শিক্ষকের মার খেয়ে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীর বিষপান, বাঁচাতে পারলেন না চিকিৎসকেরা
Published: 11th, February 2025 GMT
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কৃষিজমিতে কাজ না করায় এক শিক্ষক এক শিক্ষার্থীকে বকাঝকা ও মারধর করেছিলেন। এরপর ক্ষোভে বিষ পান করে ওই শিক্ষার্থী। এক সপ্তাহ পর আজ মঙ্গলবার ভোরে সে মারা যায়। এ ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীর চাচা থানায় মামলা করলে আজ দুপুরে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
নিহত শিক্ষার্থীর নাম মোহাম্মদ ফোরকান (১৭)। সে বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউনিয়নের বদিউল আলমের ছেলে। ফোরকান দুই বছর ধরে মাদ্রাসাটির শর্টকোর্স বিভাগে পড়াশোনা করছিল বলে জানা গেছে। আর গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষক রফিকুল ইসলাম (৩২) কক্সবাজার জেলায় কুতুবদিয়া উপজেলার বাসিন্দা। আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নে মাদ্রাসা আরবিয়া খাইরিয়ার শিক্ষক তিনি।
নিহত ফোরকানের চাচার মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টার সময় মাদ্রাসার পাশের একটি জমিতে কৃষিকাজ না করায় মোহাম্মদ ফোরকানকে মারধর ও বকাঝকা করেন শিক্ষক রফিকুল ইসলাম। পরে ওই ক্ষোভে ফোরকান জমির জন্য আনা কীটনাশক খেয়ে ফেলে। এরপর মাদ্রাসার শিক্ষকেরা তাকে প্রথমে আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ার পর শিক্ষার্থীর পরিবার ফোরকানকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করায়। আজ ভোরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পূর্ব শক্রতার জেরে যুবদল নেতাকে ‘অপহরণ করে মারধর’
ফ্ল্যাট বেচাকেনা-সংক্রান্ত ঘটনায় পূর্ব শত্রুতার জেরে যুবদল নেতাকে অপহরণের পর মারধর করা হয়েছে—ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে।
গত রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ভুক্তভোগী মোরছালিন চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী আমির হোসেনের নামে মামলা দায়ের করেন।
মোরছালিন চৌধুরী রাজধানীর গুলশান থানা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানার দেওড়ার গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে ঢাকার নতুনবাজারে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। অভিযুক্ত আমির হোসেন সরাইলস্থ অরুয়াইলের স্থানীয় ব্যবসায়ী।
আরো পড়ুন:
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ
নোয়াখালীতে গণপিটুনিতে নিহত এক
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, অভিযুক্ত আমির হোসেনের সঙ্গে মোরছালিন চৌধুরীর ফ্ল্যাট বেচাকেনা-সংক্রান্ত কাজে পরিচয়। মোরছালিন নিজে মধ্যস্থতা করে পরিচিতের কাছ থেকে অভিযুক্তকে ২৪ লাখ টাকা বকেয়া রেখে ফ্ল্যাট কিনে দেন। এ সময় তিনি ক্রেতা আমির হোসেনের কাছ থেকে প্রমাণস্বরূপ একটি স্বাক্ষরযুক্ত চেক রাখেন। তবে সময় পার হলে টাকা পরিশোধ না হওয়ায় মোরছালিন ক্রেতাকে বকেয়া পরিশোধের তাগাদা দেন। তখন স্থানীয় একটি ঠিকানায় দেখা করে টাকা নিতে জানায় অভিযুক্ত আমির হোসেন।
মোরছালিন চৌধুরী অভিযুক্তের দেওয়া ঠিকানায় গেলে তিনি তাকে হত্যার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক সিএনজি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়। উপজেলাধীন অরুয়াইল বাজারস্থ আসামির মালিকানাধীন ‘আমির হোসেন মার্কেটের’ গোপন রুমে নিয়ে বাদীকে মারধর করেন। এরপর তার কাছে রক্ষিত চেক জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন। এ সময় বাদীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ‘টাকা বুঝিয়ে পেয়েছেন’ বলে নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে সই রাখেন। ভুক্তভোগীকে হাত-পা বেঁধে রুমে বন্দি করে রাখলে গভীর রাতে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির সহায়তায় সেখান থেকে তিনি পালিয়ে আসেন।
ভুক্তভোগী মোরছালিন চৌধুরী বলেন, ‘‘আমাকে বকেয়া টাকা দেবে বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোড ডেকে নিয়ে যায়। এরপর জোরপূর্বক অপহরণ করে আমির হোসেন তার গোপন আস্তানায় নিয়ে নির্যাতন করেন। আমি অন্য একজনের সহায়তায় গভীর রাতে পালিয়ে প্রাণে বাঁচি।’’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে আমির হোসেনকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল হাসান বলেন, ‘‘মামলার কাগজ গতকাল (সোমবার) পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/মাইনুদ্দীন/এনএইচ