বাংলাদেশির লাশ হস্তান্তর করল ভারতীয় পুলিশ
Published: 11th, February 2025 GMT
সুনামগেঞ্জর মধ্যনগর উপজেলার মোহনপুর সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আব্দুল মালেক নামে এক বাংলাদেশির লাশ হস্তান্তর করেছে ভারতীয় পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ পতাকা বৈঠক হয়।
মালেক উপজেলার বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নের রংপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে। গত কয়েক দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।
রোববার বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ভারতের দেড় কিলোমিটার অভ্যন্তরে গংগানগর নামক স্থানে মালেকের লাশ উদ্ধার করে দেশটির পুলিশ। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিজিবিকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানায় বিএসএফ। মধ্যনগর থানার ওসি সজীব রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মালেকের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
৩ দিন পর বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ
পঞ্চগড়ের অমরখানা ইউনিয়নের ভিতরগড় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক আল আমিনের (৩৬) মরদেহ তিনদিন পর ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা সীমান্তের জিরো লাইনে পরিবারের কাছে মরদেহটি হস্তান্তর করে তারা।
মরদেহ হস্তান্তরের সময় ভারতের রাজগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর অনুপম মজুমদার ও বাংলাদেশের তেঁতুলিয়া থানার এসআই নরেশ চন্দ্র দাস, বিজিবি-বিএসএফ সদস্য, নিহত আল আমিনের বাবা সুরুজ মিয়াসহ তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
নেত্রকোণার ধনু নদ থেকে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার
নাটোরে অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধার
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ৮ মার্চ (শনিবার) ভোরে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন ভিতরগড় বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ৭৪৪ এর সাব পিলার ৭ হতে আনুমানিক ১৬০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে ভাটপাড়া নামক স্থানে আল আমিনের মরদেহ পরে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। ভারতের ৪৬ ভাটপাড়া বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সদস্যদের গুলিতে নিহত হন তিনি। এ ঘটনায় মরদেহ ফেরত চেয়ে ও প্রতিবাদ জানাতে গত সোমবার বিজিবি এবং বিএসএফের মধ্যে সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে ভারতের রাজগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মঙ্গলবার রাতে নিহতের পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
তেঁতুলিয়া থানার এসআই নরেশ চন্দ্র দাস বলেন, “ভারতে নিহতের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তিনদিন পর মঙ্গলবার রাতে বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যদের উপস্থিতিতে আল আমিনের লাশ ফেরত দেয় ভারতীয় পুলিশ। পরে সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শামসুদ্দিন এবং শফিকুল ইসলামের মাধ্যমে নিহতের পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।”
ঢাকা/নাঈম/মাসুদ