বাগেরহাটে বিএনপির দু’ গ্রুপের পৃথক সংঘর্ষে আহত ২৫
Published: 11th, February 2025 GMT
বাগেরহাটের কচুয়া ও চিতলমারী উপজেলায় ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন ও কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের পৃথক সংঘর্ষে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এ সংঘর্ষ হয়।
দুপুরে কচুয়া উপজেলার ধোপাখালী ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠনের সময় দেপাড়া বাজার এলাকায় দুই গ্রুপের সভাপতি পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে সভাপতি প্রার্থী লিয়াকত হোসেনসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়।
আহতদের মধ্যে লিয়াকত হোসেনকে বাগেরহাট জেলা সদর হাসপাতাল এবং তার ভাই শওকত হোসেন ও যুবদল নেতা জুয়েল রানাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
ক্রীড়া অনুষ্ঠানে ওসি, আ.
তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতেই হবে: দুলু
এ বিষয়ে লিয়াকত হোসেন বলেন, ‘‘প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আফজাল হাওলাদারের নেতৃত্বে একদল লোক আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে আমার সমর্থকদের মধ্যে ১৫ জন আহত হয়েছেন।’’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আফজাল হাওলাদার বলেন, ‘‘আমি ও আমার সমর্থকেরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই।’’
কচুয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব এস এম তৌহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনার বিষয়ে অবগত আছেন। দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একই দিনে চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। উপজেলার চরচিংগুড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় কিবির মাস্টার ও মোস্তাফিজুর রহমান কচির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়।
আহতদের মধ্যে কিবির মাস্টার গ্রুপের আরিফুজ্জামান ও খাদিজা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কিবির মাস্টারের অভিযোগ, ‘‘মোস্তাফিজুর রহমান কচির সমর্থকরা পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে আমাদের লোকজনকে আহত করেছে।’’
অন্যদিকে, মোস্তাফিজুর রহমান কচি বলেন, ‘‘আমাদের পক্ষে জনসমর্থন বেশি থাকায় প্রতিপক্ষ হামলা চালিয়ে আমাদের ৭-৮ জনকে আহত করেছে।’’
চিতলমারী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোমিনুল হক টুলু বিশ্বাস জানান, সম্মেলন স্থলের বাইরে হামলা হয়েছে। এতে স্থানীয় কিছু আওয়ামী সমর্থকও জড়িত থাকতে পারে। বিএনপির কেউ জড়িত থাকলে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শাহাদাৎ হোসেন জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/শহিদুল/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ কত হ স ন ব যবস থ ব এনপ র স ঘর ষ আম দ র র সমর উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা বর্ষবরণ
উৎসব মুখর পরিবেশে খুলনায় সোমবার বাংলা নববর্ষ বরণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী সকাল ৭টায় সার্কিট হাউজ সংলগ্ন টেনিস কমপ্লেক্সে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ছিল গান, নাচ, আবৃত্তি ও শোভাযাত্রা। অনুষ্ঠানে যোগ দেন সাংস্কৃতিক কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
খুলনা জেলা প্রশাসন সকাল ৮টায় রেলওয়ে স্টেশন থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রাটি শহীদ হাদিস পার্কে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও লোকজ মেলার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার, জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার টিএম মোশাররফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকাল সোয়া ৭টায় বর্ষ আবাহন, সকাল ৯টায় কেন্দ্রীয় মাঠে মেলার উদ্বোধন, সকাল ১০টায় শোভাযাত্রা, পরে লাঠিখেলা ও ম্যাজিক শো এবং বিকালে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। মেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাড়াও আশপাশের এলাকার লোকজন জড়ো হন।
বিএনপি সকাল ৭টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পান্তা উৎসব ও ১০টায় র্যালির আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে মহানগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন সহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রূপান্তর, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনভর নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। নগরীর পার্ক, নদীর ঘাটসহ বিনোদন স্পটগুলোতে দিনভর ছিল তরুণ-তরুণীদের উপচেপড়া ভিড়।