‘পছন্দ মতো দপ্তরে বদলি-পদায়নে ডিও লেটার বিধিমালা অনুযায়ী অপরাধ’
Published: 11th, February 2025 GMT
সরকারি কর্মকর্তারা নিজেদের পছন্দমতো দপ্তরে বদলি ও পদায়ন চেয়ে আধা-সরকারি পত্র (ডিও লেটার) বা মৌখিকভাবে অনুরোধ করছেন। এটা কর্মচারীদের আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী অপরাধ।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এক অফিস আদেশে এ কথা জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থায় কর্মরত প্রশাসন ক্যাডার ও অন্যান্য ক্যাডার থেকে আসা উপসচিব এবং নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে বদলি ও পদায়ন সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।
আরো পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
বইমেলায় হট্টগোল, উপদেষ্টা ফারুকীর কড়া বার্তা
‘ইদানীং লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কিছু কর্মকর্তা তাদের পছন্দ অনুযায়ী বদলির জন্য উপদেষ্টা, সিনিয়র সচিব, সচিব বা অন্যান্য পর্যায় থেকে আধা-সরকারি পত্র বা মৌখিকভাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অনুরোধ করছেন, যা সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ এর ২০ এর পর্যায়ভুক্ত অপরাধ।’
সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ২০ এর পর্যায় অনুযায়ী, কোনো সরকারি কর্মচারী তার পক্ষে হস্তক্ষেপ করার জন্য কোনো অনুরোধ বা প্রস্তাব নিয়ে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো সংসদ সদস্য বা অন্য কোনো বেসরকারি ব্যক্তির দ্বারস্থ হতে পারবেন না বলেও জানানো হয়েছে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আন্দোলনের মুখে বিচারক, অচলাবস্থা সাইবার ট্রাইব্যুনালে
জামিন না দেওয়াকে কেন্দ্র করে আইনজীবীদের আন্দোলনের মুখে পড়েছেন ঢাকার এক বিচারক।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে এ অবস্থা ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে। আন্দোলনের মুখে বিচারকাজ পরিচালনার জন্য এজলাসেই উঠতে পারেননি বিচারক নূরে আলম।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের সামনে বিচারককে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করেন আইনজীবীরা। এসময় বিচারক খাস কামড়ায় অবস্থান করেন।
সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মো. মিরাজ উদ্দিন শিকদার জানান, গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে এক আসামির জামিন নামঞ্জুর করায় উপস্থিত আসামি পক্ষের আইনজীবীরা বিচারককে উদ্দেশ্য করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ সময় বিচারক এজলাস ত্যাগ করে খাস কামড়ায় চলে যান। আজ আইনজীবীরা বিক্ষোভ করায় বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে তিনি এজলাসে ওঠেননি।
এ বিষয়ে সেই আসামি পক্ষের আইনজীবী শামসুজ্জামান দীপু বলেন, “বিচারকের আচরণে সাধারণ আইনজীবীরা ক্ষিপ্ত। এজন্য সাধারণ আইনজীবীরা তার অপসারণ চেয়ে আন্দোলন করছেন। ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এ বিষয়ে অবগত রয়েছেন। তাদের সম্মতি নিয়েই সাধারণ আইনজীবীরা সাইবার ট্রাইব্যুনাল বয়কট করেছেন।”
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের স্টাফরা জানান, ওই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। তার অনুপস্থিতিতে মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কয়েকদিন আগে তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সপ্তাহ ব্যবধানে আবারো তার জামিন চাইলে বিচারক নামঞ্জুর করেন। এসময় আসামি পক্ষের আইনজীবী জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় বিচারকের সঙ্গে অশোভন করলে বিচারক এজলাস ত্যাগ করেন।
এদিকে, আন্দোলনরত আইনজীবীরা বলেন, “এই বিচারক নিয়মিত আইনজীবীদের ও বিচারপ্রার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। একজন বিচারকের কাছ থেকে এমন আচরণ প্রত্যাশিত না। প্রতিনিয়ত তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। এজন্য আমরা তার অপসারণ চাই।” তবে এ বিষয়ে বিচারকের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঢাকা/মামুন/ ইভা