটির সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। এরপর আল-আহলি হাসপাতালটি সেখানকার প্রধান হাসপাতালে পরিণত হয়। রোববার রাতে এই হাসপাতালটিতেও হামলা চালিয়েছে তারা। এর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবরে একই হাসপাতালে হামলা চালিয়ে কয়েকশ মানুষকে হত্যা করেছিল দখলদার ইসরায়েল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ