যশোরের চৌগাছায় আকতার (৩২) নামে এক এক ব্যক্তিকে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চৌগাছা ব্রিজের সামনে ঘটনাটি ঘটে। 

আটক আকতার ঝিকরগাছার শেয়ালকোটা এলাকার মোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে। চৌগাছা থানার ওসি আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, আজ সন্ধ্যায় চৌগাছা পৌর শহরের বাকপাড়ার সাইফুল ইসলাম বাবুর বাড়ি থেকে একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। বিষয়টি বুঝতে পেরে বাবুর ডাকে স্থানীয় কয়েকজন চোরকে ধরতে মোটরসাইকেলে করে ধাওয়া করে। চৌগাছা ব্রিজের সামনে মোটরসাইকেলটি ফেলে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে আকতার। পরে তিনি কপোতাক্ষ নদে ঝাপ দেন। এলাকাবাসী তাকে সেখান থেকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।

আরো পড়ুন:

পূর্ব শক্রতার জেরে যুবদল নেতাকে ‘অপহরণ করে মারধর’

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ

ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, “চুরির ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা জানার জন্য আটককৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”

ঢাকা/প্রিয়ব্রত/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রধর

এছাড়াও পড়ুন:

জয়পুরহাটে ছাত্রদলের সাবেক নেতাকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা, পিস্তলসহ আটক ১

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম হোসেনকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার রাত সোয়া ১০টার দিকে পাঁচবিবি সুপার মার্কেটের একটি দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় স্থানীয় লোকজন ধাওয়া দিয়ে পিস্তলসহ একজনকে ধরে পিটুনি দেন। পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে পাঁচবিবি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আটক ব্যক্তির নাম রুবেল হোসেন (৩৪)। তিনি ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে শামীম হোসেন ও স্থানীয় দুই সাংবাদিক পাঁচবিবি সুপারমার্কেটের নিউ গার্মেন্টসের সামনে আড্ডা দিচ্ছিলেন। রাত সোয়া ১০টার দিকে দুটি মোটরসাইকেলে ছয়জন অপরিচিত ব্যক্তি এসে শামীম হোসেনের ওপর হামলা চালান। শামীম দৌড়ে সরে পড়েন। তখন হামলাকারীরা তিন-চারটি গুলি ছোড়েন। পরে তাঁরা মোটরসাইকেলে করে রেলগেট এলাকার দিকে পালিয়ে যান।
শামীম হোসেনের চিৎকার ও গুলির শব্দ শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে হামলাকারীদের ধাওয়া করেন। রেলগেট এলাকায় রাঁখি হোটেলের সামনে একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পড়ে। তখন ওই মোটরসাইকেলে তিন আরোহী সড়কে পড়ে যান। তাঁরা মোটরসাইকেল ফেলে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় লোকজন খোঁজাখুঁজি করে একজনকে পিস্তলসহ আটক করে পিটুনি দেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

শামীম হোসেন বলেন, ‘পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদের অপসারিত চেয়ারম্যান সাবিকুন নাহারের স্বামী শাহ কামালের বাড়ি ফরিদপুরে। সাবেকুন নাহার গত ২৭ রমজান পাঁচবিবি দানেজপুর ডিগ্রি কলেজ মাঠে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন। বিক্ষুব্ধ লোকজন আগের রাতে ইফতার মাহফিলের প্যান্ডেল ভাঙচুর করায় মাহফিল পণ্ড হয়ে যায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাবেকুন নাহারের স্বামী ফরিদপুর থেকে ছয়জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী এনে আমাকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করেছেন।’

এ বিষয়ে জানতে শাহ কামালের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে হোয়াটসঅ্যাপে দেওয়া এক বার্তায় সাবেকুন নাহার বলেন, ‘আমরা সপরিবার দেশের বাইরে আছি। শামীমের অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমার ইফতার মাহফিলে হামলার ঘটনায় তিনি জনসমক্ষে জিরো হয়ে গিয়েছিলেন। এখন গুলির নাটক সাজিয়ে আবার হিরো হতে চাইছেন।’

পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মইনুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদলের সাবেক নেতা শামীমের ওপর হামলা হয়েছে। পিস্তলসহ একজনকে আটক করা হয়েছে। তিনি ফরিদপুরের বাসিন্দা। ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেটে ছুরিকাঘাতে তরুণ নিহত, আটক ১
  • সালমানকে হুমকি, একজনকে খুঁজে পাওয়ার পর যে তথ্য দিল পুলিশ
  • জয়পুরহাটে ছাত্রদল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি, পিস্তল-গুলিসহ আটক ১ 
  • জয়পুরহাটে ছাত্রদলের সাবেক নেতাকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা, পিস্তলসহ আটক ১
  • ছাত্রলীগ নেতার লাঠির আঘাতে বিএনপিকর্মী খুন