চুরির অভিযোগে একজনকে গণধোলাই, পরে পুলিশে সোপর্দ
Published: 11th, February 2025 GMT
যশোরের চৌগাছায় আকতার (৩২) নামে এক এক ব্যক্তিকে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চৌগাছা ব্রিজের সামনে ঘটনাটি ঘটে।
আটক আকতার ঝিকরগাছার শেয়ালকোটা এলাকার মোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে। চৌগাছা থানার ওসি আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, আজ সন্ধ্যায় চৌগাছা পৌর শহরের বাকপাড়ার সাইফুল ইসলাম বাবুর বাড়ি থেকে একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। বিষয়টি বুঝতে পেরে বাবুর ডাকে স্থানীয় কয়েকজন চোরকে ধরতে মোটরসাইকেলে করে ধাওয়া করে। চৌগাছা ব্রিজের সামনে মোটরসাইকেলটি ফেলে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে আকতার। পরে তিনি কপোতাক্ষ নদে ঝাপ দেন। এলাকাবাসী তাকে সেখান থেকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
আরো পড়ুন:
পূর্ব শক্রতার জেরে যুবদল নেতাকে ‘অপহরণ করে মারধর’
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ
ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, “চুরির ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা জানার জন্য আটককৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”
ঢাকা/প্রিয়ব্রত/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঝিনাইদহে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, কুপিয়ে একজনকে হত্যা
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার হাকিমপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মোশাররফ হোসেন (৩৫) নামের একজন নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে হাকিমপুর গ্রামের মাঠের মধ্যে তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
নিহত মোশাররফ ওই গ্রামের খাবির মণ্ডলের ছেলে ও বিএনপির কর্মী বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় আরও ৭ থেকে ৮ জন আহত হয়েছেন।
গ্রামবাসী জানান, হরিণাকুণ্ডু উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। ওই গ্রামের বাসিন্দা চানপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মহিউদ্দিন ও বিএনপির এক কর্মী দবির উদ্দিনের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে আজ সকালে দবির উদ্দিনের ভাই মোশাররফ হোসেন মাঠে কলা কাটতে গেলে প্রতিপক্ষের সমর্থকেরা হামলা করেন। সে সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও মারধরে অন্তত ৯ জন আহত হন। পরে তাঁদের মধ্যে ৭ জনকে সদর হাসপাতালে আনলে চিকিৎসক মোশাররফকে মৃত ঘোষণা করেন।
দবির উদ্দিন জানান, সকালে তাঁর ভাই মাঠে কাজ করছিলেন। তখন মহিউদ্দিনের লোকজন অতর্কিত ভাইয়ের ওপর হামলা করেন। সে সময় ভাই বাঁচতে দৌড়ে বাড়ির দিকে চলে এলে সন্ত্রাসীরা বাড়ির সামনেই তাঁকে এলোপাতাড়ি কোপান। ঘটনার সময় তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আরও ৭ থেকে ৮ জন আহত হন। তাঁরা মোশাররফ হোসেনকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফারহানা শারমিন বলেন, হাসপাতালে আসা মোশাররফ হোসেন নামের একজন মারা গেছেন। আরেকজন ভর্তি আছেন। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ রউফ খান বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল থেকে এলাকাবাসী মহিউদ্দিন নামের একজনকে আটকে রাখেন। পরে তাঁকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।