সুনামগেঞ্জর মধ্যনগর উপজেলার মোহনপুর সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আব্দুল মালেক নামে এক বাংলাদেশির লাশ হস্তান্তর করেছে ভারতীয় পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ পতাকা বৈঠক হয়। 

মালেক উপজেলার বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নের রংপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে। গত কয়েক  দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।

রোববার বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ভারতের দেড় কিলোমিটার অভ্যন্তরে গংগানগর নামক স্থানে মালেকের লাশ উদ্ধার করে দেশটির পুলিশ। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিজিবিকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানায় বিএসএফ। মধ্যনগর থানার ওসি সজীব রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মালেকের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ন মগঞ জ ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

সীমান্তে বিএসএফের সিসি ক্যামেরা স্থাপন, বিজিবির প্রতিবাদ

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দক্ষিণ বাঁশজানী সীমান্তের শূন্য রেখায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। রোববার রাতে তারা এই সিসি ক্যামেরা লাগিয়েছে বলে জানায় এলাকাবাসী। এর প্রতিবাদ জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। 

জানা যায়, উপজেলার পাথরডুবী ইউনিয়নের দক্ষিণ বাঁশজানি সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ৯ এস এর ৯৭৮ নম্বর সীমানা পিলারের পাশে শূন্য রেখার একটি ইউক্লিপটাস গাছে রোববার রাতে বাংলাদেশের দিকে তাক করে একটি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে বিএসএফের ছোট গাড়ল ঝড়া ক্যাম্পের সদস্যরা। সোমবার সকালে স্থানীয়রা বিষয়টি বিজিবিকে জানায়। পরে বিজিবি বিএসএফকে ডেকে এর কড়া প্রতিবাদ জানায় এবং সিসি ক্যামেরা অপসারণ করতে বলেন। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ নিয়ে বিজিবি–বিএসএফের মধ্যে একাধিক আলোচনা হলেও ক্যামেরা খুলে নিয়ে যায়নি বিএসএফ।

স্থানীয়রা জানান, দক্ষিণ বাঁশজানি ঝাকুয়াটারী সীমান্তে স্থাপিত আলোচিত দুই দেশের একটি মসজিদ পুনর্নির্মাণ চলছে। এর সন্নিকটে বিএসএফ রাতের অন্ধকারে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করায় আমরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। 

মসজিদের মোয়াজ্জিন আলমগীর হোসেন জানান, আমাদের পূর্বপুরুষদের স্থাপিত এই মসজিদটিতে ভারত–বাংলাদেশের মানুষ একসঙ্গে নামাজ পড়ি। দেশভাগের সময় গ্রামের মাঝ দিয়ে সীমান্ত রেখা টানা হলেও একে ঘিরে আমাদের সম্পর্ক আজও ভাগ হয়নি। তখন থেকে আমরা এখনও একসঙ্গে এ মসজিদে নামাজ পড়ি। এটি পুরাতন হলে নতুন করে স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এতে বিএসএফ বাধা দেয়। তাদের বাধায় দুই বছর ধরে মসজিদের কাজ বন্ধ রয়েছে। এবার রাতের অন্ধকারে তারা সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে গেছে। এতে আমাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। বিজিবিকে ক্যামেরা খুলে নিয়ে যেতে বললেও তারা তা করেনি।

কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবির পরিচালক লে. কর্নেল মাসুদুর রহমান জানান, শূন্য রেখায় সিসি ক্যামেরা স্থাপনের বিষয়ে বিএসএফকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা ক্যামেরা অপসারণের আশ্বাস দিয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কুড়িগ্রামের বাঁশজানি সীমান্ত থেকে সিসিটিভি ক্যামেরা সরাতে বিএসএফের সম্মতি
  • কুড়িগ্রাম সীমান্তে সিসি ক্যামেরা খুলে নিতে সম্মতি দিয়েছে বিএসএফ
  • কুড়িগ্রাম সীমান্তে সিসি ক্যামেরা খুলে নিতে রাজি বিএসএফ
  • সীমান্তে বিএসএফের সিসি ক্যামেরা স্থাপন, বিজিবির প্রতিবাদ
  • কুড়িগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, বিজিবির প্রতিবাদ
  • কুড়িগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের সিসি ক্যামেরা স্থাপন