গণমাধ্যমকর্মীরা কাজ করতে গিয়ে যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন বেশি চাপের মুখে পড়ছেন বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি বলেন, সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা বা সরকার অখুশি হবে, এমন সংবাদ প্রকাশে ভয় পাচ্ছে গণমাধ্যম।

আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জি এম কাদের এসব কথা বলেন। জাপা চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী গণমাধ্যমে এই বিবৃতি পাঠিয়েছেন।

রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্সের (আরএসএফ) ২০২৪ সালের প্রতিবেদনের তথ্য উল্লেখ করে জি এম কাদের বলেন, এই রিপোর্ট বলছে, সাংবাদিকদের জন্য বিশ্বে সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। তিনি বলেন, গত কয়েক মাসে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় অসংখ্য কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। এর ফলে সাংবাদিকদের মধ্যে চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে। গণমাধ্যমগুলো ভয়ার্ত পরিবেশে নিজেরাই সেলফ সেন্সরশিপ (স্ব–আরোপিত নিয়ন্ত্রণ) চালু করেছে।

ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) উদ্ধৃতি দিয়ে বিবৃতিতে জি এম কাদের বলেন, গত কয়েক মাসে ইলেকট্রনিক মিডিয়া থেকে ১৫০ জনের বেশি গণমাধ্যমকর্মী এবং প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়া থেকে প্রায় ২০০ কর্মী চাকরিচ্যুত হয়েছেন। এর ফলে এসব গণমাধ্যমকর্মীর পরিবারে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। একই সময়ে এত গণমাধ্যমকর্মীর চাকরি হারানোর ঘটনা নজিরবিহীন। কিছু কিছু গণমাধ্যমকর্মী জানিয়েছেন, প্রচ্ছন্ন চাপের কারণে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না তাঁরা। সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা বা সরকার অখুশি হবে এমন সংবাদ প্রকাশে ভয় পাচ্ছে গণমাধ্যম।

গণতন্ত্রের সুফল সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সবার আগে গণমাধ্যমের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। পাশাপাশি তিনি সাংবাদিকদের নিরাপত্তা এবং অযথা হয়রানি বন্ধ ও চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের পুনর্বহালের দাবিও জানিয়েছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গণম ধ যমকর ম এম ক দ র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে গণমাধ্যমকর্মীর স্ত্রী ও কন্যার উপর হামলায় থানায় অভিযোগ 

বন্দরে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় গনমাধ্যম কর্মীর স্ত্রী ও কন্যা সন্তান রক্তাক্ত জখমের ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের  হয়েছে।  

এ ঘটনায় সাংবাদিকের স্ত্রী আহত নাসরিন আক্তার বাদী হয়ে মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিকেল হামলাকারি লেডি সন্ত্রাসী শারমিন বেগম, তার মেয়ে সোনিয়া ও সন্ত্রাসী সোহেল বাবুসহ অজ্ঞাত ২/৩ জনকে আসামী করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এর আগে ২৩ ফেব্রুয়ারী সকাল ৯টায় বন্দর উপজেলার লম্বাদরদি এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলার লম্বাদরদি এলাকার সাংবাদিক মাছুম বিল্লাহ স্ত্রী নাসরিন আক্তার  সাথে একই এলাকার মোক্তার হোসেন মিয়ার স্ত্রী লেডি সন্ত্রাসী শারমিন বেগমের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল।

এর জের ধরে প্রতিপক্ষ লেডি সন্ত্রাসী শারমিন বেগম  অভিযোগের বাদিনী স্বামী ও গনমাধ্যম কর্মী মাছুম বিল্লাহসহ অভিযোগের বাদিনী তার পরিবারের  বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। 

গত ১ মাস ধরে অভিযোগের বাদিনীর স্বামী গণমাধ্যম কর্মী মাছুম বিল্লাহ তার পৈত্রিক সম্পত্তিতে পাঁকা স্থাপনা নির্মান কাজ চালিয়ে আসছিল।

এর ধারাবাহিকতা গত ২৩ ফেব্রুয়ারী সকাল ৯টায় গণমাধ্যম কর্মী মাছুম বিল্লাহ ও তার কলেজ পড়ুয়া মেয়ে রিতু আক্তার (২০) নির্মিত ভবনের নির্মান সামগ্রী ক্রয় করার উদ্দেশ্য বাসা থেকে বের হলে ওই সময় লেডি সন্ত্রাসী শারমীন বেগমের হুকুমে ২নং বিবাদী সোনিয়া বেগমের সহযোগিতায় একই এলাকার মৃত খোরশেদ আলমের সন্ত্রাসী ছেলে অভিযোগের ৩নং বিবাদী সোহেল বাবুসহ অজ্ঞাত নামা ২/৩ জন সন্ত্রাসী কলেজ ছাত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্য গ্যাসের পাইপ দিয়ে মাথায় আঘাত করে কাটা রক্তাক্ত জখম করে নির্মান সামগ্রী ক্রয়ের নগদ ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা, ১ ভরি ওজনের ১টি স্বর্ণের চেইন ও ১টি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সেই সংবাদ উপস্থাপিকার চাকরি ফিরিয়ে দিতে বললেন হাসনাত
  • গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলা, বরখাস্ত এসপির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ 
  • বন্দরে গণমাধ্যমকর্মীর স্ত্রী ও কন্যার উপর হামলায় থানায় অভিযোগ