বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত চলমান সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে বিশ্বব্যাংক। তারা মনে করে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ, ভবিষ্যৎ সরকার ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য এই সংস্কারগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার আজ মঙ্গলবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় মার্টিন রেইজার বাংলাদেশে চলমান সংস্কার কর্মসূচির প্রতি তাঁদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।

বৈঠকে উভয়ে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে কর–ব্যবস্থাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ডিজিটাইজেশন পদ্ধতি চালু এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুশাসন ও স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নের বিষয় আলোচনায় উঠে আসে।

বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশে সুশাসন ও জবাবদিহির উন্নয়নে জরুরি সংস্কারে সহায়তা করছে, যার মধ্যে কর নীতি ও প্রশাসন, সরকারি ক্রয় এবং পরিসংখ্যানসংক্রান্ত সংস্কার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’

রেইজার বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ, ভবিষ্যৎ সরকার ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য এই সংস্কারগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, ‘এই সংস্কারগুলো জনগণ ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর সুশাসন ও জবাবদিহির প্রতি আস্থা তৈরি করতে সহায়তা করবে, যা ভবিষ্যতে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির ভিত্তি স্থাপন করবে।’

কর প্রশাসন ও কর নীতির পৃথক্‌করণের আহ্বান জানান রেইজার, যাতে রাজস্বব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা যায়। তিনি বলেন, কর রেয়াত ও ছাড় দেওয়ার একমাত্র সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কর্তৃপক্ষ হওয়া উচিত সংসদ।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, তিনি সম্প্রতি একটি ‘ঐকমত্য কমিশন’ গঠন করেছেন, যা ছয়টি প্রধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ আয়োজনে সহায়তা করবে। তিনি বলেন, ‘একবার রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছালে, তারা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে, যা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং পরে রাজনৈতিক সরকার বাস্তবায়ন করবে।’

রেইজার সরকারি ক্রয়ব্যবস্থার উন্নতি এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর স্বাধীনতা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন, যাতে নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্যের গুণগত মান উন্নত করা যায়।

বৈঠকে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ শক্তিশালী ডিজিটাইজেশন কর্মসূচির গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা হয়। রেইজার বলেন, বিশ্বব্যাংক ঢাকা শহরকে এমন দেশগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত করতে সহায়তা করতে পারে, যাদের শক্তিশালী ডিজিটাল পরিচয় অবকাঠামো রয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ইজ র ব যবস সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জাতীয় ঐকমত্য গঠনে কমিশন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: আলী রীয়াজ

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের কাজ শেষ করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

আজ মঙ্গলবার কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারকে এ কথা জানিয়েছেন। কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ জাতীয় সংসদ ভবনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে অধ্যাপক আলী রীয়াজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ইইউ রাষ্ট্রদূত। কমিশনের সহসভাপতি কমিশনের কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে ইইউ রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন।

এ সময় ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার কমিশনের কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মাইকেল মিলার বলেছেন, বর্তমান সংস্কার কার্যক্রমে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। এ ছাড়া ইইউ রাষ্ট্রদূত কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সংস্কারের সুপারিশ নিয়ে মতামত দিয়েছে ৭ রাজনৈতিক দল
  • সংস্কারের সুপারিশ নিয়ে মতামত দিয়েছে ৭টি দল
  • ডিসেম্বরে নির্বাচন নিয়ে এখনো সংশয়ে বিএনপি
  • যার কাজ তারে সাজে...
  • গণ-অভ্যুত্থানের পর ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ককে ইতিবাচক দেখছেন ৭৬ শতাংশ উত্তরদাতা
  • অভ্যুত্থানের পর ঢাকার সঙ্গে বৈদেশিক সম্পর্কে ভারতের চেয়ে এগিয়ে চীন
  • নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জাতীয় ঐকমত্য গঠনে কমিশন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: আলী রীয়াজ